তারিখ : ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

রায়গঞ্জে তরুণ-তরুণী আলোকিত কর্মজীবনে

রায়গঞ্জে মাইক্রোভিজুয়াল কম্পিউটার ট্রেনিং ইন্সটিটিউট’র বদৌলতে ৩০০০ তরুণ-তরুণী আলোকিত কর্মজীবনে
[ভালুকা ডট কম : ০১ সেপ্টেম্বর]
রায়গঞ্জে মাইক্রোভিজুয়াল কম্পিউটার ট্রেনিং ইন্সটিটিউটের প্রশিক্ষণের বদৌলতে প্রত্যন্ত এলাকার প্রায় ৩ হাজার তরুণ-তরুণী আলোকিত কর্মজীবন লাভ করেছেন। ইন্সটিটিউটটি উপজেলার চান্দাইকোনা বন্দরের নিকটবর্তী উত্তরবঙ্গ মহাসড়ক সংলগ্ন একটি মনোরম পরিবেশে অবস্থিত।

প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ মোঃ শহীদুল ইসলাম খান জানান- তিনি লক্ষ্য করেন অনেক তরুণ-তরুণী উচ্চ শিক্ষিত ও যথেষ্ট যোগ্যতা সম্পন্ন হওয়া স্বত্বেও কম্পিউটার প্রশিক্ষণ না থাকার কারণে ভাল কোন প্রতিষ্ঠানে তাদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয় না। ফলে এলাকায় শিক্ষিত বেকারের সংখ্যা বাড়তে থাকে। তিনি এলাকার শিক্ষিত বেকার সমস্যা দুরীকরণার্থে ১৯৯৭ সালের শেষভাগে প্রথমে ২টি কম্পিউটার নিয়ে স্থানীয় শিক্ষিত তরুণ-তরুণীদের প্রশিক্ষণ প্রদানের কাজ শুরু করেন। এবং ক্রমে শিক্ষার্থী বাড়ার সাথে তিনি তার প্রশিক্ষণ সেন্টারের নাম করণ করেন “মাইক্রোভিজুয়াল কম্পিউটার ট্রেনিং ইন্সটিটিউট”। ১৯৯৯ সালের ১৭ নভেম্বর তিনি জাতীয় বহুভাষা সাঁটলিপি প্রশিক্ষণ ও গবেষণা একাডেমীর (নট্রামস) অনুমোদন লাভ করেন (নিবন্ধন সংখ্যা-৬০৬)। এরপর ২০০৩ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের অনুমোদন পান (প্রতিষ্ঠান কোড -২৫০৭৮)।  আসন সংখ্যা  মোট দুই শিফ্টে- ৮০। বর্তমান শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৫০ জন। ভর্তি প্রক্রিয়া চালু রয়েছে। এখানে কর্তব্যরত প্রশিক্ষক ৩ জন, অফিস সহকারী ১জন ও পিওন ১জন।

তিনি বলেন- কর্তৃপক্ষ অনুমোদন দিলে তিনি আসন সংখ্যা আরো বাড়াতে চান। কারণ তার প্রতিষ্ঠানে উত্তম প্রশিক্ষণ ব্যবস্থা থাকার কারণে অনেক প্রশিক্ষণার্থী এখানে ভর্তি হওয়ার জন্য ভিড় করেন। তিনি আরো বেশি শিক্ষিত নারী পুরুষকে প্রশিক্ষণ দিয়ে তাদেরকে আলোকিত কর্মজীবনের অধিকারী করতে চান।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন-তিনি এবং তার স্ত্রী দু’জনেই চাকুরী করেন। তাদের দু’জনের আয় থেকে এই প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করেন। গ্রামীণ জনপদের অধিকাংশ মানুষই দরিদ্র। তাদের ছেলে মেয়েরাই এখানে আসেন প্রশিক্ষণ নিতে। তাদের অনেকই প্রশিক্ষণ কোর্সের পুরো খরচ দিতে পারে না। তাই প্রতিষ্ঠান থেকে যে আয় আসে তা দিয়ে এর সার্বিক ব্যয় পরিগ্রহ হয়না। ব্যবসার জন্য তিনি এই ইন্সটিটিউট প্রতিষ্ঠা করেননি। তিনি শিক্ষিত বেকার সংখ্যা কমানোর উদ্দেশ্যে এটা করেছেন। যদি তাতে সমাজে আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে কিছু করা যায়, এটাই তার লক্ষ্য বলে তিনি জানালেন। #



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

অন্যান্য বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৭ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই