তারিখ : ১৯ মার্চ ২০২৪, মঙ্গলবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

পুষ্টির অভাবে খর্বকায় হচ্ছে দেশের শিশুরা

পুষ্টির অভাবে খর্বকায় হচ্ছে দেশের শিশুরা
[ভালুকা ডট কম : ২৫ এপ্রিল]
পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ শিশুর উচ্চতা ও ওজন বয়সের তুলনায় কম। আর ১৪ শতাংশ কৃশকায়। মূলত প্রয়োজনীয় পুষ্টির অভাবেই শিশুরা খর্বকায় ও কৃশকায় হচ্ছে এবং বয়সের তুলনায় তাদের ওজন কম হচ্ছে। একইভাবে তাদের মানসিক ও বুদ্ধিবৃত্তিক বিকাশ ভীষণভাবে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। গতকাল রাজধানীতে অনুষ্ঠিত পুষ্টি বিষয়ক এক গোল-টেবিল বৈঠকে বিশেষজ্ঞরা এমন চিত্র তুলে ধরেছেন।

বক্তারা উল্লেখ করেছেন, অপুষ্টির শিকার শুধু পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুরাই নয়; কিশোর–কিশোরী, প্রসূতি মা, এমনকি পূর্ণবয়স্ক নারী-পুরুষদের মধ্যেও অপুষ্টির মাত্রা উদ্বেগজনক। অনুষ্ঠানে উল্লেখ করা হয়েছে পরিণত বয়সের আগেই মা হয়েছেন, এমন নারীদের মধ্যে অপুষ্টির হার উদ্বেগজনকভাবে বেশি। মায়েদের অপুষ্টির কারণে নবজাতক ও দুগ্ধপোষ্য শিশুদেরও পুষ্টির অভাব ঘটে। এ প্রসঙ্গে শিশু বিশেষজ্ঞ ডাক্তার এম এম হক বলেছেন, যেসব শিশু পুষ্টিহীনতায় ভোগে তাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকার কারণে তারা সহসাই ঘন ঘন জ্বর, ডায়েরিয়া, নিউমোনিয়া, কানপাকা- এসব রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকে।

তিনি পরামর্শ দেন, শিশুদের অপুষ্টির কবল থেকে রক্ষা করতে হলে তাদের জন্মের প্রথম ছয়মাস শুধু বুকের দুধ ও এরপর ঘরে তৈরি সুষম খাবার দিতে হবে। ধীরে ধীরে তাদের খাবার তালিকায় ফল, শাকসব্জি, মাছ, ডিম ও মাংসের প্রোটিন যুক্ত করতে হবে এবং সময় মত প্রতিষেধক ইনজেকশন দিতে হবে। তাছাড়া ডায়েরিয়া বা  নিউমোনিয়ার পর শিশু দুর্বল হয়ে যায় বলে তাকে অতিরিক্ত পুষ্টিকর খাবার দিতে হবে। ডাক্তার এম এম হক আরো বলেন, সুস্থ সবল শিশুর জন্ম দানের জন্য গর্ভবতী মায়ের প্রতি যত্নশীল হতে হবে এবং পর্যাপ্ত পুষ্টিকর খাবার দিতে হবে।

গর্ভবতী মায়ের পুষ্টির গুরুত্ব ব্যাখ্যা করে বিশিষ্ট পুষ্টি বিজ্ঞানী ডাক্তার আয়েশা সিদ্দিকা বলেছেন, এ সময় মাকে বাড়তি পুষ্টির জন্য সহজলভ্য খাবারের মধ্য থেকে  প্রয়োজনীয় ভিটামিন, প্রোটিন এবং মিনারেলস বেছে নিতে হবে। কেবলমাত্র মুখরোচক খাবার বা খাবারের স্বাদ ও পছন্দ অপছন্দ না বেছে পুষ্টি গুণটা বেছে নিতে হবে যাতে একটি সুপুষ্ট শিশু জন্ম লাভ করে।

ওদিকে সরকারের পুষ্টি প্রকল্পের সাথে যুক্ত কর্মকর্তারা বলেছেন, দারিদ্র্য হ্রাস, সম্পদ বৃদ্ধি ও শিক্ষিত মা-বাবার সংখ্যা ক্রমেই বাড়ার ফলে গত এক দশকে পুষ্টি পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। কিন্তু এর গতি অত্যন্ত ধীর। তাছাড়া, অপুষ্টির কিছু মৌলিক কারণ রয়েছে, যেগুলো দূর করতে হলে জাতীয় সম্পদ বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে তার বণ্টনব্যবস্থার বৈষম্য কমাতে হবে। জনগোষ্ঠীর সব অংশের মানুষের জন্য প্রয়োজনীয় পরিমাণ পুষ্টিকর খাবার নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত অপুষ্টি সম্পূর্ণভাবে দূর করা সম্ভব হবে না।

অপুষ্টির শিকার যেহেতু মূলত দরিদ্র জনগোষ্ঠী, তাই প্রধান কর্তব্য- দারিদ্র্য দূর করা। এ ছাড়া ভাতের ওপর  অতি মাত্রায় নির্ভরতা কমানো প্রয়োজন। খাদ্যতালিকায় আমিষ ছাড়াও শাকসবজি, ডাল ইত্যাদি আরও বেশি পরিমাণে যুক্ত করার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।#



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

নারী ও শিশু বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৬ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই