তারিখ : ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

ভালুকায় স্কুলে সতীর্থদের আঘাতে এক চোখ হারালো সুবর্ণা

ভালুকায় স্কুলে কোচিং করতে এসে সতীর্থদের আঘাতে এক চোখ হারালো সুবর্ণা
[ভালুকা ডট কম : ২৭ অক্টোবর]
ভালুকা উপজেলার ৬১নং আঙ্গারগাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণীর সুবর্ণা আক্তার (১১) নামে এক ছাত্রীকে স্কুলে কোচিং ক্লাস করতে এসে তার সতীর্থরা কাঁচির ঘা দিয়ে তার চোখ নষ্ট  করে দিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার সকালে পৌঁনে ৯টার সময় ওই প্রতিষ্ঠানের এক কক্ষে।

বিভিন্ন সূত্রে জানাযায়,প্রতিদিনের মতো আঙ্গারগাড়া গ্রামের আব্দুল হাকিমের এক মাত্র মেয়ে সুবর্ণ আক্তার কোচিং করার জন্য সকাল সাড়ে ৮টার সময় স্কুলের আসে।এ সময় সুবর্ণার সহপার্টি মুন্না,আসিফ, মিজান,রাব্বি, রাকিব,সজীব, সুমন ও ইশতিয়াক স্কুলের উত্তর পাশের একটি পরিত্যক্ত কক্ষে সিগারেট পান কর ছিলো। এ সময় সুবর্ণা তাঁর বান্ধবীরা পাশের কক্ষের সহপার্টিদের সিগারেট পান করার দৃশ্য ভাঙ্গা দরজার ফুটো দিয়ে বারবার দেখ ছিল। যখন সুবর্ণা দরজার ফুটো দিয়ে দেখ ছিল তখন মুন্না ও আসিফ কাঁচি দিয়ে ঘা দিলে সুবর্ণা বাম চোখে আঘাত লাগে। এ সময় তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে তাঁকে উদ্ধার করে পাশেই আঙ্গারগাড়া বাজারে তাঁর বাবা চায়ের দোকানে নিয়ে যায়। সেখান থেকে সুবর্ণার বাবা তাঁকে ভালুকা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। ভালুকায় তাঁর চোখের অবস্থা খারাপ দেখে তাঁকে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ প্রেরণ করে। রোববার সকালে চক্ষু বিভাগের ডাক্তার সুবর্ণান চোখ অপারেশ করে। ডাক্তার জানান, সুবর্ণার বাম চোখ অন্ধ হয়ে গেছে সে আর ওই চোখে কিছুই দেখবে না।

ওই স্কুলের ৫ম শ্রেণীর ছাত্র রোল নং ৩৭ তিনি জানান, তাদের ক্লাসে মোট ৫৩জন ছাত্র-ছাত্রী রয়েছে স্কুলের ক্লাশ শুরু হওয়ার পূর্বে সকাল ৯টা থেকে ১০টা পর্যন্ত সায়ের মেম্বারের ছেলে শাহীন নামে এক ব্যক্তি ছাত্র-ছাত্রীদের কোচিং করাতো। বিনিময়ে প্রতি শিক্ষার্থীর কাছ থেকে তিন শত টাকা করে আদায় করা হয়। সেই কোচিং ক্লাস করার জন্য সুবর্ণা এসে ছিলো।

আব্দুল হাকিম জানান,আমি একজন চা বিক্রেতা আমার এক মাত্র মেয়েকে শত্রুতা করে চোখের মাঝে ঘা দিয়ে চোখটি নষ্ট করে দিয়েছে। অপারেশনের পর ডাক্তার জানিয়েছেন সে ওই চোখে আর দেখবে না। আমার মেয়েটি কোচিং করতে এসে চোখ হারালো। মেয়ের অপারেশন শেষ হয়েছে আজকে এসে আমি এ ঘটনায় থানায় একটি অভিযোগ দিবো।

আঙ্গারগাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তোফায়েল আহম্মেদ জানান, কিসের আঘাতে সুবর্ণা চোখ আঘাত প্রাপ্ত হয়েছে আমি জানি না। কে করেছে সেটাও জানি না। কোনো চোখে আঘাত পেয়েছে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে তিনি বলেন ডান পাশ না বাম পাশ সেটা মনে করতে পাচ্ছি না ।

উপজেলা প্রাথমিক অফিসার জুয়েল আশরাফ জানান, আমি তো কিছুই জানি না। হেড মাস্টার তো কিছুই বলেন নি।ভালুকা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ জানান,এ ব্যাপারে আমার কাছে কেউ অভিযোগ নিয়ে আসেন নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।#



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

ভালুকা বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৭ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই