তারিখ : ২৩ এপ্রিল ২০২৪, মঙ্গলবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

চীনে যাওয়া বাংলাদেশি পাইলট-ক্রুদের ঢুকতে দিচ্ছে না অন্যদেশ

চীনে যাওয়া বাংলাদেশি পাইলট-ক্রুদের ঢুকতে দিচ্ছে না অন্যদেশ
[ভালুকা ডট কম : ০৩ ফেব্রুয়ারী]
উহানে আটকে পড়া বাংলাদেশিদের ফিরিয়ে আনতে বিমানের একটি বিশেষ ফ্লাইটে করে চীনে যান পাইলট, কেবিন ক্রু ও চিকিৎসকরা, করোনাভাইরাস আতঙ্কের মাঝে চীনের উহান থেকে বাংলাদেশিদের ফিরিয়ে আনার কাজে নিয়োজিত বাংলাদেশি পাইলটদের অন্য দেশে ঢুকতে ভিসা দেয়া হচ্ছে না। তাই ভাড়া করা বিমানের মাধ্যমে চীন থেকে আরও ১৭১ জন বাংলাদেশিকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে।আজ (সোমবার) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভা বৈঠক প্রসঙ্গে ব্রিফিংকালে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

১৭১ জনকে কবে নাগাদ আনা হবে- এ বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, বেইজিংয়ে বাংলাদেশের দূতাবাসকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তোমরা ওদের সঙ্গে যোগাযোগ কর। আমরা কী ফেসিলিটিস দেব সেটাও যাতে তাদের জানানো হয়।

আজ বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, করোনাভাইরাসের কারণে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান থেকে ৩১২ জন বাংলাদেশিকে দেশে ফিরিয়ে আনতে বিমান পরিবহন ব্যয় বাবদ ২ কোটি ৩০ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। এখনও ১৭১ জন ছাত্রসহ বিভিন্ন বয়সের মানুষ চীনে রয়েছে, তারা আসতে চাচ্ছে।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, আমাদের প্লেন পাঠানো যাচ্ছে না। আমাদের প্লেন পাঠালে যে ক্রুরা যাবে তাদের বাইরে ভিসা দেয় না। অলরেডি সিঙ্গাপুর না করে দিয়েছে, এই ক্রুরা তাদের ওখানে আসতে পারবে না সেজন্য আলোচনা হয়েছে যে, এক্ষেত্রে যদি ভাড়া করা কোন বিমান পাওয়া যায়, চীনের কোনো ভাড়া করা বিমান যদি আনা হয় সেটা, সেটাতে অগ্রাধিকার দিতে হবে।

তিনি বলেন,তবে চীন সরকার আক্রান্ত একজনকেও ছাড়বে না। ৩১৬ জন আসার কথা ছিল ওরা ৪ জনকে ছাড়েনি। যদিও তারা করফার্ম না, খুব জ্বর ছিল, তারা রেখে দিয়েছে। ১৭১ জনকে চীন ছাড়পত্র দিলেই তারা আসতে পারবে।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার বলেন,পদ্মা সেতুসহ বড় বড় প্রজেক্টে কর্মরত ছিনা নাগরিক যারা ১৮ জানুয়ারির পর চীন থেকে এসেছেন তাদের সবাইকে কোয়ারেন্টাইনে রেখে দিয়েছি। উহানবেইজ যেসব কর্মী রয়েছে আমরা তাদের না করে দিয়েছি, ক্লিয়ারেন্স না দিলে আসতে পারবে না।

চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের বিমান চলাচল বন্ধ করে দেয়ার কোন সিদ্ধান্ত হয়েছে কি না- জানতে চাইলে তিনি বলেন,আমাদের সঙ্গে চারটি ফ্লাইট। একটি কুনমিং থেকে আসে, দুটো আসে চায়না সাউদার্ন গুয়াংজু থেকে আর ইউএস-বাংলা চলে। আজকে বিমান সচিব বললেন, আমি সিডিউল দেখলাম ১০-১২ জন প্যাসেঞ্জার হচ্ছে। মনে হচ্ছে ওরাই বন্ধ করে দিবে।

এদিকে চীনের প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৬১ জনে। ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে রোববার যারা মারা গেছেন তাদের ৫৬ জনই ভাইরাসটির উৎসস্থল হুবেই প্রদেশের। এছাড়া ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ২ হাজার ৮২৯ জন। মোট ১৭ হাজার ২০৫ জন এখন প্রাণঘাতী এই ভাইরাসে আক্রান্ত।#



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

অন্যান্য বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৭ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই