তারিখ : ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

গফরগাঁওয়ে সংবাদ সম্মেলনে নির্যাতিত যুবতীর আকুর্তি

সাভারের আলমাস মোল্লার রক্ষিত হতে মুক্তি চাই
গফরগাঁওয়ে সংবাদ সম্মেলনে নির্যাতিত যুবতীর আকুর্তি
[ভালুকা ডট কম : ২০ সেপ্টেম্বর]
ভাই আমাকে ও আমার পরিবারটিকে বাাঁচন।মানুষরুপী নরপশু আলমাস মোল্লা আমাকে ছিড়ে ছিড়ে খাচ্ছে।ছিন্ন ভিন্ন করে দিয়েছে আমার জীবনের সাজানো গোছানো সংসার।আমার পরিবারে মা,বাবা ও একমাত্র ছোট ভাইকে জিম্মি করে পনের বছর যাবত আমাকে রক্ষিতা হিসেবে ব্যবহার করছেন আলমাস মোল্লা।আমি তাঁর বিচার চাই।আমাকে আলমাস মোল্লার হাত থেকে রক্ষা করুন।

বৃহস্পতিবার ময়মনসিংহের গফরগাঁও প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এভাবইে কথা গুলো বর্ণনা করছিলেন ফাতেমা আক্তার নিপা(২৮)এক যুবতি।বাড়ি গফরগাঁও উপজেলার আউটবাড়িয়া গ্রামে।বাবা নাম শাহাব উদ্দিন।পেশায় একজন রিক্সা চালক। এসময় সংবাদ সম্মেলনে নির্যাতিত ফাতেমা আক্তার নিপার সাথে উস্থিত ছিলেন,গফরগাঁও উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রেশামা আক্তার,সালটিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নাজমুল হক ঢালী,গফরগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শামছুল আলম খোকন,রাওনা ইউপি চেয়ারম্যান আবির হাসান শাহাবুল,নির্যাতিতা নিপার মা সাবিনা বেগম ও ছোট ভাই রুবেল।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ্য করেন,সাভার উপজেলার হেমায়েতপুর পূর্বহাটি এলাকার আলমাস মোল্লা।তার বাবার নাম আরজ আলী মেম্বার।সাভার তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার।২০০৪ সাল থেকে ঘটনা শুরু।নিপা তখন স্ব-পবিবারে সাভার হেমায়েতপুর ষ্টার এসোসিয়েট লিঃ গার্মেন্টসে চাকুরি করে।সাভার উপজেলার হেমায়েতপুর পূর্বহাটি এলাকার আলমাস মোল্লা সে সময় গার্মেন্টেসে জোট ব্যবসা করেন।সেই থেকে নিপার উপর লোলুপ দৃষ্টি পড়ে আলমাস মোল্লার।গার্মেন্টসে আসার যাওয়ার পথে তাকে প্রেম নিবেদন করতেন আলমাস মোল্লা।প্রস্তাবে রাজি হওয়ায় ক্ষিপ্ত হয় আলমাস মোল্লা।বিষয়টি নিপা আলমাস মোল্লার পরিবারকে জানায়।তারপর ২০০৮ সালে নড়াইল উপজেলার লোহাগড়া উপজেলায় বিয়ে হয় নিপার।

নিপা বলেন,বিয়ের পর আমাকে ও আমার স্বামীকে মিথ্যা মামলা দিয়ে জেলে পাঠান আলমাস মোল্লা।মিথ্যা মামলায় ছয় মাস জেল খাটার পর স্বামীর সাথে আমার সোনার সংসার ভেঙ্গে যায়।আলমাস মোল্লার অত্যাচারে শিকার হয়ে তিন মাস বয়সী এক পুত্র সন্তান রেখে চলে আসতে হয় বাবার বাড়ি গফরগাঁওয়ে।বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ঢাকা নিয়ে তিন মাস আটকে ধর্ষণ করে আলমাস মোল্লা।একপর্যায়ে আলমাস মোল্লার বন্দিদশা থেকে গোপনে পালিয়ে গ্রামে বাড়ি গফরগাঁওয়ের আউটবাড়িয়া চলে আসে নিপ।মা বাবা নিপাকে আবার দ্বিতীয় বিয়ে দেয় পাশ^বর্তী রাওনা ইউনিয়নের কালাইপাড় গ্রামে।মাস কয়েক চলে যাওয়ার পর আলমাস মোল্লা পুনরায় নিপা ও তাঁর দ্বিতীয় স্বামীর নামে সাভার থানায় মিথ্যা মামলা দায়ের করেন।পুলিশ তাদের ধরে নিয়ে যায়।ছোট ভাই রুবেলে নামে মিথ্যা নারী নির্যাতন মামলা দিয়ে লিখে নেয়া হয় নিপা বাবা শাহাব উদ্দিনের ভিটে বাড়ি।

সংবাদ সম্মেলনে ফােিতমা আক্তার নিপা আরও উল্লেখ করে বলেন,তাকে রক্ষিতা হিসেবে ব্যবহার করার জন্যই আলমাস মোল্লা একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে আমার পরিবারকে জিম্মি করে রেখেছেন।এ বিষয়ে আইন প্রয়াগকারী সংস্থা ও প্রধানমন্ত্রী সুদৃষ্টি কামনা করছেন নিপা ও তার পরিবার।#




সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

ভালুকার বাইরে বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৭ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই