বিস্তারিত বিষয়
নওগাঁয় বাড়ছে ঝুঁকিপূর্ণ গ্যাস সিলিন্ডারের অবৈধ বেচাকেনা
নওগাঁয় বাড়ছে ঝুঁকিপূর্ণ গ্যাস সিলিন্ডারের অবৈধ বেচাকেনা
[ভালুকা ডট কম : ১৮ জুন]
নওগাঁয় রাস্তাঘাট, বাজার এলাকা ও সড়কের মোড়ে বিস্ফোরক পরিদপ্তরের লাইসেন্স ছাড়াই যত্রতত্র বিক্রি হচ্ছে পেট্রোলিয়াম (এলপি) গ্যাসের সিলিন্ডার, পেট্রলসহ বিভিন্ন দাহ্য পদার্থ।ফলে যেখানে সেখানে অবৈধভাবে মজুদ করে এই ঝুঁকিপূর্ণ সিলিন্ডার বেচাকেনা দিন দিন বেড়েই চলেছে।
বেশিরভাগ দোকানি বিস্ফোরক পরিদপ্তরের লাইসেন্স ছাড়াই এ ব্যবসা করছে। এলপি সিলিন্ডার এখন পাড়া-মহল্লার মুদি দোকানেও পাওয়া যাচ্ছে। এসব দোকানির অনেকেরই ট্রেড লাইসেন্স নেই। গ্যাস সিলিন্ডার বেচাকেনারও অনুমোদন নেই। এসব দোকানে নেই আগুন নির্বাপক যন্ত্র। বড় কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে প্রতিকারেরও কোনো ব্যবস্থা নেই। ফলে যে কোন সময় প্রাণহানির ঘটনাও ঘটতে পারে।অবৈধভাবে এলপিজি গ্যাস বিক্রি রোধে উপজেলা প্রশাসন ভ্রাম্যমান প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন এমনটিই প্রত্যাশা করছেন উপজেলার সচেতন মহল।
জানা যায়, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনের ৫২ ধারা অনুযায়ী, সেবা গ্রহীতার জীবন বা নিরাপত্তা বিপন্ন হতে পারে এমন কোনো কাজ করলে তিন বছরের কারাদন্ড, বা অনধিক দুই লাখ টাকা অর্থদন্ড বা উভয় দন্ডেদন্ডিত হওয়ার বিধান রয়েছে। কিন্তু ঝুঁকিপূর্ণ এ জ্বালানি সঠিকভাবে রক্ষণাবেক্ষণ না করে পরিদপ্তরের লাইসেন্স ছাড়া অবৈধভাবে যত্রতত্র বিক্রি করছে। দেশে সাধারণত উৎপাদনকারীর কারখানা থেকে ডিলাররা সিলিন্ডার ক্রয় করে। এরপর ডিলাররা খুচরা ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে সরাসরি ভোক্তাদের কাছে এলপি গ্যাসপূর্ণ সিলিন্ডার পৌঁছায়। এক্ষেত্রে উৎপাদনকারীরা ডিলারদের কাছে সিলিন্ডার সরবরাহের ক্ষেত্রে বিস্ফোরক পরিদপ্তরের সনদের বিষয়টি যাচাই করার কথা থাকলেও তা হচ্ছে না।
যদিও বিস্ফোরক আইন ১৮৮৪-এর অধীনে গ্যাস সিলিন্ডার বিধিমালা-২০০৪-এর ৬৯ ধারা অনুযায়ী, লাইসেন্স ছাড়া অনধিক ১০টি গ্যাসপূর্ণ সিলিন্ডার মজুদ করা যাবে। তবে বিধির ৭০ ধারা অনুযায়ী, এসব সিলিন্ডার মজুদ করার ক্ষেত্রে যথেষ্ট পরিমাণে অগ্নিনির্বাপক যন্ত্রপাতি এবং সরঞ্জাম মজুদ রাখতে হবে। এলপিজি স্থাপনা প্রাঙ্গণে ধূমপান, দিয়াশলাই বা আগুন লাগতে পারে এমন কোনো বস্তু বা সরঞ্জাম রাখা যাবে না। মজুদ করা স্থানের কাছে আলো বা তাপের উৎস থাকা চলবে না। কিন্তু এসব আইনের তোয়াক্কা না করে চায়ের দোকানে চুলার পাশে মজুদ রেখে কিংবা সিগারেটের দোকানে বিক্রি হচ্ছে এলপিজি সিলিন্ডার।
সরেজমিনে জেলার আত্রাই উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, উপজেলার বিভিন্ন ছোট ছোট দোকান, খুচরা বাজারের দোকান, রাস্তার পাশের দোকানগুলোতে যত্রতত্র ফেলে রেখে বিক্রি করছে পেট্রোল ও এলপিজি সিলিন্ডার। এসব দোকানদার বেশিরভাগই বিস্ফোরক পরিদপ্তরের লাইসেন্স নেননি। তা ছাড়া তদারকির অভাবে ঝুঁকি জেনেও দোকানিরা সনদ ও অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা ছাড়াই ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন। ঝুঁকিপূর্ণ এ জ্বালানির যথাযথ নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেই এসব দোকানে। আবার বিস্ফোরক পরিদপ্তরের সনদ নেওয়ার তোয়াক্কা করছেন না তারা। বেশিরভাগ দোকানি ব্যবসা পরিচালনার সাধারণ ট্রেড লাইসেন্স নিলেও ১০টির বেশি সিলিন্ডার মজুদ রেখে বিক্রির ক্ষেত্রে বিস্ফোরক সনদ নেওয়া বাধ্যতামূলক। কিন্তু এসব দোকানে ২০টি থেকে শতাধিক সিলিন্ডার মজুদ রেখে বিক্রি করলেও সনদ নেই। এক দোকানে নানা ব্র্যান্ডের এলপি গ্যাসবোঝাই সিলিন্ডার বিক্রি হচ্ছে। কোথাও কোথাও চা ও পানের দোকান ছাড়াও হার্ডওয়্যার, সিমেন্ট, মনোহরি ও মুদি সামগ্রী বিক্রির দোকানেও এলপি গ্যাস পাওয়া যাচ্ছে।
আত্রাই ফায়ার সার্ভিস স্টেশন অফিসার নিতাই ঘোষ বলেন, আমি এ পর্যন্ত উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজার ঘুরে ৫২টি গ্যাস সিলিন্ডারের দোকান পরিদর্শন করেছি। এর মধ্যে ১৪টির বিস্ফোরক পরিদপ্তরের লাইসেন্স পাওয়া গেলেও ৩৮টি দোকানের বিস্ফোরক পরিদপ্তরের লাইসেন্স পাওয়া যায়নি। এবং আমাদের পক্ষ থেকে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট তাদের তালিকাও দিয়েছি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: ছানাউল ইসলাম বলেন, উপজেলার প্রতিটি গ্যাস সিলেন্ডার, পেট্রলসহ বিভিন্ন দাহ্য পদার্থ বিক্রেতাদের কাছে বিস্ফোরক পরিদপ্তরের লাইসেন্স করার জন্য নোটিশ পাঠানো হবে। কেউ তা না করলে পরবর্তিতে তাদের প্রতি আইনানুগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।#
সতর্কীকরণ
সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।
কমেন্ট
অনুসন্ধানী প্রতিবেদন বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
- যশোরে চলছে অবৈধ হাসপাতাল ও ক্লিনিক [ প্রকাশকাল : ০১ মার্চ ২০২৪ ০৩.০০ অপরাহ্ন]
- গ্রামীণ সড়কে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ট্রাক্টর [ প্রকাশকাল : ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ ০৫.০০ অপরাহ্ন]
- শার্শায় বালু উত্তলনে পরিবেশ হুমকির মুখে [ প্রকাশকাল : ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ ১২.৩৫ অপরাহ্ন]
- রাণীনগরের আবাদপুকুর হাটের জরাজীর্ণ অবস্থা [ প্রকাশকাল : ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ ১০.৩০ পুর্বাহ্ন]
- জনবল সংকটে তজুমদ্দিনে বেহাল প্রাথমিক শিক্ষা [ প্রকাশকাল : ০৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ ১২.০০ অপরাহ্ন]
- রাণীনগরে আবাসিক মাস্টারপাড়া [ প্রকাশকাল : ১২ ডিসেম্বর ২০২৩ ১২.০০ অপরাহ্ন]
- রায়গঞ্জ পৌরসভায় নির্মিত ড্রেন বেড়েছে দুর্ভোগ [ প্রকাশকাল : ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ০২.০০ অপরাহ্ন]
- তজুমদ্দিনে চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ [ প্রকাশকাল : ২২ আগস্ট ২০২৩ ০২.২৫ অপরাহ্ন]
- ডিজিটাল প্রতারণার ফাঁদ এমটিএফই [ প্রকাশকাল : ২১ আগস্ট ২০২৩ ০১.৪০ অপরাহ্ন]
- রাণীনগরে কৃষি উপকরণ বিতরণে অনিয়ম [ প্রকাশকাল : ১২ আগস্ট ২০২৩ ০২.০০ পুর্বাহ্ন]
- তজুমদ্দিন হাসপাতালে নেই জলাতঙ্ক ও করোনার টিকা [ প্রকাশকাল : ২৪ জুলাই ২০২৩ ০১.০০ অপরাহ্ন]
- নান্দাইলে অবৈধ কারখানায় হুমকিতে জনজীবন [ প্রকাশকাল : ০৭ জুলাই ২০২৩ ১১.০০ অপরাহ্ন]
- রাণীনগরে শিক্ষক যখন চেয়ারম্যান ক্ষতিগ্রস্থ শিক্ষার্থীরা [ প্রকাশকাল : ০৪ জুলাই ২০২৩ ০১.০৫ অপরাহ্ন]
- অস্তিত্ব সংকটে রায়গঞ্জের চান্দাইকোনা বন্দর [ প্রকাশকাল : ০৩ জুলাই ২০২৩ ০১.১০ অপরাহ্ন]
- উন্নয়নের ছোঁয়া স্পর্শ করেনি রাণীনগরের হাট [ প্রকাশকাল : ৩১ মে ২০২৩ ০১.১৩ অপরাহ্ন]