তারিখ : ২৯ মার্চ ২০২৪, শুক্রবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

রাণীনগরের বাঁশবাড়িয়া-তিলাবদুরী রাস্তা মরণ ফাঁদ

রাণীনগরের বাঁশবাড়িয়া-তিলাবদুরী রাস্তা খানা-খন্দকে ভরা মরণ ফাঁদ,নজর নেই কর্তৃপক্ষের
[ভালুকা ডট কম : ২৮ মার্চ]
নওগাঁর রাণীনগরের বাঁশবাড়িয়া-তিলাবদুরী যাওয়ার একমাত্র গ্রামীণ রাস্তার মাঝে মাঝে বড় বড় খানা-খন্দকে ভরপুর। দেখে মনে হবে এযেন রাস্তা নয় ছোট ছোট পুকুর। এতে প্রতিনিয়তই যাত্রী সাধারণদের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে আর ঘঠেই চলেছে ছোট-বড় দুর্ঘটনার।

বর্তমান সরকার যেখানে গ্রামে শহরের সুযোগ-সুবিধা প্রদান করতে বধ্য পরিকর সেখানে গ্রামীন এই রাস্তার বেহাল দশার দীর্ঘ সময় পার হলেও তা সংস্কার করার কোন খবর নেই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের। রাণীনগর উপজেলার শেষ আর আত্রাই উপজেলার শুরু এই দুই সীমানার মাঝখানের মাত্র প্রায় ১কিলোমিটার রাস্তা বর্তমানে খানা-খন্দকে ভরা মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে চলাচলকারী সাধারন মানুষদের জন্য। এই রাস্তা দিয়ে তিলাবদুরী, জামগ্রাম, পোঁওয়াতাপাড়া, তেঘড়, বাঁশবাড়িয়া, আকনা, ঝিনা ও শাহাগোলাসহ প্রায় ১৫টি গ্রামের মানুষদের প্রতিনিয়তই চলাচল করতে হয়। চলাচলের জন্য এই রাস্তাটি একমাত্র পথ হওয়ায় জীবনের ঝুঁকি নিয়েই চরম দুর্ভোগের মধ্যে দিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। এইটুকু রাস্তার অধিকাংশ স্থানে ইট উঠে গিয়ে সৃষ্টি হয়েছে বড় বড় গর্তের। শুকনো মৌসুমে কোন মতে চলাচল করা গেলেও চরম দুর্ভোগে পড়তে হয় বর্ষা মৌসুমে। বর্ষা মৌসুমে এই সব গর্তে হাটু পানি জমে থাকে। যার কারণে দিনে কিংবা রাতে চলাচলের সময় গর্তে পড়ে উল্টে পড়তে হয় মানুষদের। দীর্ঘদিন যাবত এই সব বড় বড় গর্তসহ রাস্তার কোন সংস্কারের কাজ না করায় আজ রাস্তা নামের দুর্ভোগের সৃষ্টি হয়েছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ।

তিলাবদুরী গ্রামের সোহেল আরমান, সাখাওয়াতসহ অনেকেই বলেন আমরা চরম অবহেলিত এলাকায় বসবাস করি। যার কারণে দীর্ঘ সময় পার হলেও গ্রামীন এই অবহেলিত মরণ ফাঁদ রাস্তায় এখনো পর্যন্ত আধুনিকতার কোন ছোঁয়াই লাগেনি। স্থানীয় প্রশাসনকে বিষয়টি অনেকবার জানানোর পরও রাস্তাটি এখনোও বেহাল দশায় পড়ে আছে।

স্থানীয় ভ্যানগাড়ী চালক সাইফুল ইসলাম, ফারুক হোসেনসহ অনেকেই অভিযোগ করে বলেন আমরা খেটে খাওয়া দিনমজুর মানুষ তাই কারো নজর আমাদের উপড় পড়ে না। এইটুক রাস্তার জন্য আমাদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ভ্যানগাড়ী চালাতে হয়। অনেকবার ভ্যান উল্টে যাত্রীসহ অনেকেরই হাত-পা ভেঙ্গে গেছে। বিশেষ করে চরম বিপদে পড়তে হয় বর্ষা মৌসুমে। তাই আমরা চাই সরকার যেন আগামী বর্ষা মৌসুম আসার আগেই এই রাস্তাটি সংস্কার কিংবা পাকা করে দেন।

বড়গাছা ইউনিয়ন পরিসদ চেয়ারম্যান শফিউল ইসলাম শফু বলেন এই রাস্তা সংস্কারের জন্য সকল কাগজপত্রাদি উপজেলা প্রকৌশলী অফিসে জমা দিয়েছি। আশা করছি অল্প কিছুদিনের মধ্যেই কাজ শুরু হবে।উপজেলা প্রকৌশলী সাইদুর রহমান মিঞা বলেন, এই রাস্তার বেহাল দশা সংস্কারের জন্য উপড়মহল বরাবর প্রস্তাবনা পাঠিয়েছি। বরাদ্দ পেলেই সংস্কারের কাজ শুরু করা হবে।#



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

অনুসন্ধানী প্রতিবেদন বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৬ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই