তারিখ : ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

তজুমদ্দিনে দুই শতাধিক শিক্ষার্থীর জন্য দুইজন শিক্ষক

তজুমদ্দিনে দুই শতাধিক শিক্ষার্থীর জন্য দুইজন শিক্ষক
[ভালুকা ডট কম : ১২ ফেব্রুয়ারী]
ভোলার তজুমদ্দিনে উত্তর চাঁচড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ২ শতাধিক শিক্ষার্থীর জন্য ৩ জন শিক্ষক থাকলেও একজন সহকারী শিক্ষক রয়েছেন ডি.পি.এড প্রশিক্ষণে। যারফলে ভেঙ্গে পড়েছে ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষা ব্যবস্থা। কোমলমতি শিক্ষার্থীরা বঞ্চিত হচ্ছে নিয়মিত পাঠদান থেকে। যতদ্রুত সম্ভব ওই বিদ্যালয়ে শিক্ষক দিয়ে শিক্ষার পরিবেশ ফিরিয়ে দেয়ার দাবী কোমলমতি শিক্ষার্থীদের।

৩১ ডিসেম্বর ১৮ পর্যন্ত ৪জন শিক্ষক কর্মরত থাকলেও জানুয়ারী মাসে সহকারী শিক্ষক মোঃ এরশাদ হোসেন ডি.পি.এড প্রশিক্ষণে চলে যায়। পরে জ্যৈষ্ঠতার ভিত্তিতে সহকারী শিক্ষক সিরাজুল ইসলাম পদোন্নতি পেয়ে অন্য বদ্যালয়ে চলে গেলে পুরোপুরি ভেঙ্গে পড়ে বিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ হোসেন আহাম্মদ বিভিন্ন সময় অফিসিয়াল কাজে ব্যস্ত থাকলে ২শত ৬৫জন শিক্ষার্থীদের একমাত্র শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন সহকারী শিক্ষক নাছির উদ্দিন আকবর। শিক্ষক সংকটের ফলে সবার জন্য প্রাথমিক শিক্ষ কার্যক্রম সরকারের এমন ঘোষনা বেস্তে যেতে বসেছে ওই এলাকায়।প্রান্তিক জনগোষ্টিক কথা মাথায় রেখে ১৯৫২ সালে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা লাভ করে। পরে ১৯৭৩ সালে বিদ্যালয়টি জাতীয় করণ হয়। এরপর থেকে বিদ্যালয়টি পড়াশুনার দিক থেকে অনেক সুনাম অর্জন করলেও বর্তমানে শিক্ষক সংকটের কারণে হারাতে বসেছে তার গৌরবময় অতীত ইতিহাস।

সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিদ্যালয়টির শিশু শ্রেণিতে ৩০জন, প্রথম শ্রেণিতে ৪৬জন, দ্বিতীয় শ্রেণিতে ৫০জন, তৃতীয় শ্রেণিতে ৩৬জন, চতুর্থ শ্রেণিতে ৫২ ও পঞ্চম শ্রেণিতে ৫০ জন শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত রয়েছে। দুই সিফ্টে স্কুলটিতে এক এক সিফটে ক্লাশ নিতে কমপক্ষে ৩ জন শিক্ষক প্রয়োজন হলেও দুইজন দুইটি ক্লাশ নিলেও অন্য একটি ক্লাশ থাকে খালি। বিদ্যালয়ের শিক্ষার সার্বিক বিষয় চিন্তা করেন প্রধান শিক্ষক শিক্ষার পরিবেশ ঠিক রাখতে এলাকার ২জন লোক দিয়ে ক্লাশ করাচ্ছেন।

বিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীর অভিভাবকরা পেশায় কৃষক ও জেলে হওয়ায় তারা মোটা অংকের টাকা খরচ করে তাদের বাচ্চাদের নামি দামী স্কুলে পড়ানো সম্ভব হচ্ছেনা। জানতে চাইলে চতুর্থ শ্রেণির লামিয়া, রামিম, রিয়াদ ও পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী মহিম, রূপা, প্রতীমা জানান, আমাদের বিদ্যালয়ে শিক্ষক ২ জন থাকায় প্রতিদিন রুটিন মোতাবেক সব ক্লাশ হয় না। এতে করে আমাদের শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ বিঘ্নিত হচ্ছে। যতদ্রুত সম্ভব আমাদের বিদ্যালয়ে শিক্ষক দেওয়ার দাবী জানাচ্ছি। উল্লেখ্য বিদ্যালয়টিতে ৯ জন শিক্ষকের পদ রয়েছে।

প্রধান শিক্ষক মোঃ হোসেন আহাম্মদ জানান, স্কুল চলাকালীন সময়ে শিক্ষক স্বল্পতার কারণে ক্লাশ পরিচালনা করতে খুবই সমস্যা সৃষ্টি হয়। প্রধান শিক্ষক হিসেবে আমি অফিসিয়াল কাজে ব্যস্ত থাকতে হয়। তখন একজন সহকারী শিক্ষক দিয়ে বিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করা সম্ভব না হওয়ায় বাহির থেকে ২জন লোক এনে বিদ্যালয়ে ক্লাশ করাচ্ছি।

বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোঃ সিদ্দিকুর রহমান জানান, আমাদের স্কুলে শিক্ষক স্বল্পতার কারণে শিক্ষাকার্যক্রম ভেঙ্গে পড়ছে। তাই আমি কর্তৃপক্ষে কাছে যতদ্রুত সম্ভব বিদ্যালয়টিতে শিক্ষক দেয়ার জোরদাবী জানাচ্ছি।

উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ আতিকুল ইসলাম জানান, শিক্ষক সংকটের বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। মাচের্র মধ্যে শিক্ষক সংকটের সমাধানের চেষ্টা করছি, তা যদি সম্ভব না হয় তাহলে ডেপুটেশনে হলেও যতদ্রুত সম্ভব ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষক দেয়া হবে।#



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

শিক্ষাঙ্গন বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৭ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই