তারিখ : ২৮ মার্চ ২০২৪, বৃহস্পতিবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

তামাক নিয়ন্ত্রণে অগ্রগতি উল্লেখযোগ্য,সন্তোষজনক নয়

তামাক নিয়ন্ত্রণে অগ্রগতি উল্লেখযোগ্য,তবে সন্তোষজনক নয়,গ্যাটস ২০১৭ এর ফলাফল প্রকাশ
[ভালুকা ডট কম : ১৪ আগস্ট]
বাংলাদেশে ১৫ বছর ও তদুর্ধ্ব জনগোষ্ঠীর মধ্যে তামাক ব্যবহারকারীর হার ৮ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। এছাড়াও ধূমপায়ী এবং ধোঁয়াবিহীন তামাক ব্যবহারকারীর হার হ্রাস পেয়েছে যথাক্রমে, ৫ শতাংশ ও ৬.৬ শতাংশ। Global Adult Tobacco Survey (GATS) ২০১৭ এর গবেষণা প্রতিবেদনে বাংলাদেশের এই সাফল্য উঠে এসেছে। প্রতিবেদন অনুযায়ী,  বাংলাদেশে বর্তমানে তামাক ব্যবহারকারীর হার ৩৫.৩ শতাংশ (৩ কোটি ৭৮ লক্ষ)। এরমধ্যে,  ধূমপায়ীর হার ১৮ শতাংশ (১ কোটি ৯২ লক্ষ) এবং ধোঁয়াবিহীন তামাক ব্যবহারকারীর হার ২০.৬ শতাংশ (২ কোটি ২০ লক্ষ)।

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে মাননীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জনাব মোহাম্মদ নাসিম এর উপস্থিতিতে এই গবেষণা ফলাফল আজ ১৪ আগস্ট ২০১৮ তারিখে সকলের সামনে তুলে ধরা হয়। সার্বিকভাবে, এই ফলাফল প্রশংসনীয় এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুত ২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার পথে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হলেও বর্তমান তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের কিছু দুর্বলতা (যেমন, বিক্রয়কেন্দ্রে তামাকপণ্য প্রদর্শন, তামাক কোম্পানি কর্তৃক অনুষ্ঠানের ব্যয়ভার বহন (Sponsor), পাবলিক প্লেসে ধূমপানের জন্য নির্ধারিত স্থান (Designated Smoking Zone), খুচরা এবং লাইসেন্স ছাড়া তামাকজাত পণ্য বিক্রি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আশেপাশে তামাকজাতপণ্য বিক্রি), কার্যকর তামাককর নীতির অভাব এবং সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবাণীর আইনানুগ বাস্তবায়ন না হওয়ায় তামাক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমের অর্জন কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় পোঁছায়নি।

আরও আশংকার বিষয় হচ্ছে, বৈদেশিক বিনিয়োগ আনার নামে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় তামাক কোম্পানি জাপান টোব্যাকো (জেটি) গ্রুপকে বাংলাদেশে সরাসরি ব্যবসার সুযোগ দিতে যাচ্ছে সরকার। বহুজাতিক তামাক কোম্পানিগুলো পণ্যের বৈচিত্র্যময়তা এবং আগ্রাসী বিপণন কৌশল অবলম্বন করে দ্রুত স্থানীয় বাজার দখল করে নেয়, বিশেষ করে তরুণ সমাজ এতে আকৃষ্ট হয় বেশি। বাংলাদেশে বর্তমান মোট জনগোষ্ঠীর ৩১ শতাংশই তরুণ। সুতরাং দেশে নতুন করে তামাক ব্যবসার সুযোগ দিলে তামাক নিয়ন্ত্রণে সরকারের এই অর্জন নস্যাৎ হয়ে যাবে এবং ২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ অর্জনেও অন্তরায় হয়ে দাঁড়াবে।

বাংলাদেশে Global Adult Tobacco Survey (GATS) ২০১৭ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO), Center for Diseases Control (CDC) এবং বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক ১৫ বছর বা তার বেশি বয়সী জনগোষ্ঠির উপর পরিচালিত হয়েছে। এটি একটি আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকিৃত জরিপ যা তামাক ব্যবহার ও নিয়ন্ত্রণ পর্যবেক্ষণের একটি মানদণ্ড হিসেবে বিবেচিত হয়। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সাধারণত পাঁচ বছর অন্তর এই জরিপ পরিচালিত হয়। এর মাধ্যমে বিভিন্ন দেশের তামাক ব্যবহার সংক্রান্ত একটি তুলনামূলক চিত্র পাওয়া যায় এবং যার ভিত্তিতে জনস্বাস্থ্যের উপর তামাকের ক্ষতিকর প্রভাব নির্ধারণ ও সেই আলোকে বিভিন্ন কর্মপরিকল্পণা গ্রহণ করা হয়ে থাকে। বাংলাদেশে এর আগে ২০০৯ সালে এই গবেষণার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছিল।

বার্তা প্রেরক
মেহেদি হাসান



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

অন্যান্য বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৬ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই