তারিখ : ২৯ মার্চ ২০২৪, শুক্রবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে ব্যস্ততা বেড়েছে কামারপল্লীতে

ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে ব্যস্ততা বেড়েছে কামারপল্লীতে
[ভালুকা ডট কম : ০৯ আগস্ট]
আসন্ন কোরবানীর ঈদকে ঘিরে শেষ সময়ে ব্যস্ততা বেড়েছে নওগাঁর কামার পাড়ায়। ক্লান্তি ভুলে দিনরাত চলছে কামারপল্লীতে টুংটাং শব্দ। কামারপল্লীর চারদিক এখন টংটাং শব্দে মুখরিত। তবে গত বছরের চেয়ে এ বছর কাজের পরিমান কম সেই সঙ্গে কামারদের প্রয়োজনীয় পন্যগুলোর দাম বাড়লেও কাজের মূল্য কিন্তু তেমন বাড়েনি। পছন্দের পশু কেনার পর কামার বাড়িতে ছুটছেন মানুষ অনেকেই।

কোরবানীর ঈদ মানেই পশু জবাই ও মাংস কাটার জন্য প্রয়োজন বিভিন্ন যন্ত্রাংশ। আর এই সব যন্ত্রে ধার দেওয়া, নতুন করে মেরামত করার জন্য যেতে কামারদের কাছে। সারাবছর কামারদের তেমন কোন খোঁজখবর না রাখলেও কোরবানীর ঈদের সময় যেতে হয় ওদের কাছে আর তেল মারতে হয় ছোট-খাটো কাজের জন্য। তাই শেষ সময়ে এসে টুংটাং শব্দে সরগম হয়ে উঠেছে কামার পাড়াগুলো। হাপরের হাঁসফাঁসে আগুনের শিখায় লোহাকে পুড়িয়ে হাতুড়ি পেটুনিতে লোহা থেকে স্ফুলিঙ্গ ছড়াচ্ছে। নিপুন হাতে তৈরী করা হচ্ছে পশু কোরবানির পাশাপাশি মাংস কাটার ছুরি, দা, বঁটি ও চাপাতি। বছরের ১১টি মাস তেমন কাজ না থাকলেও কোরবানির ঈদ আসলে রাতদিন ব্যস্ত সময় কাটাতে হচ্ছে তাদের। ছুরি-চাপাতি বানিয়ে পসরা সাজিয়ে বসেছেন দোকানিরা। কয়লার দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় তাদের কাজের কিছুটা ব্যাঘাত ঘটছে। অপরদিকে, কোরবানির ঈদে মাংস কাটার জন্য দা-ছুরির পর সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ন শক্ত কাঠের গুড়ি বা কুন্দাও বিক্রি করেছেন মৌসুমি ব্যবসায়ীরা।

ব্যবসায়ীরা জানান, সরঞ্জাম তৈরীতে স্প্রিং লোহা (পাকা লোহা) ও কাঁচা লোহা ব্যবহার হয়ে থাকে। তবে স্প্রিং লোহা দিয়ে তৈরী উপকরনের মান ভাল এবং দামও বেশী। লোহার মানভেদে  হাড়কাটি (চাপাতি) ৩৫০-৪০০ টাকা, পশু জবাইয়ের বিশেষ ছুরি ৪০০-৬০০ টাকা, চামড়া ছড়ানো ছুরি ৮০-১০০ টাকা, দা ৪০০-৪৫০ টাকা, বঁটি ৩৫০-৫০০ টাকা, হাতা ৬০-৭০ টাকা, কুড়াল ৫০০- ৭০০ টাকায় বিক্রি হয়।

জেলা সদরের চকবুলাকি গ্রামের কালাম হোসেন বলেন সামনে কোরবানীর ঈদ। পশু জবাই করতে হবে এবং মাংস কাটাতে হবে। তাই কামার বাড়িতে পশু জবাইয়ের বিভিন্ন জিনিস তৈরী, পুরনো যন্ত্রপাতি ঝালাই ও সান দেয়ার জন্য এসেছি।  কিন্তু এসে দেখি দম ফেলানোর সময় নেই কামারদের। কাজের জন্য তাদের কাছে সিরিয়াল দিতে হচ্ছে।

জেলার রাণীনগর উপজেলার ত্রিমোহানী গ্রামের আরমগীর হোসেন বলেন বছরের একটি দিন কোরবানী জবাই ও মাংস কাটার এই সব যন্ত্রপাতি ব্যবহার করা হয়। নতুন করে তৈরি করার সময় না থাকায় আমি রেডিমেট সরঞ্জামাদি কিনতে এসেছি কামারপল্লীতে। কিন্তু অন্যান্য বছরের তুলনায় দাম একটু তুলনামূলক ভাবে বেশি নেওয়া হচ্ছে।

জেলার রাণীনগর উপজেলার ত্রিমোহানী হাটের কামার শিল্পী রঘুনাথ বলেন আগের মতো এখন আর যৌবন নেই কামারদের কাজে। দিন যাচ্ছে সবকিছুর দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে। সেই সঙ্গে আমরা মূল্য বৃদ্ধি করলেই দোষ। এবছর কয়লার আমদানী না থাকায় আমরা পড়েছি বিপাকে। কি দিয়ে কাজ করবো। তবুও শেষ সময়ে এসে কাজের চাঁপ অনেকটা বৃদ্ধি পেয়েছে। সব মিলিয়ে বর্তমানে কামার পাড়ায় কাজের ব্যস্ততায় এখন চলছে উৎসবের আমেজ। আমাদের এখন দম ফেলার ফুরসত নেই।#



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

লাইফস্টাইল বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৬ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই