তারিখ : ২৪ এপ্রিল ২০২৪, বুধবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

ভালুকায় উচ্ছেদ আতংকে ৪০ পরিবার

ভালুকায়  উচ্ছেদ আতংকে ৪০ পরিবার
[ভালুকা ডট কম : ১৮ জানুয়ারী]
ভালুকা উপজেলার উথুরা ইউনিয়নের নারাঙ্গী গ্রামে বসতবাড়ি থেকে উচ্ছেদ আতংকে দিন কাটাচ্ছে প্রায় ৪০টি অসহায় দরিদ্র পরিবার । জানা যায় উপজেলার নারাঙ্গী মৌজার ৯৬ ও ৯৮ দাগের ৩ একর ৩১ শতাংশ জমি সরকারী গ্যাজেটভূক্ত সংরক্ষিত বনভূমি বলে দাবি করছে স্থানীয় বন বিভাগ। ওই জমিতে বন বিভাগের একটি সাইন বোর্ড রয়েছে। বনের দাবীকৃত ওই জমিতে প্রায় ৪০টি পরিবার বাড়ীঘর নির্মাণ করে বসবাস করছে ।

পরিবারগুলোর দাবি, তারা সকলেই খেটে খাওয়া গরীব মানুষ। তারা জানান অনেকের বাপ-দাদা ও পূর্ব পুরুষের কবর ওই জমিতে রয়েছে। বংশ পরম্পরায় অনেকেই এখানে বসবাস করে আসছেন। ক্রয় সূত্রে তারা ওই জমির মালিক হলেও তাদের কাছে কোন প্রকার দলিলপত্র নেই। তবে প্রত্যেকের দাবি, তারা  সকলেই ভূমিহীন হিসেবে ওই জমিতে বসবাস করছেন।

উপজেলার উথুরা গ্রামের হাফিজ উদ্দিন, শামছুদ্দিন গং ওই জমির মালিকানা দাবি করে জমি থেকে অবৈধ দখলদার উচ্ছেদের জন্য ওইসব পরিবারের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করলে আদালত হাফিজ উদ্দিন, শামছুদ্দিন গংদের পক্ষে রায় প্রদান করেন। পরে আদালতের মাধ্যমে বাদি পক্ষ ১৭জানুয়ারী বৃহষ্পতিবার পুলিশ নিয়ে ওই জমিতে যাওয়ার উদ্যোগ নিলে জমিতে বসবাসকারী দরিদ্র পরিবারগুলোর মাঝে উচ্ছেদ আতংক ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয় বন বিভাগের পক্ষ থেকে বনের আইনজীবির মাধ্যমে জেলা জজ আদালতে আপিল করা হলে সহকারী জজ আদালতের রায়ের উপর দুই মাসের স্থগিতাদেশ প্রদান করেন জেলা জজ আদালত।

ওই জমিতে বসবাসকারী হাবলু মিয়া জানান, তারা প্রায় ৪০টি পরিবার বাড়ীঘর নির্মাণ করে বহু বছর যাবৎ  বন বিভাগের ওই জমিতে বসবাস করে আসছেন। এই জমি থেকে উচ্ছেদ করা হলে তারা স্ত্রী-সন্তান নিয়ে কোথায় যাবে। মামলার বাদি উথুরা গ্রামের শামছুদ্দিন বলেন, ‘সিএস, আর ও আর মূলে তারা নারাঙ্গী মৌজার ওই জমির মালিক। তাদের ১একর ২৮ শতাংশ জমিতে অবৈধ দখলদার রয়েছে। পরে জমি থেকে অবৈধ দখলদার উচ্ছেদের জন্য সহকারী জজ আদালতে মামলা করে তারা রায় পেয়েছন। গত ১৭ জানুয়ারী বৃহষ্পতিবার আদালত পুলিশ নিয়ে উচ্ছেদ অভিযানে যাওয়ার উদ্যোগ নেয়। ওই সময় বন বিভাগের পক্ষ থেকে জেলা জজ আদালতে আপিল দায়ের করা হলে আদালত একতরফাভাবে তাদের মামলার রায়ের উপর দুই মাসের স্থগিতাদেশ প্রদান করেন।

ভালুকা উপজেলার উথুরা রেঞ্জের রেঞ্জ কর্মকর্তা নূর মোহাম্মদ জানান উপজেলার নারাঙ্গী মৌজার ওই জমি বন বিভাগের গ্যাজেট ভূক্ত। হাফিজ উদ্দিন, শামছুদ্দিন গং ওই জমির মালিকানা দাবি করে মামলায় বনবিভাগের সাথে দুই বার হেরেছেন। মামলাটি বর্তমানে উচ্চ আদালতে পেন্ডিং রয়েছে। পরে, হাফিজ উদ্দিন ও শামছুদ্দিন গং বনবিভাগকে পক্ষভূক্ত না করে শুধু ওই জমির দখলকারদের বিরুদ্ধে সহকারী জজ আদালতে উচ্ছেদ মামলা করেন। ওই মামলার রায় মুলে ১৭ জানুয়অরী বৃহষ্পতিবার আদালতের মাধ্যমে তারা জমিতে উচ্ছেদ অভিযান করার উদ্্েযাগ নেন। বিষয়টি জানতে পেরে বৃহষ্পতিবার বন বিভাগ জেলা জজ আদালতে আপিল দায়ের করেন। পরে আদালত নিন্ম আদালতের রায়টি দুই মাসের জন্য স্থগিত করেন।

বন বিভাগের ভালুকার উথুরা রেঞ্জ অফিস সূত্র জানাযায় নারাঙ্গী মৌজার ৯৬ ও ৯৮ দাগের ৩ একর ৩১শতাংশ জমি সরকারী বনভূমি হিসাবে গেজেষ্টভূক্ত সংরক্ষিত বনভুমি। গত ২০০৮-২০০৯অর্থবছরে ওই জমিতে অংশিধারিত্ব মূলক সামাজিক বনায়ন করা হয়েছে।#

             



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

ভালুকা বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৭ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই