তারিখ : ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

খালেদা জিয়ার আইনজীবীর রিটের শুনানি মুলতবি

খালেদা জিয়াকে বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা দিতে নির্দেশনা চেয়ে রিটের শুনানি মুলতবি
[ভালুকা ডট কম : ২৫ সেপ্টেম্বর]
বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে বিশেষায়িত বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা দিতে নির্দেশনা চেয়ে রিট আবেদনের শুনানি মুলতবি করেছে হাইকোর্ট। এ বিষয়ে আগামী ১ অক্টোবর পরবর্তী শুনানি হবে। বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ মঙ্গলবার (২৫ সেপ্টেম্বর) এ আদেশ দেন।

এর আগে খালেদা জিয়ার আইনজীবী কায়সার কামাল গত ৯ সেপ্টেম্বর খালেদা জিয়ার জন্য  বিশেষায়িত বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা সুবিধা চেয়ে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ রিট আবেদনটি জমা দেন। আজ আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে ছিলেন আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী ও ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। গত ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়াকে ৫ বছরের দণ্ড দেন আদালত। এরপর থেকে নাজিমুদ্দিন রোডের পুরনো কারাগারে বন্দি রয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন। এরপর ৭ এপ্রিল রাজধানীর শাহবাগের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য নেওয়া হয়েছিলো।

এদিকে,  বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দায়ের করা  জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিচারকের প্রতি অনাস্থা প্রশ্নে  আদেশের দিন পিছিয়ে দিয়েছে ঢাকার এটি বিশেষ আদালত। আজ মঙ্গলবার ঢাকার ৫ নম্বর বিশেষ জজ ড. মো. আখতারুজ্জামান এ বিষয়ে পরবর্তী নির্দেশের জন্য আগামীকাল  বুধবার তারিখ ধার্য করেছেন।  একই সঙ্গে মামলায় খালেদা জিয়ার পক্ষে যুক্তিতর্ক শুনানির দিনও একই দিন ধার্য করা হয়েছে। এর আগে গতকাল সোমবার এ মামলার দুই আসামি ড. জিয়াউল হক মুন্না ও মনিরুল ইসলাম খান বিচারকের প্রতি অনাস্থা প্রকাশ করেন।

আজ মঙ্গলবার বেলা সোয়া ১১টার দিকে মামলার বিচার কার্যক্রম শুরু হলে খালেদা জিয়ার পক্ষে জামিনের মেয়াদ বৃদ্ধি এবং তার সুস্থতা সাপেক্ষে মামলার যুক্তিতর্ক শুনানি পেছানোর আবেদন করেন তার আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার। অন্যদিকে আসামি মনিরুল ইসলাম খানের পক্ষে খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতে বিচারের আদেশের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে রিভিশন মামলা দায়ের করার সুযোগ দিতে যুক্তিতর্ক স্থগিত করার আবেদন করা হয়। এছাড়া আরেক আসামি জিয়াউল ইসলাম মুন্নাকে কারাগারে ডিভিশন প্রদান এবং তার সঙ্গে তিনজন আত্মীয়কে দেখা করার অনুমতি প্রদানের আবেদন করা হয়। এ বিষয়ে কারা কর্তৃপক্ষকে কারাবিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

এর আগে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় গত ১ ফেব্রুয়ারি আসামি জিয়াউল হক মুন্নার পক্ষে যুক্তিতর্ক শুনানি শুরু হওয়ার পর তা অব্যাহত থাকে। মামলায় খালেদা জিয়ার পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন বাকি রয়েছে। শেখ হাসিনা সরকারের আমলে  ২০১১ সালের ৮ আগস্ট জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলাটি দায়ের করে দুদক। মামলায় ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনে দুদক। এ মামলায় ২০১২ সালের ১৬ জানুয়ারি আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়।#



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

অন্যান্য বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৭ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই