তারিখ : ২৯ মার্চ ২০২৪, শুক্রবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

মান্দায় পুকুর থেকে মাছ ধরার অভিযোগ প্রভাবশালীর বিরুদ্ধে

মান্দায় পুকুর থেকে পুলিশের সহযোগীতায় মাছ ধরার অভিযোগ প্রভাবশালীর বিরুদ্ধে
[ভালুকা ডট কম : ০৭ আগস্ট]
নওগাঁর মান্দা উপজেলা ভূমি অফিস থেকে ইজারা দেয়া পুকুরে পুলিশের উপস্থিতিতে মাছ ধরে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় প্রভাবশালী হরেন্দ্রনাথ এর বিরুদ্ধে। উপজেলার গণেশপুর ইউনিয়নের গণেশপুর গ্রামে গত দু’দফায় প্রায় ২ লক্ষ টাকার মাছ ধরে নেয়া হয়েছে। সর্বশেষ গত বৃহস্পতিবার থানা পুলিশের উপস্থিতিতে মাছ ধরা হয়েছে।

জানা গেছে, চলতি বছরের গত ২৭ মার্চ তারিখে গণেশপুর মৌজায় ৫৬ শতাংশ খাস পুকুর উপজেলা ভূমি অফিস থেকে উপজেলার ‘চকবালু মৎস্যজীবি সমবায় সমিতি লিমিটেড’ নামে এক সমিতিকে আগামী তিন বছরের (১৪২৫-১৪২৮ সন) জন্য ইজারা দেয়া হয়।

সমিতির সদস্যদের বাড়ী পুকুর থেকে দুরবর্তী হওয়ায় পুকুরে পাড়ে বসবাসকারী আব্দুস সামাদ নামে এক ব্যক্তিকে মাছ চাষের দেখভালের দায়িত্ব দেয়া হয়। এরপর আব্দুস সামাদ পুকুরে মাছ চাষ শুরু করেন। কিন্তু স্থানীয় প্রভাবশালী মৃত সুরেন্দ্রনাথের ছেলে হরেন্দ্রনাথ মাছ চাষে আব্দুস সামাদকে বিভিন্ন ভাবে ভয়ভীতি, হুমকি ও বাধা প্রদান করেন। গত ২৫/০৫/১৮ ইং তারিখে প্রভাবশালী হরেন্দ্রনাথ ১০/১২ জন লোক নিয়ে মাছ ধরলে থানায় একটি অভিযোগ দেয়া হয়। পরবর্তীতে গত ০৪/০৮/১৮ ইং তারিখে থানা পুলিশের উপস্থিতিতে আবারও পুকুর থেকে মাছ ধরে হরেন্দ্রনাথ। দু’দফায় প্রায় ২ লক্ষ টাকার মাছ ধরে নেয় হয়। পুকুরটি নিয়ে দীর্ঘদিন থেকে আদালতে মামলা চলমান আছে।

স্থানীয় বাসিন্দা বয়জেষ্ঠ্য অবেজনা, রাবেয়া, ঝরনা ও পুকুর দেখভালকারী আব্দুস সামাদ বলেন, দীর্ঘদিন থেকে ভূমি অফিস থেকে পুকুরটি ইজারা নিয়ে গ্রামের লোকজন মাছ চাষ করে আসছে। কিন্তু প্রভাবশালী হরেন্দ্রনাথ সমস্যা সৃষ্টি করে। পুকুরটি যদি তারই হবে তাহলে সরকার ইজারা দেয় কেন। বিষয়টি সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী জানান তারা।

উপজেলার চকবালু মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির সাধারন সম্পাদক জেহের আলী বলেন, ভূমি অফিস থেকে ইজারার মাধ্যমে পুকুরটি আমরা পেয়েছি। পুকুরটি আব্দুস সামাদকে দেখভালের জন্য দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। কিন্তু পুকুরের কাছে বাড়ি প্রভাবশালী হরেন্দ্রনাথ পুলিশ নিয়ে এসে জোর করে পুকুর থেকে মাছ ধরে নেয়। হরেন্দ্রনাথ হিন্দু মানুষ, আওয়ামীলীগের দলীয় লোক। এজন্য মন্ত্রী (বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী মুহা: ইমাজ উদ্দিন প্রামাণিক) থানা পুলিশকে যা বলেন পুলিশ সেটাই করেন। ইজারার কাগজপত্র নিয়ে থানা পুলিশের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু পুলিশ কোন পাত্তাই দেয়নি।

এ বিষয়ে হরেন্দ্রনাথ বলেন, ১৯৭৭ সাল থেকে পুকুরটি আমার দখলে আছে। আমি মাছ চাষ করে আসছি। আদালতে মামলা ছিল। সেটার ডিক্রীও আমি পেয়েছে। আর পুকুরটির কোন ইজারা হয়নি এবং কোন ব্যাক্তি মাছ চাষও করেনি।

মান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) মাহাবুব আলম বলেন, ভূমি অফিস থেকে ওই পুকুরটি যে ইজারা দেয়া হয়েছে এবং যারা পুকুরটি পেয়েছে তারা কোন ডকুমেন্ট দেয়নি। তবে ওই পুকুরটির কাগজপত্র হরেন্দ্রনাথ দিয়েছে এবং কাগজপত্র দেখে তাকেই মুল মালিক মনে হচ্ছে। পুকুরটি নিয়ে কোন ধরেন বিশৃঙ্খলা যেন না হয় এজন্য ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। তবে পুলিশের উপস্থিতিতে পুকুর থেকে কোন মাছ ধরা হয়নি। এছাড়া মাছ ধরতেও কাউকে সহযোগীতা করা হয়নি।

মান্দা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এসএম হাবিবুল হাসান বলেন, সবেমাত্র অফিসে যোগদান করেছি। যেহেতু ভূমি অফিস থেকে পুকুরটি ইজারা দেয়া হয়েছে। পুকুরটি যারা ইজারা পেয়েছেন কাগজপত্র নিয়ে অফিসে যোগাযোগ করলে বিষয়টি দেখা হবে।#



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

অপরাধ জগত বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৬ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই