তারিখ : ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

নির্বাচনি দিন গণনা শুরু,সংলাপের দিকে সবার দৃষ্টি

নির্বাচনি দিন গণনা শুরু,সংলাপের দিকে সবার দৃষ্টি
[ভালুকা ডট কম : ৩১ অক্টোবর]
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন গণনা শুরু হচ্ছে আজ বুধবার ৩১ অক্টোবর থেকে। দেশের চলমান দশম জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশন বসেছিল ২০১৪ সালের ২৯ জানুয়ারি। সে হিসেবে আগামী ২৮ জানুয়ারির মধ্যে জাতীয় নির্বাচন সম্পন্ন করতে হবে। দেশের সংবিধান অনুযায়ী সংসদের মেয়াদ শেষের ৯০ দিন পূর্বে পরবর্তী সংসদ নির্বাচনের দিন গণনা শুরু হবে।

নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালউদ্দীন আহমদ আজ বুধবার (৩১ অক্টোবর) নির্বাচন কমিশন ভবনে সাংবাদিকদের  জানিয়েছেন এক সপ্তাহের মধ্যে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে। এর আগে রোববার(২৮ অক্টোবর)দুপুরে বান্দরবানের লামা উপজেলায় স্মার্টকার্ড বিতরণ অনুষ্ঠানে হেলালউদ্দীন আহমদ জানিয়েছেন,নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে নির্বাচন কমিশন তফসিল ঘোষণা করবে। এবং ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সম্ভাবনা রয়েছে।

তবে, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার  প্রাক-প্রস্তুতি প্রায় সবই সম্পন্ন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ। তিনি গণমাধ্যমকে বলেছেন, এরই মধ্যে ভোটার তালিকা প্রস্তুত, তিনশ আসনের সীমানা নির্ধারণ, ৪০ হাজার ১৯৯টি ভোটকেন্দ্র এবং ২ লাখের বেশি ভোট কক্ষের তালিকা চূড়ান্ত করা হয়েছে। তফসিল ঘোষণার পর পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশ করবেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য ৭শ কোটি টাকা থোক বরাদ্দ রাখা হয়েছে। খাতভিত্তিক ব্যয়ের জন্য নির্বাচন কমিশন অনুমোদন দিয়েছে।

জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার অংশ হিসাবে আগামীকাল বিকাল ৪টায় বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবে পাঁচ সদস্যর কমিশন। এদিকে, আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ১লা নভেম্বর ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মধ্যকার সংলাপের দিকে অধীর আগ্রহে তাকিয়ে আছে দেশের মানুষ।

এ প্রসঙ্গে সাবেক নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব:) সাখাওয়াত  হোসেন বলেন, কোনো আলোচনা হবে না এমন অবস্থা থেকে সরে হঠাৎ অলোচনার দরজা খুলে যাওয়ায় দেশবাসী অশাবাদী হয়েছেন যে, একটা গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হবে। তবে সব কিছুই নির্ভর করছে সরকার কীভাবে সাড়া দেয় তার ওপর। এর মধ্যে অনেকগুলি “যদি” বা “কিন্তু” রয়ে গেছে।  সরকার হয়তো সংবিধানের বিধানকে ঢিলে করার ঝুঁকি নিতে চাইবে না।

এদিকে  আজ (বুধবার) আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক ডেকেছে নির্বাচন কমিশন। প্রস্তুতিমূলক বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ বিষয়ক এ সভায় জাতীয় নির্বাচনে আইন-শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পরিকল্পনা গ্রহণসহ ১১টি এজেন্ডা নিয়ে আলোচনা  করা হয়েছে।ইসি সচিবের সভাপতিত্বে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ, বাংলাদেশ ব্যাংক ও জনপ্রশাসন, শিক্ষাসহ ২৩ মন্ত্রণালয় ও বিভাগের প্রতিনিধিরা এ বৈঠক অংশ নিয়ে তাদের মতামত প্রদান করেন।

এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনার মোঃ রফিকুল ইসলাম বলেছেন, সংবিধান অনুযায়ী ৩১ অক্টোবর থেকে ক্ষণ গণনা শুরু হচ্ছে। কমিশনও প্রস্তুতি অনেকটা গুছিয়ে এনেছে। আগামী ৩ নভেম্বর কমিশনের সভা আহ্বান করা হয়েছে। গত সোমবারের মন্ত্রিপরিষদ বৈঠকে সংশোধিত আরপিও অনুমোদন পেয়েছে। শিগগিরি এটি আইন আকারে বা প্রজ্ঞাপন আকারে বলবত হয়ে যাব।

রাজনৈতিক সমঝোতাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেবেন জানিয়ে রফিকুল ইসলাম আরো বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর সংলাপে রাজনৈতিক সমঝোতা হলে ভালো। যদি সরকার ও বিরোধী পক্ষের মধ্যে কোনো রাজনৈতিক সমঝোতা হয় তাহলে সংবিধান ও আইনের মধ্যে থেকে সর্বোচ্চ সমন্বয় করা হবে।

আগামী ৩রা নভেম্বর বিকাল ৩টায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদার সভাপতিত্বে তফসিল ঘোষণার আগে শেষ কমিশন সভা আহ্বান করা হয়েছে। এই সভায় দু’টি বিষয় এজেন্ডাভুক্ত করা হয়েছে। প্রথমত-সংশোধিত আরপিও ও বিধিমালা পর্যালোচনা ও সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি। মন্ত্রিপরিষদ সংশোধিত আরপিওর তিনটি সংশোধনী অনুমোদন দেয়। এর মধ্যে জাতীয় নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার, অনলাইনে মনোনয়ন দাখিল এবং ঋণখেলাপির শর্ত শিথিলের বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। বিধিমালায় এই বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত করা হবে।

ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) সংযুক্ত করে সংশোধিত আরপিও গত সোমবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ অনুমোদন করেছে। এর ফলে আগামী নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের সুযোগ তৈরি হয়েছে। কমিশনও ইভিএম ব্যবহারের জন্য প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে। নির্বাচন কমিশনার মোঃ রফিকুল ইসলামের মতে, ১০ শতাংশ আসনে ইভিএম ব্যবহার করার মতো আপাতত সক্ষমতা আছে ইসির। ইসির সর্বশেষ প্রকাশিত ভোটার তালিকা অনুযায়ী মোট ভোটার ১০ কোটি ৪১ লাখ ৯০ হাজার ৪৮০ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৫ কোটি ২৫ লাখ ৪৭ হাজার ৩২৯ জন ও নারী ৫ কোটি ১৬ লাখ ৪৩ হাজার ১৫১ জন। তবে তফসিল ঘোষণার আগ পর্যন্ত যারা ভোটার হবেন তারাও ভোট দিতে পারবেন।

আজ থেকে নির্বাচনি ক্ষণ গণনা শুরু হলেও নির্বাচন কমিশনের কর্তৃত্ব স্থাপিত হবে তফসিল ঘোষণার পর থেকে ফলাফলের গেজেট প্রকাশ পর্যন্ত। সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা-২০০৮ অনুযায়ী নির্বাচনের পূর্ব সময় বলতে বোঝানো হয়েছে, জাতীয় সংসদের সাধারণ নির্বাচন কিংবা কোনো শূন্য আসনে নির্বাচনের ক্ষেত্রে কমিশন কর্তৃক নির্বাচনি তফসিল ঘোষণার পর দিন থেকে নির্বাচনের ফলাফল সরকারি গেজেটে তারিখ পর্যন্ত সময়কাল।#



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

নির্বাচন বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৭ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই