তারিখ : ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

নওগাঁয় শীতকালীন আগাম শিম চাষে ভাগ্য খুলেছে কৃষকদের

নওগাঁয় শীতকালীন আগাম জাতের শিম চাষে ভাগ্য খুলেছে কৃষকদের
[ভালুকা ডট কম : ০৫ অক্টোবর]
নওগাঁয় আগাম জাতের শীতকালীন সবজি শিমে ফলন কম হলেও ভালো দাম পেয়ে খুশি কৃষকরা। তবে পোকার আক্রমন থেকে বাঁচাতে কৃষকদের লাভের একটি অংশ চলে যাচ্ছে কীটনাশকের দোকানে। কৃষকদের অভিযোগ; আগাম এ শিমে পোকার আক্রমন দেখা দিলেও কৃষি অফিস থেকে কোন পরামর্শ না পেয়ে চাষিরা ইচ্ছামত কীটনাশক ব্যবহার করছে। এতে বাড়তি খরচ গুনতে হচ্ছে তাদের।

নওগাঁ কৃষি অফিস সূত্রে জানা, চলতি বছর নওগাঁ জেলায় আগাম জাতের শিম চাষ হয়েছে ৩০ হেক্টর জমিতে। আর এখান থেকে উৎপাদিত শিম স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে চলে যায় রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে।

সরেজমিনে জেলার বিভিন্ন উপজেলায় গিয়ে দেখা যায় যে, যতদুর দৃষ্টি যায় দেখা মিলবে নওগাঁর মাঠে মাঠে এমনি শিমের দৃশ্য। একটু বেশি লাভের আশায় জেলার কৃষকরা আগাম জাতের শিম চাষ করে আসছে বহুদিন যাবত। তবে শিমে দেখা দিয়েছে ডগা পচা, সিদলা ও ছিদ্রকারী রোগ। এতে করে দিশেহারা হয়ে পড়েছে কৃষকরা। তাদের লাভের বেশির ভাগ অংশ চলে যাচ্ছে কীটনাশকের দোকানে। তাই এই মৌসুমে লাভ একটু হতে পারে বলে জানান অনেক কৃষক। আগাম শিম চাষ লাভজনক হওয়ায় তারা প্রতি বছরই চাষ করে থাকেন। শীতকালীন আগাম জাতের শিম ফলনে কম হলেও বাজারে ভালো দাম পাওয়ায় খুশি তারা। আর প্রতি বিঘায় বর্তমানে ৪ থেকে ৫ মন ফলন হবে। কিন্তু পরে তা বেড়ে ৮ থেকে ১০ মন হবে।

শিমের গ্রাম নামে পরিচিত জেলা সদরের চকআতিথা গ্রামের শিম চাষী মো: আব্দুল বাতেন বলেন, বর্তমানে শিম গাছের ডগায় পঁচানি ও শিম ছিদ্র পোকা দেখা দিয়েছে। কৃষি অফিসের কোন লোককে তারা মাঠে না পেয়ে কীটনাশকের দোকান থেকে দোকানীর পরামর্শে কীটনাশক কিনে স্প্রে করছেন। কিন্তু আশানুরুপ তেমন কোন ফল পাচ্ছেন না তারা। উপায় না পেয়ে দোকানীর পরামর্শে পোকা দমনে বিভিন্ন কীটনাশক স্প্রে করলেও তারা কোন প্রতিকার না পাওয়ায় কীটনাশক কিনতে লাভের একটি অংশ চলে যাচ্ছে।

কৃষি অফিস বলছে শীতকালীন আগাম জাতের সবজি শিম লাভজনক ফসল হলেও বিভিন্ন পোকার আক্রমন হয়ে থাকে।  যারা পরামর্শ চাইছে কৃষি অফিস থেকে তাদেরকে সার্বিক পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। সেই সঙ্গে কৃষকদের কীটনাশকের দোকানে না গিয়ে সরাসরি কৃষি অফিসে অথবা উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তার মুঠোফোনে কল দিয়ে পরামর্শ নেয়ার জন্য অনুরোধ জানালেন কৃষি বিভাগের এই কর্মকর্তা।

নওগাঁ কৃষি অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মনোজিত কুমার মল্লিক বলেন এবার চলতি মৌসুমে আগাম জাতের শিষ চাহিদার চেয়ে বেশি পরিমান জমিতে চাষ করা হয়েছে। ইতিমধ্যই কৃষকরা আগাম জাতের শিম বাজারে নিয়ে আসতে শুরু করেছে। তবে আবহাওয়ার পরিবর্তনের কারণে একটু পোকা-মাকড়ের আক্রমন হবেই। তবে পোকা ও রোগবালাইয়ের আক্রমণের শুরু থেকেই কোতাও না গিয়ে সরাসরি কৃষি অফিসের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাদের দেওয়া পরামর্শ অনুসারে বালাইনাশক প্রয়োগ করলে তেমন একটা প্রভাব পড়বে না বলে আমি আশা করি। এছাড়াও মাঠ পর্যায়ের কৃষি কর্মকর্তারা সার্বক্ষণিক কৃষকদের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন।#



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

কৃষি/শিল্প বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৭ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই