তারিখ : ১৯ মার্চ ২০২৪, মঙ্গলবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

ভালুকা মাস্টার হাসপাতালের সাথে আইআরডি'র চুক্তি

ভালুকা মাস্টার হাসপাতালের সাথে আন্তর্জাতিক গবেষণা সংস্থা আইআরডি'র চুক্তি
[ভালুকা ডট কম : ১৩ ডিসেম্বর]
বাংলাদেশে যক্ষ্মা রুগীর হার  বিভিন্ন কারনে বাড়ছে। এর মধ্যে শিশুদের যক্ষ্মা রুগীর সংখ্যাও অনেক। শিশুদের যক্ষ্মার উপসর্গ ও লক্ষণগুলো বড়দের থেকে আলাদা। ফলে শতকরা ৭১ শতাংশ যক্ষ্মা আক্রান্ত শিশু রুগীর যক্ষ্মারোগ নির্ণয় ও চিকিৎসা থেকে বাদ পড়ে যায়।

United States Agency for International Development Federal agency (USAID), কানাডিয়ান সরকার ও Bill & Melinda Gates Foundation (BMGF) এই তিন আন্তর্জাতিক সংস্থার যৌথ গবেষণা প্রতিষ্ঠান হলো Interactive Research and Development (IRD)। আইআরডি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির (NTP) সহযোগিতায় শিশুদের যক্ষ্মারোগ  নিরূপণ, চিকিৎসা ও নিয়ন্ত্রণের উপর কাজ করবে।

সংস্থাটি বাংলাদেশে সর্বপ্রথম ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও সিবিএমসি হাসপাতাল, ভালুকা ও মুক্তাগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সকে এই গবেষণা কর্মসূচির জন্য ভ্যানু নির্বাচিত করেছে। এছাড়াও ময়মনসিংহ জেলার ৩০ জন শিশুরোগ বিশেষজ্ঞের ব্যক্তিগত  চেম্বারকেও গবেষণা স্থান হিসেবে নির্বাচিত করেছে। সংস্থাটি শূন্য থেকে পনের বছর বয়সী সন্দেহজনক যক্ষ্মা আক্রান্ত শিশুদের বাছাই করবে। আইআরডি প্রতিনিধি ভালুকার মাস্টার হাসপাতালকে যেসকল সন্দেহজনক যক্ষ্মা আক্রান্ত শিশু আসবে তাদের বাছাই ও প্যাথলজিক্যাল পরীক্ষা নিরীক্ষার করার স্থান হিসাবে নির্বাচিত করেছে। সংস্থাটি ভালুকা মাস্টার হাসপাতালের সাথে এক বছর মেয়াদী চুক্তি করেছে।

যেসকল শিশুর বয়স্ক যক্ষ্মা রুগীর সরাসরি সংস্পর্শে, দুই সপ্তাহের বেশি কাশি, রুচি ও শরীরের ওজন কমে যাওয়া, রাতে শরীর ঘামা, শরীরে গুটি ইত্যাদি পাওয়া গেলে তাদের যক্ষ্মায় আক্রান্ত বলে সন্দেহ হয়। আইআরডি তাদেরকে নিবন্ধিত করবে। এসব উপসর্গ ও লক্ষণগুলো থাকলে চিকিৎসকগন রুগীর রক্ত, কফ এক্স-রে, পাকস্থলী রস, যক্ষ্মা (Mantoux test) পরীক্ষা, আল্ট্রাসনোগ্রাফি ও প্রয়োজনে CT স্ক্যান বা MRI পরীক্ষা করাবেন। নিবন্ধিত রুগীদের এসব পরীক্ষার সম্পুর্ণ খরচ আইআরডি বহন করবে। এদের মধ্যে যাদের যক্ষ্মা পাওয়া যায় তাদের সকল ওষুধ সম্পুর্ণ বিনামুল্যে সরকারি হাসপাতালের ডটস কর্ণার থেকে সরবরাহ করবে। তাছাড়া যক্ষ্মা আক্রান্ত রুগীদের পরিবারের অন্যান্য সদস্যদেরও যক্ষ্মা আছে কিনা তা যাচাই বাছাই ও চিকিৎসা করবে এবং বাকী সুস্থ্য সদস্যদের যক্ষ্মা প্রতিষেধক ব্যবস্থার আওতায় আনবে। এ কর্মসূচির ফলে বিপুল সংখ্যক বাদ পড়ে যাওয়া সন্দেহজনক যক্ষ্মায় আক্রান্ত শিশুদের চিকিৎসা ও বাংলাদেশের জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি (NTP) সফল হবে।

আন্তর্জাতিক যৌথ সংস্থা আইআরডি ভালুকার মাস্টার হাসপাতালকে গবেষণার স্থান নির্বাচন করায় শিশু বিশেষজ্ঞ ডাঃ মুশফিকুর রহমান সংস্থাটির কর্মকর্তা, ভালুকার উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা  ডাঃ মোঃ একরাম উল্লাহ ও সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক এবং অন্যান্যদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানান। #



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

ভালুকা বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৬ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই