তারিখ : ২৪ এপ্রিল ২০২৪, বুধবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

রাণীনগর মহিলা অনার্স কলেজের অধ্যক্ষ সাময়িক বরখাস্ত

অনিয়মের অভিযোগে রাণীনগর মহিলা অনার্স কলেজের অধ্যক্ষ সাময়িক বরখাস্ত
[ভালুকা ডট কম : ০৯ সেপ্টেম্বর]
নওগাঁর রাণীনগর মহিলা অনার্স কলেজের অধ্যক্ষ মো: মিরাজুল ইসলামকে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। ৬ সেপ্টেম্বর তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। রোবাবর দুপুরে কলেজের ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্যরা তাকে একটি নোটিশ প্রদান করেন। এছাডাও আগামী ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে সাময়িক ভাবে বরখাস্ত অধ্যক্ষকে নোটিশের জবাব দেওয়ার জন্য নির্দেশ প্রদান করেছে ব্যবস্থাপনা কমিটি। অপরদিকে অধ্যক্ষ মিরাজুল ইসলাম এই নোটিশকে তার বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র বলে মনে করছেন।

নোটিশ সূত্রে জানা গেছে, রাণীনগর মহিলা কলেজের ২৭জন শিক্ষক-শিক্ষিকা কর্তৃক লিখিত ভাবে নানা অনিয়ম-দূর্নীতি, অপব্যবহার, অর্থ আত্মসাৎ ও অসদাচরনসহ ১১টি সুনির্দিষ্ট ও গুরুতর অভিযোগ করেন কলেজ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি বরাবর। অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত ৬সেপ্টেম্বর কলেজের অধ্যক্ষ মো: মিরাজুল ইসলামকে সাময়িক বরখাস্ত করেন কলেজ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও স্থানীয় সংসদ সদস্য মো: ইসরাফিল আলম। রোববার দুপুরে ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্যরা অধ্যক্ষকে একটি নোটিশ প্রদান করে সকলের অবগতির জন্য কলেজের নোটিশ বোর্ডে একটি নোটিশ টাঙ্গিয়ে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া তিনি বরখাস্ত থাকাকালীন কলেজের উপাধ্যক্ষ শ্রী চন্দন কুমার মহন্ত কলেজের অতিরিক্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করবেন।

সাময়িক ভাবে বরখাস্ত হওয়া রাণীনগর মহিলা অনার্স কলেজের অধ্যক্ষ মো: মিরাজুল ইসলাম বলেন, আমি নোটিশ পেয়েছি। কিন্তু আমি এই বিষয়ে কিছুই জানি না। আমার বিরুদ্ধে যে সব অভিযোগ আনা হয়েছে তার সবগুলো মিথ্যে ও বানোয়াট। ব্যবস্থাপনা কমিটি আমাকে আত্ম সর্ম্পনের সুযোগ না দিয়েই কোন নিয়ম না মেনেই আমাকে আমার দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য এই গভীর ষড়যন্ত্র করেছে। উপাধ্যক্ষ আমাকে সরিয়ে দিয়ে আমার পদে বসার জন্য এই পায়তারার সৃষ্টি করেছে।

উপাধ্যক্ষ শ্রী চন্দন কুমার মহন্ত বলেন অধ্যক্ষের করা অভিযোগ সম্পন্ন মিথ্যে। ব্যবস্থাপনা কমিটির সঙ্গে আমার কোন সম্পর্ক নেই। আমিও এই কলেজের একজন শিক্ষক। কলেজের অন্যান্য শিক্ষকদের করা অভিযোগের ভিত্তিতে ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য ও সভাপতি যেটা ভালো মনে করেছে তাই করেছে। এখানে আমার কোন কিছু করার নেই। বরং এখন আমার কাঁধে যে অতিরিক্ত দায়িত্ব এসে পড়লো এটাই এখন আমার কাছে অনেক বড় ঝামেলা।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল জলিল বলেন, আমিও বিষয়টি শুনেছি কিন্তু এখনো আমাকে অফিসিয়াল ভাবে কোন নোটিশের কপি কিংবা কোন লিখিত পত্রাদি দেওয়া হয় নাই।#



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

শিক্ষাঙ্গন বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৭ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই