তারিখ : ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

নওগাঁর মোবারক হোসেন প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়

আজও সরকারী স্বীকৃতি পায়নি নওগাঁর মোবারক হোসেন প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়টি
[ভালুকা ডট কম : ০৭ সেপ্টেম্বর]
প্রতিবন্ধিরা সমাজের বাধা বা ঝামেলা নয়। এদর মধ্যেও লুকিয়ে আছে অনেক সুপ্ত মেধা। উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করে এই মেধাগুলোকে বিকশিত করা যায়। আর এই প্রয়াস থেকেই গড়ে তোলা হয়েছে মোবারক হোসেন প্রতিবন্ধি বিদ্যাপিঠ। নওগাঁর আলোচিত একটি বিদ্যালয়ের নাম মোবারক হোসেন প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়। নওগাঁ জেলা সদর শহর থেকে প্রায় ৭২ কিঃ মিঃ দূরে পোরশা উপজেলা সদরের নিতপুর কপালির মোড়ে অবস্থিত। আজ থেকে প্রায় ৬ বছর পূর্বে প্রতিবন্ধীদের লেখাপড়া শিখানোর জন্য ব্যক্তি উদ্যোগে গড়ে তোলা হয় এই বিদ্যাপিঠটি।

বিদ্যালয়ে হত-দরিদ্র পরিবারে জন্ম নেয়া প্রতিবন্ধী শিশুদের শিক্ষা ও চিকিৎসা দেয়ার উদ্দেশ্যে মুলত গড়ে তোলা হয় এই প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়। এই বিদ্যালয়ে বর্তমান ২৫৪ জন প্রতিবন্ধী শিশু শিক্ষার্থী রয়েছে। আর এ প্রতিবন্ধী শিশু শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া শিখানোর জন্য শিক্ষক-কর্মচারীসহ অন্যান্য পদে মোট ১৭ জন জনবল কর্মরত রয়েছে। এরা সবাই মধ্যবিত্ত পরিবারের। এই ১৭ জনের মধ্যে ৬ জনই কর্মচারী যারা সব সময়ই প্রতিবন্ধী শিশুদের দেখাশুনা করেন এছাড়াও হতদরিদ্র পরিবারের ২ জন একজন ভ্যান চালক ও একজন পিয়ন আছে।

রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার, নওগাঁ জেলা প্রশাসক, জেলা ডিডি, জেলা পিটিআই, জেলা শিক্ষা অফিসার ও এলাকার এমপি মহোদয়সহ জেলার গুরুত্বপূর্ন সরকারী অফিস গুলোর কর্মকর্তা ও বিভিন্ন শ্রেনী-পেশার লোকজন মানব সেবার লক্ষে গড়ে তোলা মোবারক হোসেন প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়টির কার্যক্রম সরেজমিনে দেখেছেন। এছাড়া সমাজকল্যাণ মন্ত্রনালয়ের আদেশে নওগাঁ জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে বেশ কয়েকবার অডিটও করা হয়েছে বিদ্যালয়টির।

নওগাঁ জেলার মধ্যে সুনামধন্য প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় হিসেবে মোবারক হোসেন প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়টিকেই সবাই চিনে বা জানে। সরকারী স্বীকৃতি যেন মোবারক হোসেন প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের জন্য এখন সময়ের দাবী।  সরকারি ভাবে স্বীকৃতির দাবী জানিয়েছেন জেলার সচেতন মহল।

বিদ্যালয়টির প্রতিষ্ঠাতা শাজাহান আলী বলেন, আমার বাবার প্রতি শ্রদ্ধা রেখে বাবার নিজ পৈত্রিক জমিতে আজ থেকে প্রায় ৬ বছর পূর্বে প্রতিবন্ধীদের লেখা-পড়া শিখানোর উদ্দেশ্যে বিদ্যালয়টি গড়ে তোলা হয় এবং আমার পরিবারের সকল সদস্য মিলে যে যে ভাবে পারি সকলেই সহযোগীতা করেই এখন পর্যন্ত চালিয়ে আসছি বিদ্যালয়টির শিক্ষা কার্যক্রম।

বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক মোঃ মওদুদ আহম্মেদ জানান, আমার বাবা মরহুম মোবারক হোসেন একজন শিক্ষা অনুরাগী মানুষ ছিলেন এবং শিক্ষিত মানুষকে তিনি খুবই শ্রদ্ধা করতেন। এছাড়া ও তিনি বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সাথে জড়িয়ে রাখতেন নিজেকে।

তিনি আরো জানান, প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়টি গড়ে তোলার পর থেকেই আমরা পরিবারের সকলে যা পারছি সহযোগীতা করছি। এরমধ্যে আমার ভাই মাহাবুর রহমান আনন্দ পুলিশের চাকুরীতে কর্মরত সেই ভাই বিশেষ করে বিদ্যালয়টির প্রতিবন্ধী শিশু শিক্ষার্থীদের টিফিনসহ যাবতীয় খরচ বহন করে আসছেন দীর্ঘ প্রায় ৬ বছর ধরে।

সম্পতি রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার, নওগাঁ জেলা প্রশাসক, স্থানিয় এমপি মহোদয় ও উপজেলা প্রশাসনের আর্থিক সহযোগীতাই বিদ্যালয়টির কিছু অবকাঠামো মেরামত ও নির্মাণ করা হয়েছে এবং যে সব কাজ বাঁকি আছে সে বিষয়েও সহযোগীতার আশ্বাস দিয়েছেন। বিশেষ করে স্থানীয় এমপি মহোদয় বিদ্যালয়টি পরিদর্শন করে সহযোগীতা করেছেন এবং আরো উন্নয়ন এর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন যাতে করে গরীব প্রতিবন্ধী শিশু শিক্ষার্থীরা যেন সব ধরনের সেবা পান। #



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

শিক্ষাঙ্গন বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৭ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই