তারিখ : ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

সখীপুরে ৯ খুনের আসামি বাবু শেখ গ্রেফতার

সখীপুরে ৯ খুনের আসামি বাবু শেখ গ্রেফতার,খুন করাই যার নেশা,খুনের আগে ধর্ষণ
[ভালুকা ডট কম : ২৮ নভেম্বর]
টাঙ্গাইলের সখীপুরে ৫ মাস পর বৃদ্ধা সমেলা ভানু (৫৭) হত্যার রহস্য উদ্ঘাটিত হয়েছে। নাটোর জেলা গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল নওগাঁ জেলার বাসিন্দা বাবু শেখ (৪৫) নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করলে গত ২০ নভেম্বর নাটোর আদালতে দেওয়া এক জবানবন্দিতে বাবু শেখ টাঙ্গাইলের সখীপুরের সমেলা ভানু হত্যার দায় স্বীকার করে।

বাবু শেখের নেতৃত্বে একটি খুনি চক্র টাঙ্গাইলের সখীপুর ও মির্জাপুরে দুজন বৃদ্ধাসহ আরও দুই জেলায় নয়জন নারীকে খুন করে সে। সখীপুর থানা পুলিশ নাটোর থেকে আসামি বাবু শেখকে তিন দিনের রিমান্ডে এনে ২৭ নভেম্বর বুধবার সকালে টাঙ্গাইল আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায়। বাবু শেখ টাঙ্গাইলের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতেও সমেলা ভানুসহ সারা দেশে নয়জন নারীকে খুন করার কথা স্বীকার করে। বাবু শেখ ওরফে কালু নওগাঁ জেলার রানীনগর উপজেলার হরিশপুর গ্রামের জাহের আলীর ছেলে।

সখীপুর থানার ওসি (তদন্ত) এএইচ এম লুৎফুল কবির জানান, গত ৯ জুলাই রাতে উপজেলার হাতীবান্ধা ইউনিয়নের আমড়াতৈল গ্রামের মৃত বাবর আলীর স্ত্রী সমেলা ভানু খুন হন। সিঁধ কেটে ঘরে ঢুকে শ্বাসরোধ করে ওই বৃৃদ্ধাকে হত্যা করা হয়। বাবু শেখ ও সহযোগী ডাবু মিলে ওই বৃদ্ধাকে খুন করে একটি স্বর্ণের চেইন ও পাঁচ হাজার টাকা নিয়ে যায়। ১০ জুলাই সমেলার ছেলে হোসেন আলী বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামি করে সখীপুর থানায় মামলা করেন।

ওই পুলিশ কর্মকর্তা আরও জানায়, বাবু শেখ সখীপুরের সমেলা ভানু হত্যা কান্ডের দুই মাস পর গত ১৪ সেপ্টেম্বর রাতে মির্জাপুর উপজেলার হরতকীতলা গ্রামের কাঞ্চু খানের স্ত্রী রুপভানু বেগমকেও শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। সেখান থেকে প্রায় ৪০ হাজার টাকার মালামাল চুরি করে পালায় সে। বাবু শেখ পুলিশের কাছে স্বীকার করে ৯টি খুনের মধ্যে দুটি খুনে নওগাঁ এলাকার গোলাম রসুল ওরফে ডাবুকে সে সঙ্গে নিয়েছে। টাঙ্গাইলের এ দুটি খুনে ঘরে সিঁধ কেটে ঢোকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়।

মামলার ওই তদন্তকারী কর্মকর্তা আরও জানান, সখীপুরের সমেলা ভানুর গলায় থাকা স্বর্ণের চেইনটি বাবু শেখ গাজীপুর মহানগর এলাকার গাছা থানার স্বর্ণপট্টিতে কামরুল নামের এক ব্যক্তির কাছে বিক্রি করে। এ পর্যন্ত আটবার সে কামরুলের কাছে চুরি করা সোনার গহেনা বিক্রি করে। চুরির মাল ক্রয় করার অপরাধে পুলিশ কামরুলকে গ্রেফতার করে বাবু শেখের সঙ্গে টাঙ্গাইল আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছেন।

বাবু শেখ দাবি করে, রানীনগর থানার এক ইউপি চেয়ারম্যান তাঁকে একটি খুনের মিথ্যা মামলায় আসামি করেন। এরপর থেকে নওগাঁ থেকে সে পালিয়ে নাটোর আসেন। কাজকর্ম না থাকায় গ্রামে ঘুরে ঘুরে চুরি ও চুরি করতে গিয়ে নারী ধর্ষণ ও খুনের নেশায় জড়িয়ে পড়ে সে।

সখীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমির হোসেন বলেন , বাবু শেখ একজন সিরিয়াল খুনি।  খুন করাই যেন  তার নেশা। সে বেশিরভাগ খুন করেছে রাতের বেলায় ঠান্ডা মাথায়। গত ছয় বছরে সে সখীপুরসহ নয়জন নারীকে খুন করেছে। হত্যা করার আগে ছয়জন নারীকে ধর্ষণ করেছে বলে সে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। এদিকে বুধবার টাঙ্গাইল আদালতেও সমেলা হত্যার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয় বাবু শেখ।#



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

অপরাধ জগত বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৭ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই