তারিখ : ১৯ মার্চ ২০২৪, মঙ্গলবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

ভালুকায় পল্লী বিদ্যুতের মিথ্যে মামলায় কৃষকের হাজতবাস

ভালুকায় পল্লী বিদ্যুতের মিথ্যে মামলায় কৃষকের হাজতবাস
[ভালুকা ডট কম : ২৩ এপ্রিল]
ভালুকায় পল্লী বিদ্যুতের গ্রাহক না হয়েও বিদ্যুতের মিথ্যে মামলায় উপজেলার বিরুনীয়া গ্রামের অতি সাধারণ,নিরীহ কৃষক মুসলেম উদ্দিন মন্ডলের ছেলে মোঃ জালাল উদ্দিন মন্ডলকে (৫০) তিন দিন হাজত বাস করতে হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। হাজত বাসের পর হয়রানীর শিকার ব্যক্তির ভাতিজা রিপন মঙ্গলবার মামলার কপির জন্য ময়মনসিংহ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ অফিসে গেলে তাঁকে কোন সহযোগীতা করা হয়নি বলে তার অভিযোগ।

মামলা সূত্রে জানা যায়, ময়মনসিংহ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ (ভালুকা) এর গ্রাহক কাইছান গ্রামের মোসলেম উদ্দিনের ছেলে মো: জামাল উদ্দিনের (জালাল)। যার হিসাব নম্বর ৩৫২-৫৩০০,ওই হিসাব নম্বরের বিপরীতে বিভিন্ন জরিমানাসহ পাঁচ হাজার ৫১টাকা বকেয়া বিলের অভিযোগ দিয়ে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি ভালুকার তৎকালিন এজিএম (প্রশাসন) মোঃ সেকান্দর আলী বাদী হয়ে বিদ্যুৎ আইন ২০১৮ সালের ৪০,৩২(১) বিজ্ঞ স্পেশাল প্রথম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেট বিদ্যুৎ আদালতে মামলা (নম্বর ৬৬৩০/১৮) দায়ের করেন। ওই মামলায় গত ১৮ এপ্রিল রাতে বিরুনীয়া গ্রামের মুসলেম উদ্দিন মন্ডলের ছেলে অতি সাধারণ,নিরীহ কৃষক মোঃ জালাল উদ্দিন মন্ডলকে নিজ বাড়ি থেকে মডেল থানা পুলিশ গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করে। তিন দিন বিনা অপরাধে তিনি হাজতে থাকার পর এক হাজার টাকা মুসলেকা দিয়ে গত রোববার সন্ধ্যা ৭টায় জামিনে ছাড়া পান।

হয়রানীর শিকার ব্যক্তি জালাল উদ্দিন মন্ডল জানান,আমি পল্লী বিদ্যুতের কোন গ্রাহক নৈই। অথচ বিদ্যুৎ মামলায় আমাকে তিনদিন হাজতবাস করতে হয়েছে। জামিনে বের হয়ে মঙ্গলবার দুপুরে আমার ভাতিজা রিপন ময়মনসিংহ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ (ভালুকা) এর কার্যালয়ে গেলে অফিসের জি,এম মামলার কপি সরবরাহ করতে অস্বীকার করেন এবং কোন ধরনের সহযোগিতা করেনি। কোন ধারায়, কে বাদী, কি অপরাধে আমি হাজত খাটলাম কিছুই জানি না। জি,এম যদি মামলার কপিটি দিতো জানতে পারতাম  কি কারণে হাজত খাটলাম।

এ ব্যাপারে মামলার গ্রেফতারি পরোয়ানা তামিলকারী ভালুকা মডেল থানার এস,আই শেখ গোলাম মোস্তফা রুবেল জানান, গ্রেফতারী পরোয়ানায় আসামীর নাম ঠিকানা দেখেই তাঁকে গ্রেফতার করে হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

ময়মনসিংহ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ (ভালুকা) এর এজিএম (অর্থ) তুহিন রহমান জানান, ভূক্তভোগী ব্যক্তিকে মামলার কপি দিতে জিএম স্যারের নিষেধ থাকায় তা দেয়া সম্ভব হয়নি। এ ব্যাপারে জানতে জিএম প্রকৌশলী জহিরুল ইসলামের অফিসে গিয়ে তাঁকে পাওয়া যায়নি। মোবাইল নাম্বারে ফোন দিলে তিনি রিসিভ করেননি।#



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

ভালুকা বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৬ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই