তারিখ : ২৯ মার্চ ২০২৪, শুক্রবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

রাণীনগরে শ্রেণিকক্ষ সংকটে মাদুর বিছিয়ে পাঠদান

রাণীনগরে শ্রেণিকক্ষ সংকটের কারণে মাদুর বিছিয়ে পাঠদান,আগ্রহ হারাচ্ছেন স্থানীয়রা
[ভালুকা ডট কম : ২৬ এপ্রিল]
নওগাঁর রাণীনগর উপজেলার মনোহরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় বর্তমানে নানা সমস্যায় জর্জরিত। প্রয়োজনীয় অবকাঠামো, শ্রেণিকক্ষের সংকট, বৈদ্যুতিক ফ্যান না থাকাসহ নানা সমস্যায় জর্জরিত হয়ে পাঠদান ব্যবস্থা দিনদিন মুখ থুবড়ে  পড়েছে। বিদ্যালয়ে শ্রেণি কক্ষ সংকটের কারণে বাধ্য হয়ে বারান্দায় মাদুর বিছিয়ে সারিবদ্ধ ভাবে বসিয়ে পাঠদান কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বারবার জানানোর পরও এখনো কোন সমাধান মিলেনি।

জানা গেছে, উপজেলার একডালা ইউনিয়নের মনোহরপুর গ্রামে অবস্থিত মনোহরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এটি ১৯৯১ সালে স্থানীয় কিছু শিক্ষানুরাগী তাদের নিজস্ব তহবিল থেকে ৩৩ শতাংশ জমি ক্রয় করে  স্থানীয় ছেলে-মেয়েদের শিক্ষা প্রদানের লক্ষ্যে স্থাপন করা হয়। ১৯৯৫ সালের ১৬ জানুয়ারিতে বিদ্যালয়টি রেজিস্টার্ড ভুক্ত হলে ২০০২ সালে তিন কক্ষ বিশিষ্ট ভবন নির্মাণের পর থেকে আজ পর্যন্ত সরকারি বরাদ্দে আর কোন নতুন ভবন নির্মাণ না হওয়ায় শ্রেনিকক্ষ সংকটের কারণে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কোমলমতি শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ের বারান্দায় মাদুর বিছিয়ে পাঠদান কার্যক্রম চালিয়ে আসছে। তিন কক্ষ বিশিষ্ট পুরাতন ভবনে প্রতিদিন বিদ্যালয়ের প্রায় ১০২ জন শিক্ষার্থী পাঠ গ্রহণ করে। প্রতি কক্ষে চারটি করে ফ্যান থাকার কথা থাকলেও রয়েছে দু’টি করে। তাই প্রচন্ড গরমের সময় গাদাগাদি করে শিশুদের বসানোর কারণে পাঠদানের সময় মাঝে-মধ্যে ছাত্র-ছাত্রী অসুস্থ্য হয়ে পড়ে।

অভিভাবক এনামুল হক ওবায়দুলসহ বেশ কয়েকজন বলেন, আমাদের এই বিদ্যালয়টি অনেক সমস্যায় জর্জরিত। পুরাতন ভবনের কারণে আমরা সন্তানদের স্কুলে পাঠানোর পর আতংকেই থাকি। শিক্ষার্থীরা অনেক কষ্ট করে বিদ্যালয়ে এসে শিক্ষা গ্রহণ করে। বিদ্যালয়টির উপযুক্ত পরিমাণ জায়গা থাকলেও সরকারি বরাদ্দে নতুন ভবন না পাওয়ায় শ্রেণিকক্ষ সংকটে রয়েছে বিদ্যালয়টি। তাই সরকার যদি একটি আধুনিক মানসম্মত নতুন ভবন নির্মাণ করে দিতো তাহলে বারান্দায় মাদুরে বসে আমাদের সন্তানদের আর শিক্ষা গ্রহণ করতে হতো না।

প্রধান শিক্ষক ফজলার রহমান বলেন, আমরা অনেক কষ্ট করে বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের পাঠদান করায়। এলাকার অনেক মানুষ বিদ্যালয়ের এমন অবস্থা দেখে তাদের সন্তানকে বিদ্যালয়ে ভর্তি করাতে চায় না। শ্রেণিকক্ষ সংকট, বেঞ্চের সংকট, জরুরি কাগজপত্র রাখার জন্য নেই পর্যাপ্ত পরিমাণ আসবাবপত্র। এই সব সমস্যার কারণে মুখ থুবড়ে পড়েছে পাঠদানের পরিবেশ। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলছে স্থানীরা।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এমএ মাহবুবুর রহমান বলেন, ওই বিদ্যালয়ে অবকাঠমোগত কিছু সমস্যা রয়েছে। শিক্ষার মান উন্নয়নের জন্য বিদ্যালয়ের যাবতীয় সমস্যা চিহ্নিত করে ইতিমধ্যেই সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বরাবর জানানো হয়েছে। আশা করছি খুব শীঘ্রই সমস্যার সমাধানে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।#



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

শিক্ষাঙ্গন বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৬ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই