তারিখ : ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

চতুর্থবারের মতো প্রধানমন্ত্রীর শপথ নিলেন শেখ হাসিনা

চতুর্থবারের মতো প্রধানমন্ত্রীর শপথ নিলেন শেখ হাসিনা
[ভালুকা ডট কম : ০৭ জানুয়ারী]
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হিসেবে সরকার গঠন করছে আওয়ামী লীগ। আজ সোমবার বিকেলে বঙ্গভবনে শপথ গ্রহণ করেন প্রধানমন্ত্রী, নতুন মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী-উপমন্ত্রীরা। মন্ত্রিপরিষদ সচিব শফিউল আলমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানের শুরুতেই কোরআন থেকে পাঠ করা হয়। এরপর শেখ হাসিনা নতুন  প্রধানমন্ত্রী ও গোপনীয়তার শপথ গ্রহণ করেন। রাষ্ট্রপতি তাকে শপথ পাঠ করান। শপথ শেষে তিনি শপথ পত্রে স্বাক্ষর প্রদান করেন। মঞ্চ থেকে নেমে আসার পর বোন শেখ রেহানাকে জড়িয়ে ধরেন। এসময় অন্যান্য সিনিয়র নেতাদের সঙ্গেও তিনি কুশল বিনিময় করেন।

এরপর একইভাবে ২৪ জন মন্ত্রী, ১৯ প্রতিমন্ত্রী ও ৩ জন উপমন্ত্রী শপথ পাঠ করেন। এদের মধ্যে ২৭ জনই একেবারে নতুন। সরাসরি পূর্ণমন্ত্রী হচ্ছেন ৬ জন। সবশেষ মন্ত্রিসভায় ছিলেন এমন মাত্র ১৫ জনকে রাখা হয়েছে তালিকায়। তবে, এবারের মন্ত্রিসভায় এখন পর্যন্ত মহাজোটের শরিকদের কারও ঠাঁই হয়নি।

এদিকে, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। জানিয়েছেন, যেসব এলাকায় দীর্ঘদিন মন্ত্রী ছিল না এ বারের মন্ত্রিসভা গঠনে সে সব এলাকার প্রতিনিধিদের অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে ।

সোমবার (০৭ জানুয়ারী) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে সেতুমন্ত্রী বলেন,ইশতিহার বাস্তবায়নের উপযোগী করেই নবীন ও প্রবীণের সমন্বয়ে মন্ত্রিসভা গঠন করেছেন প্রধানমন্ত্রী। এতে লক্ষ্য বাস্তাবায়ন সহজ হবে। তবে মন্ত্রিসভা কিছুটা সম্প্রসারণ হতেই পারে। নতুন যারা দায়িত্ব পেয়েছেন তারা ভালো পারফরম্যান্স না করতে পারলে দায়িত্বে পরিবর্তন আসতেই পারে। পারফরম্যান্সের ওপর নির্ভর করবে তারা কতদিন দায়িত্বে থাকবেন।

তবে নবীন ও প্রবীণের সমন্বয়ে গঠিত মন্ত্রিসভা বিভিন্ন মহলের প্রশংসা কুড়িয়েছে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, মন্ত্রিসভায় নতুন মুখ আসায় অনেকেই ইতোমধ্যে প্রশংসা শুরু করেছেন। এখন জনগণ কীভাবে নতুন মন্ত্রিসভাকে গ্রহণ করে তাই দেখার বিষয়। প্রত্যাশার সঙ্গে বাস্তবতার মিল রেখে তারা কাজ করতে পারবেন বলে আশা রাখি। তারা ভালো করবেন।

মন্ত্রিসভা থেকে সিনিয়র মন্ত্রীদের বাদ পড়ার বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেছেন,তারা বাদ পড়েননি। আমরা ‘বাদ পড়া’ শব্দটি বলতে চাই না। শুধু দায়িত্বে পরিবর্তন আনা হয়েছে। যারা বাদ পড়েছেন কাউকে ব্যর্থ বলা চলে না। তারা অনেকেই সফলভাবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এখন তারা দলের কাজে মনোনিবেশ করবেন। কারণ অনেক সময় সরকারের মধ্যে দল হারিয়ে যায়। তখন দলের অস্তিত্ব থাকে না। দলকে শক্তিশালী করা দরকার। আধুনিক ও স্মার্ট দল থাকলে কাজ করতে সুবিধা। সিনিয়ররা এখন দলকে আরও শক্তিশালী করতে কাজ করবেন।

শরিক দলগুলো থেকে মন্ত্রী নেই কেন এতে জোটের রাজনীতিতে কোনও প্রভাব পড়বে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন,শরিক দলগুলো আমাদের সঙ্গেই আছে, ভবিষ্যেতেও থাকবে। মন্ত্রী না হলেই যে কেউ থাকবে না এমন নয়। পাঁচ বছর অনেক সময়। কখন কে আসবে, কে যাবে তা বলা যায় না। দায়িত্বে পরিবর্তন আসতেই পারে। তিনি আরও বলেন,দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযান চলবে ও সুশাসন প্রতিষ্ঠায় সরকার কঠোর অবস্থানে থাকবে।#



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

অন্যান্য বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৭ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই