তারিখ : ২৮ মার্চ ২০২৪, বৃহস্পতিবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

ভালুকায় সভাপতির বিরুদ্ধে স্কুলের জমি বিক্রির অভিযোগ

ভালুকায় সভাপতির বিরুদ্ধে স্কুলের জমি বিক্রির অভিযোগ
[ভালুকা ডট কম : ৩১ অক্টোবর]
ভালুকা উপজেলা পাঁচগাঁও সানরাইজ উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতিসহ অন্যান্যদের বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ের জমি বিক্রি ও দখলের অভিযোগ উঠেছে। ওই ঘটনায় বিদ্যালয়ের অন্যান্য জমি দাতাদের পক্ষ থেকে ভালুকা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।

অভিযোগে জানা যায়, উপজেলার পাঁচগাঁও মৌজার বিভিন্ন দাগে একাধিক দাতার দেয়া ১একর ৫২শকত জমি রয়েছে পাঁচগাঁও সানরাইজ উচ্চ বিদ্যালয়ের নামে। এদিকে, বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি মো. আবুল হাসেম, তার ভাই জমি দাতা ও বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির বর্তমান সদস্য মো. আসাদুজ্জামান, তার আরেক ভাই বিদ্যালয়ের জমিদাতা মো. আবুল কালাম বিদ্যালয়ের মালিকানাধিন পাঁচগাঁও মৌজার সাবেক দাগ নম্বর ২২ ও হাল দাগ নম্বর ৪৩২ থেকে ৮ শতক জমি বিক্রি এবং প্রায় ১৬ শতক জমি দখল ও দোকানপাট করে ভোগদখল করছেন। এছাড়াও একই মৌজার সাবেক দাগ নম্বর ২০,২১ ও হালদাগ নম্বর ১৯৪ থেকে ৮শতক জমি ভোগদখলে আছেন সভাপতির ছেলে। ফলে, ওইসব জমি উদ্ধারে বিদ্যালয়ের এক জমিদাতা আতব আলী মন্ডলের নাতি মো. জসিম উদ্দিন মন্ডল ভালুকা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন দপ্তরে একাধিক আবেদন করেছেন।

অভিযোকারী জসিম উদ্দিন মন্ডল জানান, প্রধান শিক্ষকসহ অন্যান্যদের যোগসাজসে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি মো. আবুল হাসেম ও তার ভাইয়েরা বিদ্যালয়ের মালিকানাধিন পাঁচগাঁও মৌজার সাবেক দাগ নম্বর ২২ এবং হাল দাগ নম্বর ৪৩২ থেকে ৮ শতক জমি বিক্রি এবং ১৬ শতক জমি দখল ও দোকানপাট করে ভোগদখল করছেন। তাছাড়াও, সভাপতির ছেলে একই মৌজার সাবেক দাগ নম্বর ২০,২১ ও হালদাগ নম্বর ১৯৪ থেকে ৮শতক জমিতে পোল্ট্রি ফার্ম করেছেন। অপরদিকে, বিদ্যালয়ের আরোও এক জমিদাতা ইন্তাজ আলীও দখলে রেখেছেন বিদ্যালয়ের ২শতক জমি। এখন তারা পাশের মসজিদের এবং একই দাগের অন্যের জমি বিদ্যালয়ের নামে বুঝিয়ে দেওয়ায় পাঁতারা করছেন।

বুধবার (৩০ অক্টোবর) দুপুরে সরজমিনে গেলে ওই বিদ্যালয়ের এক জমিদাতার ছেলে ফেরদৌস কবীর জানান, বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতিসহ কমপক্ষে ৯জন দখলদার বিদ্যালয়ের ১০-১২শতাংশ জমি দখলে নিয়ে ভোগ করছেন। তাছাড়া, অভিযোগদাতা জসিম উদ্দিন নিজেও দখলে দেওয়ার জন্য বিদ্যালয় মাঠের দুই শতক জমিতে খুঁটি পুঁতেছেন। বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতির ভাই আবুল কালাম বলেন,জমিজমা সম্পর্কে আমি কিছু বুঝিনা। বড়ভাই সব জানেন।

এদিকে, জমি দখলের বিষয়টি অস্বীকার করে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি আবুল হাসেম বলেন,বিদ্যালয় মাঠে আমাদের ১৫শতক জমি রয়েছে। কাজেই উভয়ের সুবিধার্থে আমরা বিদ্যালয় মাঠের একপাশ থেকে জমি নিয়েছি। একই সময় তিনি বলেন অন্যদাগ থেকে আমি ২শতক জমি বিক্রি করে জমির ক্রেতাকে বিদ্যালয় মাঠের সাবেক দাগ নম্বর ২২ ও হালদাগ নম্বর ৪৩২ থেকে সেই জমির দখল বুঝিয়ে দিয়েছেন বলে স্বীকার করেন। তাছাড়া, অন্য দাগে বিদ্যালয়ের ৮শতক জমি তাদের ভোগদখলে আছে বলেও জানান তিনি।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবদুল মতিন জানান, বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও তার ভাইয়েরা বিদ্যালয়ের জন্য ৬৪শত জমি দান করেছেন এবং সভাপতিসহ তার তিন ভাই বিদ্যালয়ের কিছু জমি বিক্রি ও কিছু জমি দখলে নিয়ে দোকানপাট করে ভোগ করছেন। তাছাড়া, জমিদাতা ইন্তাজ আলীও বিদ্যালয়ের কিছু জমি দখল করেছেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুদ কামাল জানান, দলিল অনুসারে জমি পরিমাপ করে বিদ্যালয়কে বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি)কে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।#



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

ভালুকা বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৬ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই