বিস্তারিত বিষয়
দুর্নীতির আখড়া রাণীনগর সাব-রেজিস্ট্রি অফিস
অনিয়ম আর দুর্নীতির আখড়া রাণীনগর সাব-রেজিস্ট্রি অফিস,সরকার হারাচ্ছে লাখ লাখ টাকার রাজস্ব
[ভালুকা ডট কম : ১৩ জুলাই]
নওগাঁর রাণীনগর সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে সরকারী রাজস্ব ফাঁফি দেওয়ার অসৎ উদ্দ্যেশে নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে নিন্ম মূল্যে ধরে (আন্ডার ভ্যালু) একটি দলিল রেজিস্ট্রেশন করার গোমর ফাঁস হওয়ার ৬দিন পর দায় এড়াতে ঘষামাজা করে পূনরায় বাঁকী টাকা জমার দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।বর্তমানে এই সাব-রেজিস্ট্রি অফিস বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নীতি, দায়িত্বহীনতা ও সরকারকে রাজস্ব ফাঁকি দেওয়ার আখড়ায় পরিণত হয়েছে। যার কারণে সরকার প্রতি বছর এই জনগুরুত্বপূর্ন দপ্তর থেকে লাখ লাখ টাকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হয়ে আসছে। অপরদিকে কতিপয় ব্যক্তি রাতারাতি আঙ্গুল ফুলে কলাগাছে পরিণত হচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র ও দলিলের জাবেদা (নকল) কপি থেকে জানা যায়, উপজেলার কালিগ্রাম ইউনিয়নের আমগ্রাম গ্রামের মৃত-মনির উদ্দিনের ছেলে সেকেন্দার সরদার আমগ্রাম মৌজার মাঠের ৪শতাংশ ধানী জমি বিক্রয় করেন একই গ্রামের মৃত-রিয়াজ উদ্দিনের ছেলে দুলু সরদার ও হেলাল সরদারের কাছে। ওই মৌজার সরকার নির্ধারিত প্রতি শতক ধানী জমির দাম ১২হাজার ৬শত ১৩টাকা। সে হিসেবে বিক্রি জমির সরকারি মোট মূল্য (ভ্যালুয়েশন) হওয়ার কথা ৫১হাজার টাকা। এই দলিলটি দলিল লেখক সমিতির সভাপতি বাচ্চু মুহুরীর সেরেস্তায় সম্পন্ন করা হয়। কিন্তু সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের কতিপয় কর্মকর্তার যোগসাজশে দলিল লেখক সাইদুর রহমান অর্ধেক মূল্য মাত্র ২৫ হাজার টাকা নির্ধারণ করে দলিল প্রস্তুত করে। পরে দাখিলকৃত উক্ত দলিল নিন্ম মূল্য (আন্ডার ভ্যালু) হওয়ার পরেও আইনের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে/ অজ্ঞাত কারণে সাব-রেজিস্ট্রার রাশিদা ইয়াসমিন মিলি দলিলটি চুড়ান্ত অনুমোদন প্রদান করেন। যার দলিল নং-২১৪৯,তারিখ ১৮/০৬/২০১৯ইং ।
গোপনীয় বিষয়টি জানাজানি হলে দলিল রেজিস্ট্রেশনের ৬দিন পর নিজেরা বাঁচতে কোন এক সিন্ডিকেটের মাধ্যমে আইন বর্হিভূত ভাবে অবশিষ্ট টাকা জমা দেওয়া হয়। তবে মজার ব্যাপার হলো এই যে দায় এড়াতে অবশিষ্ট টাকা কৌশলে জমা দিলেও দলিলের কোথাও ৫১হাজার টাকা মূল্য উল্লেখ করা হয়নি। বিষয়টি চাউর হওয়ার পরেও জড়িতদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় খোদ পৃষ্ঠপোষক হিসেবে সাব-রেজিস্ট্রারের দিকেই সন্দেহের তীর তার দিকেই ঘুরপাক খাচ্ছে।
একাধিক গোপন সূত্রে জানা গেছে, রেজিস্ট্রেশন করার ক্ষেত্রে সরকার নির্ধারিত বিভিন্ন মৌজার জমির দেওয়া মূল্য দেওয়া থাকলে যোগসাজশে গোপনে অর্ধেক দামে (আন্ডার ভ্যালু) দলিল করা হয়। এতে করে সরকার লাখ লাখ টাকা রাজস্ব হারালেও কতিপয় ব্যক্তিরা রাতারাতি লাখপতি বনে যাচ্ছেন। প্রতিটি জাবেদা (নকল) কপির সরকারের বেধে দেওয়া ফ্রি ৬শত ৪০টাকা হলেও জাবেদা (নকল) কপির জন্য নেওয়া হয় সর্বনিম্ম ১৪’শত টাকা। দ্বিগুন ফ্রি দেওয়ার পরও প্রতিটি জাবেদা কপির জন্য দিনের পর দিন অফিস ঘুরতে হয় গ্রাহককে। এছাড়াও মৃত ব্যক্তির নামে জমি রেজিস্ট্রেশন, শ্রেণী পরির্বতনসহ বিভিন্ন অবৈধ কর্মকান্ড গোপনে এই অফিসে সিদ্ধ করা হয়। এক কথায় অনিয়মই এখন এই অফিসের নিয়মে পরিণত হয়েছে। কতিপয় ব্যক্তি বিভিন্ন রেফারেন্সের মাধ্যমে গড়ে তুলেছেন একটি প্রভাবশালী সিন্ডিকেট যাদের ছত্র-ছাঁয়ায় হরহামেশাই একের পর এক এই সব দুর্নীতির কর্মকান্ড সংঘটিত হচ্ছে।
দলিল লেখক সাইদুর রহমান বলেন এটি একটি অনিচ্ছাকৃত ভুল। এক মৌজা ভেবে আরেক মৌজার জমির দাম হিসেবে ওই জমির মূল্য নির্ধারণ করেছি। কিন্তু আরো দুই হাত যাচাই-বাছাই হওয়ার পর দলিলের চ’ড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়। তাদের চোখেও কি এই ভুলটি সেই সময় পড়েনি। তবে পরবর্তিতে অবশিষ্ট টাকা জমা দিয়েছি এবং তা দলিলে লিপিবদ্ধ করা হয়েছে। এটা তেমন কোন জটিল সমস্যা নয়।
সাব-রেজিস্ট্রার রাশিদা ইয়াসমিন মিলি বলেন এক মৌজা ভেবে আরেক মৌজার জমির মূল্য তালিকা অনুসারে মুহুরী দলিলে মূল্য উল্লেখ্য করেছেন। বিষয়টি জানার পর আমি মুহুরীকে তলব করি এবং ঘাটতি টাকা আদায় করে দলিলে জমা করি। যদি এরকম ভুল হয়ে থাকে সেক্ষেত্রে অবশিষ্ট টাকা জমা দেওয়ার কোন নির্দিষ্ট সময়সীমা নেই। যখন ইচ্ছে তখন টাকাটা জমা দেওয়া যাবে।#
সতর্কীকরণ
সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।
কমেন্ট
অনুসন্ধানী প্রতিবেদন বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
- যশোরে চলছে অবৈধ হাসপাতাল ও ক্লিনিক [ প্রকাশকাল : ০১ মার্চ ২০২৪ ০৩.০০ অপরাহ্ন]
- গ্রামীণ সড়কে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ট্রাক্টর [ প্রকাশকাল : ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ ০৫.০০ অপরাহ্ন]
- শার্শায় বালু উত্তলনে পরিবেশ হুমকির মুখে [ প্রকাশকাল : ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ ১২.৩৫ অপরাহ্ন]
- রাণীনগরের আবাদপুকুর হাটের জরাজীর্ণ অবস্থা [ প্রকাশকাল : ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ ১০.৩০ পুর্বাহ্ন]
- জনবল সংকটে তজুমদ্দিনে বেহাল প্রাথমিক শিক্ষা [ প্রকাশকাল : ০৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ ১২.০০ অপরাহ্ন]
- রাণীনগরে আবাসিক মাস্টারপাড়া [ প্রকাশকাল : ১২ ডিসেম্বর ২০২৩ ১২.০০ অপরাহ্ন]
- রায়গঞ্জ পৌরসভায় নির্মিত ড্রেন বেড়েছে দুর্ভোগ [ প্রকাশকাল : ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ০২.০০ অপরাহ্ন]
- তজুমদ্দিনে চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ [ প্রকাশকাল : ২২ আগস্ট ২০২৩ ০২.২৫ অপরাহ্ন]
- ডিজিটাল প্রতারণার ফাঁদ এমটিএফই [ প্রকাশকাল : ২১ আগস্ট ২০২৩ ০১.৪০ অপরাহ্ন]
- রাণীনগরে কৃষি উপকরণ বিতরণে অনিয়ম [ প্রকাশকাল : ১২ আগস্ট ২০২৩ ০২.০০ পুর্বাহ্ন]
- তজুমদ্দিন হাসপাতালে নেই জলাতঙ্ক ও করোনার টিকা [ প্রকাশকাল : ২৪ জুলাই ২০২৩ ০১.০০ অপরাহ্ন]
- নান্দাইলে অবৈধ কারখানায় হুমকিতে জনজীবন [ প্রকাশকাল : ০৭ জুলাই ২০২৩ ১১.০০ অপরাহ্ন]
- রাণীনগরে শিক্ষক যখন চেয়ারম্যান ক্ষতিগ্রস্থ শিক্ষার্থীরা [ প্রকাশকাল : ০৪ জুলাই ২০২৩ ০১.০৫ অপরাহ্ন]
- অস্তিত্ব সংকটে রায়গঞ্জের চান্দাইকোনা বন্দর [ প্রকাশকাল : ০৩ জুলাই ২০২৩ ০১.১০ অপরাহ্ন]
- উন্নয়নের ছোঁয়া স্পর্শ করেনি রাণীনগরের হাট [ প্রকাশকাল : ৩১ মে ২০২৩ ০১.১৩ অপরাহ্ন]