তারিখ : ২৮ মার্চ ২০২৪, বৃহস্পতিবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

বাংলাদেশে ম্যালেরিয়া রোগের ঝুঁকি,বিশেষজ্ঞদের অভিমত

বাংলাদেশে ম্যালেরিয়া রোগের ঝুঁকি,বিশেষজ্ঞদের অভিমত
[ভালুকা ডট কম : ০১ নভেম্বর]
বাংলাদেশে বর্তমানে প্রায় পৌনে দু’কোটি মানুষ ম্যালেরিয়া রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞগন। তবে দেশের ৬৪ জেলার মধ্যে ১৩টি জেলায় ম্যালেরিয়ার প্রকোপ রয়েছে। প্রতি বছর এই রোগে অসুস্থতা এবং মৃত্যুর প্রায় ৯৮ শতাংশই  ঘটে থাকে  দেশের  সীমান্তবর্তী এ ১৩টি জেলায়।

তবে সবচেয়ে বেশি প্রকোপ পার্বত্য চট্টগ্রামের বান্দরবান, রাঙামাটি এবং খাগড়াছড়ি-এই তিন জেলায়। ম্যালেরিয়া প্রবন অন্যান্য জেলাগুলো হচ্ছে- কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার, সিলেট,হবিগঞ্জ, নেত্রকোনা, ময়মনসিংহ, শেরপুর এবং কুড়িগ্রাম। বুধবার রাজধানীর ব্র্যাক সেন্টারে আয়োজিত ’ম্যালেরিয়া নির্মূলে বাংলাদেশ: বাস্তবতা ও প্রতিবন্ধকতা’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জাতীয় ম্যালেরিয়া নির্মূল ও এডিসবাহিত রোগ নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির ডেপুটি প্রোগ্রাম ম্যানেজার ও বেন-ম্যাল ও ডেঙ্গু কর্মসূচির প্রোগ্রাম ম্যানেজার ডা. এম এম আক্তারুজ্জামান।

অনুষ্ঠানে মোহাম্মদ নাসিম বলেন, ২০৩০ সাল নাগাদ ম্যালেরিয়া নির্মূলে যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণের কথা বলা হয়েছে, আমি আশা করছি ওই সময়ের মধ্যে আমরা সেই লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারব। কারণ অল্প সময়ে যদি আমরা বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে দেশ স্বাধীন করতে পারি, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দারিদ্র্য বিমোচনের মাধ্যমে অন্ধকার থেকে আলোকিত করতে পারি, তাহলে ম্যালেরিয়া কেন নির্মূল করতে পারবনা?

ম্যালেরিয়া নির্মূলে তিনি মশারি ব্যবহারের ওপর গুরুত্ব আরোপ করে বলেন, ম্যালেরিয়া প্রবণ এলাকাগুলোতে শুধু মশারি বিতরণ যথেষ্ঠ নয়, বরং তা সত্যিকার অর্থে জনগণ ব্যবহার করছে কি-না সেদিকে আমাদের বেশি মনোযোগ দিতে হবে। স্বাস্থ্যখাতসহ সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড তুলে ধরার পাশাপাশি ম্যালেরিয়া নির্মূলে আরও বেশি সচেতনতা গড়ে তুলতে বিশেষ প্রতিবেদন প্রচার ও প্রকাশ করার জন্য মন্ত্রী গণমাধ্যমকর্মীদের আহ্বান জানান।

মূল প্রবন্ধে বেশ কিছু চ্যালেঞ্জের কথা তুলে ধরা হয়। এগুলো হচ্ছে- সীমান্তবর্তী ও পার্শ্ববর্তী দেশে ম্যালেরিয়ার প্রকোপ এবং আন্তঃসীমান্ত চলাচল/পারাপারকারীর এই রোগে আক্রান্তের প্রবণতা, অতি দুর্গম এলাকাতে রোগটি স্থানান্তর হওয়া, বাহক মশার  আচরণ ও স্বভাব বিষয়ে  বৈজ্ঞনিক তথ্যের অভাব, কম প্রকোপ এলাকার জনগণের মধ্যে ম্যালেরিয়া সম্পর্কিত ভীতি কমে যাওয়া, এবং প্রয়োজনীয় বাজেট বরাদ্ধ কমিয়ে  দেওয়া ইত্যাদি।

এ প্রসঙ্গে জণস্বাস্থ্য সংগ্রাম পরিষদ এর আহবায়ক ডাক্তার ফায়জুল হাকিম বলেন, জনস্বাস্থ্য রক্ষায় সরকারের বাজেট কম, নজরদারী কম এবং উদ্যোগও কম। ফলে এ দেশে মশাবাহিত রোগ ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গু বা চিকনগুনিয়ার ঝুঁকি বেড়েছে।  এ ব্যাপারে সরকারের আন্তরিক হতে হবে, জনগণের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে হবে।

গতকালের গোলটেবিল বৈঠৈকেও বেশ কয়েকটি সুপারিশ করা হয়েছে।  এগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে পার্শ্ববর্তী বা সীমান্তবর্তী দেশের সঙ্গে সমন্বয় করে রোগ নিয়ন্ত্রণের কৌশল নির্ধারণ করা, বেসরকারি চিকিৎসক,  স্থানীয় সংস্থা সমন্বয়ে চিকিৎসা ও প্রতিরোধমূলক  তৎপরতা জোরদার করা, সীমান্ত ও  পার্বত্য এলাকায় কর্মরত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মাঝে  সচেতনতা  বৃদ্ধি করা  এবং সীমান্ত পারাপারকারীদের চিহ্নিত করে তাদের ম্যালেরিয়া বিষয়ে সচেতন থাকার পরামর্শ দেয়া।#



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

অন্যান্য বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৬ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই