হাড় কাপানো শীত উপেক্ষা করে
ভালুকায় বোরো ধান রোপন শুরু
[ভালুকা ডট কম : ১৮ জানুয়ারী]
মাঘের কনকনে হিমেল হাওয়া আর ঘন কুয়াশায় ভরা হাড় কাপানো শীত উপেক্ষা করে কাঁদাপানিতে নেমে বোরো ধান রোপনে ব্যস্ত সময় পার করছেন ভালুকার বিভিন্ন গ্রামের কৃষকগণ। ১৫ জানুয়ারী ভালুকার ভান্ডাব গ্রামে বোর ধানের চারা রোপনের সাথে কথা হয় ওই গ্রামের কৃষক আব্দুর রাজ্জাক ঢালীর সাথে।

তিনি জানান দীর্ঘ সময়ব্যাপী ক্রমাগত শৈত্যপ্রবাহ ও ঘন কুয়াশার কারনে কোল্ড ইঞ্জুরিতে আক্রান্ত হয়ে বোর ধানের চারা বয়সনোসারে ঠিকমত বারেনি। চারা লাগানোর উপযুক্ত সময় হওয়ায় ছোট আকৃতির চারাই ক্ষেতে লাগানো শুরু করেছেন। তিনি জানান ৩০০ টাকা কাঠা জমি চাষ করে ৪০০ টাকা রোজ শ্রমিক দিয়ে ক্ষেত রোপন করাচ্ছেন। ১৭০ টাকা পাল্লা বাংলা টি এস পি সার ক্ষেতে প্রয়োগ করেছেন। এ বছর শ্রমিকের মজুরী সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে বলে তিনি জানান। ভালুকা উপজেলার বেশীরভাগ এলাকা ও খাল বিল নিন্মাঞ্চল হওয়ায় এখানকার কৃষকেরা   বোর আবাদে বেশী আগ্রহী।

উপজেলার ভালুকা, ভরাডোবা, মেদুয়ারী, উথুরা, ধীতপুর, বিরুনীয়া, মল্লিকবাড়ী, কাচিনা, হবিরবাড়ী ও রাজৈ ইউনিয়নের অধিকাংশ জমিতে বোরো আবাদ হয়। ভালুকার উপর দিয়ে খীরু নদী সহ বেশ কয়েকটি ছোট নদী ও অসংখ্য খাল বিল থাকায় বোরো মৌসুমে পানি সেচের সুবিধা পেয়ে থাকেন।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নার্গিস আক্তার জানান চলতি বোরো মৌসুমে লক্ষমাত্রা ধরা হয়েছে ১৮ হাজার ৯৬৫ হেক্টর জমি।  উফসী ১৮ হাজার ৮০, হাইব্রিড ৩২৫ ও স্থানীয় জাত ১০ মোট ১৮ হাজার ৯৬৫ হেক্টর জমি। উৎপাদন লক্ষমাত্রা ধরা হয়েছে ৭১ হাজার ২৪০ মেট্রিক টন। বোর মৌসুমের জন্য পর্যাপ্ত সার মজুদ রয়েছে। উপজেলা কৃষি বিভাগের পক্ষ হতে বোর আবাদে চাষীদের মাঠ পর্যায়ে লগু পদ্ধতিতে চারা রোপন সহ প্রযুক্তিগত পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।#

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।