তারিখ : ২৯ মার্চ ২০২৪, শুক্রবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

নান্দাইলের মেয়ে প্রমির দেশসেরা হবার স্বপ্ন পূরণ

নান্দাইলের মেয়ে প্রমির দেশসেরা হবার স্বপ্ন পূরণ
[ভালুকা ডট কম : ০৬ এপ্রিল]
বাবা একজন গার্মেন্টসের পিয়ন। পাঁচ ভাই-বোনের মধ্যে একজন প্রমি। ছোটকাল থেকেই ফুটবল খেলার প্রতি তার একটি সখ ছিল। ফুটবল সবসময়ই তাকে কাছে টানে। তার স্বপ্ন ছিল, একদিন সে দেশসেরা হিসাবে নন্দিত হবে। তাই ছিল তার প্রাণপণ চেষ্টা। সে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্ণামেন্টে পাঁচরুখী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পক্ষে খেলোয়াড়দের তালিকায় নাম উঠাল। সমাজের গন্ডিত বাধা পেরিয়ে চলছে একের পর এক অনুশীলন। সন্তানের সেই স্বপ্নপূরণে বাধা দেয়নি মা করুনা বেগম ও বাবা আব্দুল মোতালেব।

মা, বাবা ও ভাই-বোনের পাশাপাশি তাকে খেলার জন্য অনেকেই উৎসাহ জুগিয়েছেন। দলের অধিনায়ক হিসাবে ঠিক অধিনায়কত্বের কাজটিই করে প্রমি। বঙ্গমাতা গোল্ডকাপ ফাইনালে দৃষ্টিনন্দন এক গোল করে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা গোল্ডকাপে নিজ দলকে চ্যাম্পিয়ন করায় দারুণ অবদান রেখেছেন কিশোরী ফুটবলার প্রমি আক্তার।

প্রমি নিজেই জানিয়েছে, তার অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করেছে বর্তমান বিশ্বের সেরা ফুটবলার ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো, লিওনেল মেসি এবং নেইমার। ডি বক্সের বাইরে থেকে নেওয়া দারুণ ফ্রি কিক থেকে যখন প্রমি দারুণ এক গোল করলো, তখন দেখা গেল তার শিশুতোষ উদযাপন। ১০ নম্বর জার্সি পরিহিত প্রমি প্রথমে খানিকটা দৌড়ে তারপর দুই হাত মাথায় রেখে নৃত্যের তালে তালে গোল উদযাপনে মেতে ওঠে। পরে দুই হাত প্রসারিত করে আকাশের দিকে তাকিয়ে চক্কর দিয়েও প্রমিকে উদযাপন করতে দেখা যায়। তার করা ম্যাচের একমাত্র সেই গোলেই নির্ধারিত হয়ে যায় নান্দাইলের পাঁচরুখী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিরোপা। পাশাপাশি হয়ে উঠে তার স্বপ্নপূরণ। ম্যাচ শেষে সবাই প্রমিকে অঝর ধারায় কাঁদতে দেখেছে। যদিও তার চোখের অশ্রু ছিল বিজয়ের আনন্দের। ১০ বছরের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী প্রমি এসময় হাতে ধরে ছিল বাংলাদেশের লাল-সবুজ পতাকা।

প্রমি বলে 'আমার শ্রদ্ধেয় কোচ মকবুল হোসেন, ম্যানেজার দেলোয়ার হোসেন উজ্জ্বল তাদের পরিশ্রমে আজ এ পর্যন্ত এসেছি। 'ছোট একটা মাঠে অনুশীলন করে রুকসানা, সুইটি, প্রীতি, হালিমা, সূবর্না, রুপালি, তানিয়া ও মীম আমরা সকলেই এই পর্যন্ত আসতে পেরে নিজেকে সহ নান্দাইলের গর্ববোধ করি। প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে পুরস্কার নিতে পেরে দারুণ খুশি উদীয়মান এই ফুটবলার। গতবার তারা দেশ সেরা নন্দিত কলসিন্ধুরকে হারিয়ে রানার্সআপ হয়েছিল। এবার চ্যাম্পিয়ন হবার পর বড় ফুটবলার তথা জাতীয় দলের হয়ে খেলা এখন তার আরও একমাত্র স্বপ্ন। কিন্তু প্রমিদের মতো উদীয়মান ফুটবলারদের স্বপ্ন পূরণে বড় বাধা খেলার মাঠের অভাব।

প্রমি আক্ষেপ করে বলে- ' আমাদের মাঠ ভালো না। খেলার জন্য একটা মাঠ চাই। আর বেশি কিছু চাই না।' নান্দাইল আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আবেদীন খাঁন তুহিন প্রমীলা ফুটবল খেলোয়াড়দের সার্বিকভাবে সহযোগীতা করেছেন। বিশ্ব দরবারে লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত লাল-সবুজের পতাকা হাতে নিয়ে প্রমি যেন বিশ্ব দরবারে উড়াতে পারে, এমনটাই এখন সবার প্রত্যাশা। সেজন্য প্রয়োজন সংশ্লিষ্টদের সুদৃষ্টি কামনা।#



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

লাইফস্টাইল বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৬ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই