তারিখ : ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

নওগাঁর সাংসদের সম্পদ বেড়েছে সাড়ে চার,স্ত্রীর দুই গুণ

নওগাঁয় পাঁচ বছরে সাংসদ আব্দুল মালেকের সম্পদ বেড়েছে সাড়ে চার গুণ,স্ত্রীর বেড়েছে দুই গুণ
[ভালুকা ডট কম : ০৬ ডিসেম্বর]
নওগাঁ-৫ (সদর) সংসদীয় আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য, জেলা আ’লীগের সভাপতি ও আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো: আব্দুল মালেকের গত পাঁচ বছরে সম্পদ বেড়েছে সাড়ে চার গুণ। আর তার স্ত্রী শাহনাজ মালেকের সম্পদ বেড়েছে দুই গুণ। দশম ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আব্দুল মালেকের দেওয়া হলফ নামা বিশ্লেষণ করে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

সূত্রে জানা, গত ২০১৪ সালে দশম সংসদ নির্বাচনের আগে আব্দুল মালেকের জমা দেওয়া হলফ নামায় দেখা যায়, তার পেশা ছিল  ব্যবসায়ী (বিবিধ পণ্যের ব্যবসা)।  ব্যবসা থেকে আয় ছিল ৯ হাজার টাকা। কৃষি খাত থেকে ৫ হাজার ২শত ৪৫ টাকা। দোকান ভাড়া ও সঞ্চয়পত্র থেকে স্ত্রী ও পরিবারের অন্য সদস্যদের বাৎসরিক আয় ছিল ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা। এছাড়া সংসদ সদস্য হিসেবে তিনি ২ লাখ ৫৫ হাজার ৭শত ৫৫ টাকা সম্মানী পেতেন বলে হলফ নামায় উল্লেখ করেন।

একাদশ সংসদ নির্বাচনে মালেকের দেওয়া হলফনামায় দেখা যায়, তার পেশা কৃষি ও যৌথ ব্যবসা। এর বাইরে তার আয়ের উৎস ঠিকাদারী, সংসদ সদস্য ও মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে সম্মানি। মালেকের বাৎসরিক আয় ৬৫ লাখ ৩৭ হাজার ১শত ৫০ টাকা এবং তার ওপর নির্ভরশীলদের বাৎসরিক আয় ২৪ লাখ ৮৬ হাজার ৬শত ৩২ টাকা।

দশম সংসদ নির্বাচনের আগে অস্থাবর সম্পদের মধ্যে মালেকের নগদ টাকা ছিল ৫৫ হাজার ২৯৬ টাকা। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা করা অর্থের পরিমাণ ছিল ১৯ লাখ ৩৪ হাজার ৭০৪ টাকা। ব্যবসায় বিনিয়োগ করা ছিল ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা। বিভিন্ন আসবাবপত্র ছিল ১ লাখ ৫০ হাজার টাকার। এছাড়া ৩ লাখ ৭০ হাজার টাকা মূল্যের একটি জিপ গাড়ী ও ১০ তোলা সোনার কথা হলফ নামায় উল্লেখ করেছিলেন। পাঁচ বছর আগে তার স্ত্রীর নগদ টাকা ছিল ১৫ হাজার টাকা এবং বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা করা অর্থের পরিমাণ ছিল ৭ লাখ ৯১ হাজার ৫০ টাকা। বিভিন্ন সঞ্চয়পত্র ও স্থায়ী আমানতে বিনিয়োগ ছিল ৩৫ লাখ টাকা।

বর্তমানে মালেকের নগদ টাকার পরিমাণ ৯ লাখ ১৪ হাজার ৬৪২ টাকা এবং স্ত্রীর নগদ টাকা আছে ২৯ লাখ ২৫ হাজার ৩০০ টাকা। ব্যাংকে মালেকের জমার পরিমাণ ১ কোটি ১১ লাখ ৩৯ হাজার ৪১৪ টাকা এবং স্ত্রীর নামে ব্যাংকে জমা আছে ২৮ লাখ ৫৫ হাজার ৩০০ টাকা। স্ত্রীর নামে সঞ্চয়পত্র রয়েছে ১৬ লাখ টাকা। এছাড়া স্ত্রীর ১০০ ভরি সোনা রয়েছে বলে হলফনামায় উল্লেখ করা হয়েছে।

মালেকের স্থায়ী সম্পদের মধ্যে রয়েছে ঢাকার পূর্বাচলে ৮ দশমিক ৪ কাঠার জমির প্লট। যার মূল্য উল্লেখ রয়েছে ২৬ লাখ ৭৮ হাজার টাকা। পাঁচ বছর আগে ওই জমি কেনা বাবদ প্রথম কিস্তির ৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা পরিশোধ করেছিলেন বলে দশম সংসদ নির্বাচনের হলফ নামায় তিনি উল্লেখ করেন। বর্তমানে তার নামে কৃষি জমির পরিমাণ ৪ দশমিক ১শত ৬৫ একর। যার মূল্য উল্লেখ করা হয়েছে ১২ লাখ ৭৫ হাজার টাকা। পাঁচ বছর আগে তার কৃষি জমির পরিমাণ ছিল পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া ৭০ শতাংশ জমি। বর্তমানে তার স্ত্রীর স্থায়ী সম্পদ ৫ বিঘা জমির কথা হলফ নামায় উল্লেখ করা হয়েছে। এই সব জমির আর্থিক মূল্য হলফ নামায় উল্লেখ করা হয়নি।

সাংসদ আব্দুল মালেক তার হলফ নামায় সন্তানের কাছ ১৬ লাখ ৩০ হাজার টাকা ঋণ করেছেন বলে উল্লেখ করেছেন। পাঁচ বছর আগেও তিনি সন্তানের কাছ থেকে ৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা ঋণ করেছিলেন বলে উল্লেখ করেন।

আব্দুল মালেকের আগে নওগাঁ-৫ আসনে সাংসদ ছিলেন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক প্রয়াত আব্দুল জলিল। ২০১৩ সালে তার মৃত্যুর পর উপ-নির্বাচনে প্রথমবারের মতো সাংসদ নির্বাচিত হন আব্দুল মালেক। ২০১৪ সালে দশম সংসদ নির্বাচনে তিনি আবারও নির্বাচিত হন।#



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

অনুসন্ধানী প্রতিবেদন বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৭ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই