তারিখ : ২৯ মার্চ ২০২৪, শুক্রবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

ভালুকায় এসিল্যান্ড কে দেখেই কমে গেল পেয়াজ-রসুনের দাম

ভালুকায় এসিল্যান্ড কে দেখেই কমে গেল পেয়াজ-রসুনের দাম
[ভালুকা ডট কম : ২১ মার্চ]
ভালুকা উপজেলার বেশ কয়েক বাজার পরিদর্শন করেন(এসিল্যান্ড) সহকারী কমিশনার(ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেড রোমেন শর্মা। শনিবার বিকেলে তিনি মল্লিকবাড়ি বাজারে উপস্থিত হতেই কমে গেল পেয়াজ-রসুনের দাম।

বিশ্বজুড়ে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণে পাল্লা দিয়ে বড় হচ্ছে মৃত্যু মিছিল। এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে কয়েক লাখ মানুষ,মারা গেছে দশ হাজারেরও উপরে লোক। সর্দি-কাশি হলেই হাসপাতালে ছুটছে মানুষ।প্রশাসনের তথ্য মতে, ভালুকায় ১৩৭ জন লোক হোম করান্টাইনে রয়েছে। করোনা ভাইরাসের আতঙ্কে কিছু মানুষ খাদ্য দ্রব্য মজুদে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। সেই সুযোগ কাজে লাগাচ্ছেন বাজারের ব্যবসায়ীরা। বাড়িয়ে দিয়েছেন নিত্য পণ্যের দাম।

এমন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে, করোনা ভাইরাসের ঝুঁকি নিয়ে মোবাইল কোর্টের দল নিয়ে বাজারে বাজারে ঘুরে বেড়াচ্ছেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেড রোমেন শর্মা। টেনে ধরতে হচ্ছে নিত্য পণ্যের অতিরিক্ত দামের লাগাম। এ জন্য তাকে মাঝে মধ্যে কঠোর হতেও দেখা যায়। শুক্রবার বিকেলে ভালুকা ও সিডস্টোর বাজারে অতিরিক্ত দামে পণ্য বিক্রি করায় দুই ব্যবসায়ীকে জরিমানা করেন তিনি।

শনিবার ডাকাতিয়া,বাটাজোড়,আঙ্গারগাড়া,কাচিনা ও মল্লিকবাড়ি বাজার পরিদর্শন করেন। বিকেল ৪ টার দিকে মল্লিকবাড়ি বাজারে উপস্থিত হলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেড রোমেন শর্মাকে দেখেই ব্যবসায়ীরা প্রতি কেজি পেয়াজ ১০ টাকা এবং রসুনের দাম ৩০-৪০ টাকা কমিয়ে দেন। উপস্থিত ক্রেতারা রোমেন শর্মাকে জানান,তাঁকে দেখেই পেয়াজের দাম কেজি প্রতি ৬০ টাকা কমিয়ে ৫০ টাকা এবং রসুনের দাম ১৩০ টাকা থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি করছেন।

এ বিষয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেড রোমেন শর্মা বলেন, বাজার পর্যাপ্ত নিত্যপণ্য থাকার পরও ব্যবসায়ীরা বেশি দামে বিক্রি করছেন। করোনা ভাইরাস নিয়ে অতি মুনাফা লোভী মনোভাব পরিহার করতে হবে ব্যবসায়ীদের। মানুষকে কষ্ট দেওয়া যাবে না। সবাইকে সচেতন হয়ে এই ভাইরাস মোকাবেলা করতে হবে।

এ বিষয়ে ভালুকার ইউএনও ফেইস বুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন,valuka.com এর পাঠকদের জন্য সেটি হুবহু তুলে ধরা হলো ‘দেশে নিত্য প্রয়োজনীয় চাল,আটা,ডাল,তেল,পেয়াজ,রসুনসহ সকল প্রকার মালামাল পর্যাপ্ত পরিমান মজুদ আছে। তাই অযথা আতঙ্কিত হয়ে অতিরিক্ত দ্রব্য সামগ্রী ক্রয় ও মজুদ না করার জন্য সবাইকে অনুরোধ করা হলো। যে সকল ব্যবসায়ী কারসাজির মাধ্যমে দ্রব্যমূল্যের অতিরিক্ত দাম নেওয়ার চেষ্টা করবেন তাদের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট পরিচালনাসহ কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ভালুকা উপজেলায় যে সকল হাট বাজার অবস্থিত তৎসংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, মেম্বার ও হাট বাজারের সভাপতি ও সেক্রেটারীর সমন্বয়ে বাজার মনিটরিং করবেন এবং কোন ধরনের অসংগতি পরিলক্ষিত হলে তাৎক্ষণিকভাবে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার(০১৭৩৩৩৩৮৯০৩) অথবা সহকারী কমিশনার (ভূমি)(০১৭৩৩৩৭৩৩৩৫) অথবা ওসি(০১৭১৩৩৭৩৪৪১) ভালুকা-কে অবহিত করবেন। আতঙ্ক নয়, সচেতনতা কাম্য।#



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

ভালুকা বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৬ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই