তারিখ : ২৯ মার্চ ২০২৪, শুক্রবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

নওগাঁ-৬ আসনে নতুন মুখ রেজুতে সন্তুষ্ট বিএনপি

নওগাঁ-৬ আসনে নতুন মুখ রেজুতে সন্তুষ্ট  বিএনপি
[ভালুকা ডট কম : ০২ ডিসেম্বর]
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নওগাঁর ৬টি আসনের বিএনপির একাধিক প্রার্থীকে মনোনিত করা হয়েছে। সম্প্রতি ঢাকার গুলশান কার্যালয় থেকে নওগাঁ-৬ (আত্রাই-রাণীনগর) আসন থেকে সাবেক প্রতিমন্ত্রী আলমগীর কবীর ও নতুন মুখ শেখ মো: রেজাউল ইসলাম রেজুকে প্রাথমিক ভাবে মনোনিত করা হয়েছে। আর এই দুই প্রার্থীর সমর্থিত দলের মধ্যে সৃষ্টি হয়েছে নতুন দ্বন্দ্বের।

আলমগীর কবীরকে মনোনিত করায় এ আসনের দুই উপজেলার বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া এবং তৃণমূল পর্যায়ের বিএনপি সমর্থিত মানুষের মাঝে চরম ক্ষোভ ও অসন্তোষের সৃষ্টি হয়েছে। এই আসনের বিভিন্ন এলাকার বিএনপি সমর্থিত মানুষেরা জানান তারা বিএনপি থেকে জনবিচ্ছিন্ন আলমগীর কবীরকে নয় তারা নতুন মুখ শেখ মো: রেজাউল ইসলাম রেজুকে ধানের শীষের রক্ষক হিসেবে দেখতে চান। কারণ রেজু দীর্ঘদিন ধরে এই আসনে ধানের শীষের পক্ষে কাজ করে আসছেন।

সূত্রে জানা, নওগাঁর আত্রাই-রাণীনগর উপজেলা এক সময় সর্বহারা ও বহুল আলোচিত বাংলাভাইয়ের অধ্যুষিত এলাকা হিসেবে পরিচিত ছিল। ১৯৯১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় ছিলেন গৃহায়ণ ও গণপূর্ত সাবেক প্রতিমন্ত্রী আলমগীর কবীর। জোট সরকারের শেষের দিকে এই জনপদে আগমন ঘঠে বহুল আলোচিত বাংলা ভাই নামক সন্ত্রাসী বাহিনীর। ২০০৬ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের শেষের দিকে আলমগীর কবীর এলডিপিতে যোগ দেন। একই বছরে এলডিপি থেকে পদত্যাগ করেন।  প্রায় এক যুগ ধরে তার ছোট ভাই বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ার হোসেন বুলু এই দুই উপজেলার বিএনপির নেতাকর্মীদের অভিভাবক হিসেবে ছিলেন। নেতাকর্মীদের সুখ-দু:খের সময় পাশে এসে দাঁড়িয়েছিলেন। তাকেই মনোনয়ন দেওয়ার দাবী ছিলো এই আসনের অধিকাংশ বিএনপির নেতা-কর্মীর। কিন্তু হঠাৎ করেই তার বড় ভাই আলমগীর কবীর পুণরায় বিএনপিতে ফিরে এসেছেন এবং দল থেকে তাকে মনোনিত করা হয়েছে। এতে দুই উপজেলার বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া, হতাশা, চরম ক্ষোভ ও অসন্তোষের দেখা দিয়েছে। অনেকে দুংখ প্রকাশ করেছেন। কেউ রাজনীতি করবে না, এমনকি ধানের শীষে ভোট দিবে না বলেও বলতে শোনা গেছে। অপরদিকে গত ২২ নভেম্বরে নওগাঁ-৬ আসনের বিএনপি ও তার অঙ্গ সংগঠনের নেতারা আলমগীর কবীরকে অবাঞ্চিত ঘোষনা করে।

রাণীনগর থানা বিএনপির সভাপতি ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এসএস আল ফারুক জেমস বলেন, এই অঞ্চলের বিএনপির সংকটময় সময়ের একমাত্র ঘনিষ্ট বন্ধু ছিলেন আনোয়ার হোসেন বুলু। অথচ এই একনিষ্ট কর্মীকে মনোনয়ন থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। এতে করে এই জনপদের বিএনপি সমর্থিত মানুষরা হতাশ হয়ে পড়েছেন। তবে আমরা কার পক্ষে কাজ করবো তা পরবর্তিতে দলীয় ভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

শেখ মো: রেজাউল ইসলাম রেজু বলেন, এই আসনে বিএনপির দু:সময়ের কান্ডারী হিসেবে পাশে ছিলেন আনোয়ার হোসেন বুলু। বিএনপিকে সাগরে ভাসিয়ে দিয়ে আলমগীর কবীর দল ত্যাগ করে চলে যান। সেই সময় দলের হাল ধরেছিলেন বুলু। কিন্তু বুলুকে রেখে তার বড় ভাই আলমগীর কবীরকে কেন মনোনয়ন প্রদান করা হলো তা আমার জানা নেই। এই আসনের মানুষ নতুন মুখকে চায়। তাই দল যদি আমাকে চ’ড়ান্ত মনোনয়ন দেয় তাহলে নতুন মুখ হিসেবে আমি অবশ্যই বিপুল ভোটে বিজয়ী হবো বলে আশাবাদি।

সাবেক প্রতিমন্ত্রী আলমগীর কবির বলেন, দল আমাকে মনোনয়ন দিলে আমি নওগাঁ-৬ (আত্রাই ও রাণীনগর) আসন থেকে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের প্রার্থী হবো। তখনই নির্ধারিত হবে এখানকার জনগনের কাছে কার গ্রহনযোগ্যতা বেশি। আতংকগ্রস্থ হয়ে প্রলাপ না বকার জন্য হাতে গোনা সংশ্লিষ্ট কয়েকজন ব্যক্তিকে আহবান জানাচ্ছি। যথাসময়ে আমরা নির্বাচনের ময়দানে মিলিত হবো বলে আশা করছি।#



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

নির্বাচন বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৬ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই