তারিখ : ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

নান্দাইলে গুচ্ছ গ্রামের বেহাল দশা,শিক্ষা-স্বাস্থ্য সেবা বঞ্চিত

নান্দাইলে গুচ্ছ গ্রামের বেহাল দশা,শিক্ষা-স্বাস্থ্য সেবা বঞ্চিত
[ভালুকা ডট কম : ১১ মার্চ]
ভূমিহীন, গৃহহীন, ঠিকানাহীন ও নদীভাঙ্গনী পরিবেশদূর্গত পরিবারকে পুনর্বাসনের লক্ষ্যে ২৫ বৎসর পূর্বে সরকারিভাবে নান্দাইলের ত্রিমোহনী গোচ্ছ গ্রামটি গড়ে উঠেছিল। উপজেলার সিংরইল ইউনিয়নের ত্রিমোহনী নদীর পাড়ের সরকারি এক শতক খাস জমির উপর ৪০টি ঘর নিয়ে নির্মিত এই গুচ্ছ গ্রামটি। এছাড়া নান্দাইল ইউনিয়নের ভাটিসাভার ও শেরপুর ইউনিয়নের দুটি গুচ্ছ গ্রামের একই বেহাল অবস্থা।

সরজমিন গিয়ে দেখাযায়, ত্রিমোহনীর হতদরিদ্র দূর্গত মানুষগুলোর স্বপ্ন আর সামনে এগুচ্ছে না। পরিবেশ এখনও জড়াজীর্ণ নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ। নেই কোন পাকা গণসৌচাগার। কাচা ল্যাট্রিনে কোন মতে কাগজ মোড়িয়ে তা ব্যবহার করছে। একটি মাত্র টিউবওয়েল দিয়ে চলছে পানি সরবরাহ। অন্যথায় নদীর পানি ব্যবহার বা বিশুদ্ধ পানির জন্য যেতে হয়ে অন্যগ্রামে। আট/নয় বৎসর পূর্বে ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয় পরিবারগুলো। সেখানে বর্তমানে ৩০টি ঘর রয়েছে। পরিবারের সদস্য সংখ্যা রয়েছে দুই শতাধিক। একটি কমিউনিটি সেন্টার ছিলো যার পিলারগুলো ভেঙ্গে গিয়ে নড়বড়ে অবস্থা ব্যবহার অনুপযোগী।

আধুনিক সভ্যতার শিক্ষার ছোয়ায় পৌছেনি সেসব পরিবারের শিশু-কিশোরদের ভাগ্যে। একটি মসজিদে মক্ত্যব পড়ানো হতো। মসজিদ ঘরটিরও অবস্থা খুবই নাজুক। অর্থাভাবে পড়াতে পারছেনা তাদের শিশুদের। কাছাকাছি নেই কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। গোচ্ছ গ্রাম থেকে প্রায় ২/৩ মাইল দূরে রয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। মানুষগুলো পেশায় এখনও শ্রমিক, দিনমজুর আবার অনেকেই ভিক্ষবৃত্তি করে সংসার চালায়। সরকারি কোন সহযোগীতা সেখানে পৌছায় না বলে জানান গিয়াস উদ্দিন। তাদের মধ্যে রয়েছে প্রতিবন্ধী, বয়স্ক নারী ও পুরুষ। তবে দুই/একজন বয়স্ক ভাতা কার্ড পেলেও গুনতে হয়েছে টাকা। অপরদিকে কিছু দিন আগে গোচ্ছ গ্রামে বিদ্যুৎ পৌছলেও মিটার প্রতি ধাপে ধাপে গুনতে হয়েছে ৪ হাজার থেকে ৫ হাজার টাকা।

জোস্না আক্তার ও নুরুল ইসলাম জানান, স্বাস্থ্য সেবা পাবোতো দূরের কথা সরকারি চাল-ডালই আমরা পাই না। পাশ্বর্বতী গ্রামের আব্দুল রাজ্জাক মাস্টার জানান এ বিষয়ে কয়েকবার পত্র-পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হলেও এর তেমন কোন উন্নয়ন দেখা যায়নি। গোচ্ছ গ্রামের সভাপতি (সরদার) মো. জাহেদ মিয়া গ্রামে জরুরীভাবে টিউবওয়েল, পাকা পায়খানা ও একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দাবী জানিয়ে তিনি বলেন, বর্তমান সংসদ সদস্যের কাছে তিনি এ বিষয়গুলো অবহিত করে গ্রামবাসীর জীবন মান উন্নয়নে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের অনুরোধ জানিয়েছেন। এ বিষয়ে সংসদ সদস্য মো. আনোয়ারুল আবেদীন খাঁন তুহিন বলেন, শীঘ্রই গুচ্ছ গ্রামটির উন্নয়নে বর্তমান সরকার মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে অবহিত করবেন।#



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

ভালুকার বাইরে বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৭ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই