তারিখ : ২৯ মার্চ ২০২৪, শুক্রবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

শহীদ মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে অন্তভূক্তি’র জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন

শহীদ মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে অন্তভূক্তি’র জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন করলেন যুদ্ধাপরাধী মামলার বাদী সঞ্জুবালা ঘোষ  
[ভালুকা ডট কম : ০৫ সেপ্টেম্বর]
শহীদ মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে অন্তভূক্তি করার জন্য  মাননীয় প্রধান মন্ত্রী বরাবরে আবেদন করলেন যুদ্ধাপরাধী মামলার বাদী ময়মনসিংহের গৌরীপুরে সঞ্জুবালা ঘোষ।

জানা গেছে, ১৯৭১ সালে ৯ সেপ্টেম্বর মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে সতীশ চন্দ্র ঘোষ স্বপরিবার কিশোরগঞ্জ জেলায় তাড়াইল থানা হয়ে নৌপথে ভারতে যাওয়ার সময় মাকরান বিল থেকে রাজাকার ও আলবদর বাহিনী তাদের আটক করে নৌকাটিকে উপজেলার  বেলংকা রাস্তায় নোঙ্গর করে। পরে রাজাকারের কমান্ডার ছৈয়দ হাছান আলী সঞ্জুবালা ঘোষের স্বামী সতীশ চন্দ্র ঘোষকে নৌকা থেকে জোড় পূর্বক টেনে হিছরে নামিয়ে নির্মমভাবে গুলি করে হত্যা করে। এ সময় রাজাকার বাহিনী তাদের পরিবারের অপরাপর আরো ৭জনকে গুলি করে হত্যা করে। হত্যাযজ্ঞের পর লাশগুলোকে নদীর পানিতে ভাসিয়ে দেয়া হয়। এর পর সঞ্জুবালা ঘোষকে তাড়াইল থানা হেড কোয়াটারে ৮ দিন আটকে রাখা হয়েছিল। স্বাধীনতার পরবর্তীতে সঞ্জুবালা  ঘোষ আর্ন্তজাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে স্বামী হত্যার বিচার চেয়ে মামলা দায়ের করেন। ওঈঞইউ মামলা নং- ০২/২০১৪ইং। উক্ত মামলায় সাক্ষ্য প্রমাণিত হওয়ায় ২০১৫ ইং সালে ৯ জুন মামলার রায় হয়। রায়ে আর্ন্তজাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের মাননীয় বিচারক মহোদয়গন  ১ নং আসামী ছৈয়দ মোঃ হাছান আলীকে ফাঁসির দন্ডাদেশ দেন ও অন্যান্য বিবাদীগনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ডের রায় প্রকাশ করেন।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বরাবরে আবেদনে সঞ্জুবালা ঘোষ বলেন - আমি বর্তমানে আমার স্বামীর মৃত্যুর পর আমার পরিবার পরিজন নিয়া বহু কষ্টে অর্ধাহারে অনাহারে অন্যের বাড়ীতে আশ্রয় নিয়া বর্তমানে আমি আমার জান প্রাণের নিরাপত্তাহীনতার কারণে আমার মেয়ের বাড়ী গৌরীপুরে বাড়ীওয়ালাপাড়া আশ্রিত আছি। তিনি বলেন আপনি (প্রধানমন্ত্রী)একমাত্র মুক্তিযোদ্ধা বান্ধব নেত্রী ও বঙ্গমাতা আপনার মতো একজন স্বজনহারা ব্যাক্তি হিসাবে এবং আর্ন্তজাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মহোদয়ের রায়ের প্ররিপ্রেক্ষিতে আমার স্বামীকে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে তালিকা ভূক্তির জন্যও আমাকে শহীদ পরিবার হিসাবে আর্থিক সাহায্যের করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহন করতে আপনার সু-দৃষ্টি কামনা করছি।

উল্লেখ্য সঞ্জুবালা ঘোষের বাড়ী নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া উপজেলা পাইকুড়া গ্রামে। সঞ্জুবালা ঘোষের মেয়ে মিনা রাণী সরকার বলেন, মুক্তিযুদ্ধের পর মা দুই বছর  আমাদের  ভাই বোনকে নিয়ে বাড়ীতে থাকার চেষ্টা করেন। কিন্ত রাজাকারদের অত্যাচারের কারণে বসত বাড়ী জমি-জমা রেখে প্রাণভয়ে এত বছর বিভিন্ন আত্মীয় স্বজনদের বাড়ীতে থাকতে হয়। বাড়ী জমি এলাকার লোকজন ভোগদখল করছে। আজও বাড়ী জমি উদ্ধার করতে পারি নাই। সঞ্জুবালা ঘোষ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বরাবরে আবেদনের পাশাপাশি শহীদ মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে তালিকা ভূক্তির কল্পে প্রজ্ঞাপন জারি করার জন্য অনুরুপ আরেকটি আবেদন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের মাননীয় মন্ত্রী মহোদয়ের বরাবরে প্রেরণ করেছেন। #



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

নারী ও শিশু বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৬ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই