তারিখ : ১৯ মার্চ ২০২৪, মঙ্গলবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

আবারও চালু হলো নিষিদ্ধ হীরা ব্রিকস্

উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে আবারও চালু হলো নিষিদ্ধ হীরা ব্রিকস্
[ভালুকা ডট কম : ১৩ নভেম্বর]
উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার নাভারণ ইউনিয়নের কুন্দিপুর গ্রামের হীরা ব্রিকস’র কার্যক্রম চলমান থাকায় এলাবাসির মাঝে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে মালিক পক্ষের খুঁটির জোর কোথায়। বহুল আলোচিত এই ইট ভাটাটি প্রশাসন একাধিকবার বন্ধের নির্দেশ ও দফায় দফায় জরিমানা আদায় করলেও চলতি মৌসুমে আবারো ইট প্রস্তুত শুরু করেছে মালিক পক্ষ।

উল্লেখ থাকে যে, গত ১৯ ফেব্রুয়ারী উচ্চ আদালত (হাইকোর্ট) ভাটার কার্যক্রম বন্ধের জন্য নির্দেশনা দেয়। যার স্মারক নং-০৫.৪৪.৪১০০. ০০৯.০৩.০০১.২০১৮-৪৮। সরেজমিনে দেখা যায়, ঝিকরগাছা উপজেলার নাভারণ কুন্দিপুর গ্রামে গড়ে উঠা হীরা ব্রিকস’র খুব কাছেই রয়েছে কুন্দিপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, রয়েছে জনবসতিসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। ইট ভাটার স্থান সহ এর চার পাশে রয়েছে ফসলি জমি। যার ফলে পরিবেশ অধিদপ্তর হীরা ব্রিকস’র অনুমতি বা লাইসেন্স প্রদান করেননি। এক পর্যায়ে ভাটা মালিক রফিকুল ইসলাম স্থানীয় প্রশাসনকে ম্যানেজ করে ভাটার কার্যক্রম চালু করলে স্থানীয় সচেতন মহল একাধীকবার অভিযোগ করেন জেলা প্রশাসনসহ বিভিন্ন দপ্তরে। ফলে জেলা প্রশাসনের নির্দেশে ঝিকরগাছা উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা দু দফায় ভ্রাম্যমান আদালতের কার্যক্রম চালিয়ে ভাটাটি বন্ধসহ জরিমানা আদায় করেন। এরপর ভাটাটি কিছুদিন বন্ধ থাকলেও চলতি মৌসুমে ভাটার কার্যক্রম শুরু করেছে মালিক পক্ষ। এমতাবস্থায় আবারো চরম হতাশা বিরাজ করছে স্থানীয় সচেতন মহলে।

প্রশ্ন উঠছে ভাটা মালিকের খুঁটির জোর কোথায়, উচ্চ আদালতের কোন নিষেধাজ্ঞায় কর্ণপাত করছে না ভাটা মালিক রফিকুল ইসলাম ও আব্দুল গফুর টিটু । এহেন পরিস্থিতি থেকে বাঁচতে এলাকাবাসী আবারো জেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তরে ভাটাটি বন্ধের জন্য আবেদন করেছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর একটি নির্দেশনায় জানা যায়, (৩) ফসলি জমিতে এবং স্কুল-কলেজ ও মাদরাসার ০১ কিলোমিটারের মধ্যে কোন ইটভাটা তৈরী করা যাবে না। সেখানে ভাটার পাশে সকল জমি (৩) ফসলী এবং তার পাশের জমি থেকে আবাসিক এলাকা শুরু, তাছাড়া ৪০ গজ দূরে কুন্দিপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং ৭০ গজ দূরে করিমালী এর এ কে আলিম মাদরাসা অবস্থিত। যশোর পরিবেশ অধিদপ্তরের ২২.০২.৪০৪১.২৯৯.২৭.০০১.৪০৫ নং স্মারকে ভাটা বন্ধের ইস্যুকৃত একটি পরিপত্রে বলা হয়েছে ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রন) আইন-২০১৩ এর ৮(৩)(ঙ) ধারা মোতাবেক ইটভাটাটি নিষিদ্ধ এলাকায় অবস্থিত।

বলা হয়েছে বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, ১৯৯৫ ও বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ বিধিমালা, ১৯৯৭ এবং ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রন) আইন-২০১৩ অনুযায়ী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আইনের এতো বিধি নিষেধ থাকার পরও কিভাবে আবারো নিষিদ্ধ ঘোষিত হীরা ব্রিকস তাদের কার্যক্রম চালু করলো তা কারুরি বোধগম্য নয়। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মহোদয়ের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন কুন্দিপুর গ্রামের হাজার হাজার সচেতন মহল। #



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

পরিবেশ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৬ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই