তারিখ : ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

নান্দাইল থানায় পুলিশ হেফাজতে ধর্ষিতা কিশোরী বিদ্যুৎস্পৃষ্ট

নান্দাইল থানায় পুলিশ হেফাজতে ধর্ষিতা কিশোরী বিদ্যুৎস্পৃষ্ট
[ভালুকা ডট কম : ২২ জুলাই]
ময়মনসিংহের নান্দাইল মডেল থানার ভেতরে তিন দিন ধরে পুলিশ হেফাজতে থাকা ধর্ষিতা এক কিশোরী অরক্ষিত একটি কক্ষে বিদ্যুৎ স্পর্শে আহত হয়েছে। শনিবার সন্ধ্যায় এ ঘটনার পর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ কামরুল ইসলাম মিয়া সহ অন্য কর্মকর্তারা তাকে উদ্ধার করে নান্দাইল স্বাস্থ্য হাসপাতালে ভর্তি করার পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে কিশোরগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। থানার ভেতর কিশোরীর এমন ঘটনায় এলাকায় সমালোচনার ঝড় বইছে।

জানা যায়, ওই কিশোরী নান্দাইলের একটি উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রী। মোবাইলে ফোনে তার প্রেমের সম্পর্ক হয় স্থানীয় মোয়াজ্জেমপুর ইউনিয়নের কামালপুর গ্রামের মোঃ রফিকুল ইসলামের পুত্র আল মামুন (২০) এর সাথে। মামুন বিয়ের কথা বলে বৃহস্পতিবার ওই কিশোরীর বাড়িতে ঢুকে তাকে ধর্ষণ করে। একপর্যায়ে মামুন চলে যেতে চাইলে কিশোরী তাকে বিয়ের কথা বললে সে রাজি হচ্ছিল না। পরে কিশোরীর চিৎকারে এলাকার লোকজন ছুটে এসে মামুনকে ধরে পুলিশে দেয়। এ ঘটনায় পুলিশ কিশোরীসহ অভিযুক্ত মামুনকে থানায় এনে কিশোরীর মা শেফালী বেগমকে বাদী করে মামলা নেয়। মামলা নং ১৯/২০১৮। পরদিন অভিযুক্ত ধর্ষককে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠালে বিজ্ঞ ম্যাজিষ্ট্রেট তাকে জেলা হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন। ধর্ষিতা কিশোরী ও তার মা থানার ভেতরেই একটি কক্ষে অবস্থান করতে থাকে। এ অবস্থায় শনিবার সকালে পুলিশ ধর্ষিতাকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগে নিয়ে যায়। কিন্তু ধর্ষিতা সেই পরীক্ষা করাতে রাজি না হওয়ায় তাকে ফিরিয়ে আনা হয়।

জানা যায়, থানায় থাকা অবস্থায় গ্রামের সালিশ কারীরা থানায় এসে কয়েক দফায় দেনদরবার করে ঘটনাটি সমঝোতার চেষ্টা চালায়। এর মধ্যে ওই কিশোরীকে ময়মনসিংহে পাঠালে সেখানেও সালিশকারীর কয়েকজনের উপস্থিতিতে মামলার বাদী কিশোরীর মাকে দুই কাঠা জমি লিখে দেওয়ার প্রস্তাবসহ বিয়ে করার কথা বলে ডাক্তারি পরীক্ষা করতে দেয়নি। এর মধ্যে শনিবার সন্ধ্যায় পর ফের কিশোরীকে তার মা সহ থানায় এনে একটি কক্ষে রাখা হয়। সেখানেই  সন্ধ্যায় দিকে বিদ্যুৎ স্পর্শে আহত হয়ে চিৎকার দিলে ওসি বাসভবন থেকে থানায় এসে একটি মাইক্রোবাসে করে আহত কিশোরীকে হাসপাতালে নিয়ে যান।

থানায় দুটি পিকআপ থাকলেও তিনি লোকচক্ষুর আড়াল করতে এই ব্যবস্থা নেন। শনিবার রাতে কিশোরগঞ্জ হাসপাতালে চিকিৎসার পর ছাত্রটি সুস্থ্য হলে রোববার সকালে (২২জুলাই) ছাত্রীটিকে ময়মনসিংহ প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে জবান বন্দি প্রদানের পুলিশ প্রহরায় পাঠানো হয়েছে বলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক মোঃ নূরুল হুদা জানিয়েছেন। বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন নান্দাইল উপজেলার শাখার নেতৃবৃন্দ নান্দাইল থানার ভেতরে ধর্ষিতা কিশোরী বিদ্যুৎস্পিষ্ট হওয়ার ঘটনাটি নিরপেক্ষ তদন্ত দাবী করেছেন।#



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

ভালুকার বাইরে বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৭ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই