তারিখ : ২৮ মার্চ ২০২৪, বৃহস্পতিবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

ভালুকা দিয়ে কর্মস্থলে ফিরতে মানুষের বিড়ম্বনা

ভালুকা দিয়ে কর্মস্থলে ফিরতে মানুষের পথে পথে বিড়ম্বনা
[ভালুকা ডট কম : ০৪ এপ্রিল]
১১দিন ছুটি কাটানো পর শ্রমিকরা কর্মস্থলে ফেরার পথে বিড়ম্বনার পাশাপাশি চারগুণ ভাড়া গুনতে হয়েছে। গণপরিবহন বন্ধ থাকায় করোনার কথা চিন্তা না করে শ্রমিকরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে  ট্রাক,পিকআপ এ করে গাদাগাদি হয়ে গন্তব্যে যাচ্ছেন। শনিবার ঢাকা-ময়মনসিংহ মহা সড়কের ভালুকা এলাকায় পুলিশের তেমন অভিযান দেখা যায়নি। যে কারণে গাদাগাদি করে যাত্রী হতে সমস্যা হয়নি।

যাত্রীরা জানান, পরিবারের সাথে দীর্ঘ ছুটি কাটানোর পর শনিবার খুব ভোরে কর্মস্থলের উদ্দেশে রওনা দেন। বাড়ি থেকে বের হয়ে ভেঙে ভেঙে কয়েকবার গাড়ি পাল্টিয়ে ভালুকা পর্যন্ত এসছি। স্ব-পরিবারে বাড়ি থেকে ফেরার সময় শিশু বাচ্চা সাথে ব্যাগ নিয়ে কয়েক বার গাড়ি পাল্টাতে গিয়ে বিষণ বিড়ম্বনা পোঁহাতে হয়েছে। আমাদেরকে বিজিএমইর পক্ষ থেকে ১০দিনের ছুটি দিয়েছে আর মহান স্বাধীনতা দিবসের একদিনের ছুটিসহ মোট ১১দিনে ছুটি পেয়েছি। দীর্ঘ ছুটি ভোগ করার জন্য অনেক কষ্ট করে বাড়ি গিয়ে ছিলাম। যদি জানতাম আসার সময় এমন কষ্ট হবে তাহলে কষ্ট করে বাড়িতে যেতাম না। পরিবার নিয়ে বার বার গাড়ি পাল্টিয়ে কর্মস্থলে পৌঁছতে চারগুণ ভাড়া গুনতে হচ্ছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পুলিশ কর্মকর্তা জানান,ট্রাক থেকে আমরা যাত্রী নামিয়ে দিলে কি হবে? শ্রমিকরা ছুটি কাটিয়ে তাদের কর্মস্থলে যাচ্ছেন। আমরা যদি শ্রমিকদেরকে গাড়ি থেকে নামিয়ে দেই বিষয়টি অমানবিক দেখা যায়। এ মহা-সড়কে গত দুই দিনে কয়েক লাখ মিল শ্রমিক কর্মস্থলে গিয়েছেন। যেখান থেকে শ্রমিকরা প্রথমে গাড়িতে ওঠেছেন সেখানে বাঁধা না দেয়ায় পথিমধ্যে এ জনস্রোত আমরা কিভাবে বাঁধা দিয়ে ঠেকাবো? শ্রমিকদের চাকরি বাঁচাতে তাদের কর্মস্থলে যাওয়া সুযোগ আমাদের করে দিতে হবে।

শনিবার সকালে মহা সড়কে বাস দিয়েও যাত্রী পরিবহন করতে দেখা যায়। ১০টার দিকে সড়কে পুলিশ ডিউটিতে আসার পর বাস চলাচল সীমিত আকারে বাস চলাচল করে। তখন ট্রাক পিক-আপ এ করে যাত্রী পরিবহণ শুরু করে। দুপুরের দিকে সড়কে পুলিশ ডিউটি থাকার পরও ভালুকা বাস থেকে ট্রাক, পিক আপ,লেগুনায় ডেকে ডেকে যাত্রী তোলে নিয়ে যেতে দেখা যায়।

এসকিউ কোম্পানির শ্রমিক আসাদ জানান, শেরপূর থেকে জানবাজি রেখে ট্রাক,অটো, পিকআপে কয়েক বার গাড়ি পাল্টিয়ে  ভালুকা পর্যন্ত এসেছি। পরিবার নিয়ে কর্মস্থলে ফিরতে চারগুণ খরচ হবে। তারপরও অনেক সুখ পেয়েছি দীর্ঘ ছুটিতে। ছুটি পেয়ে অনেক দিন পরিবারের সদস্যদের সাথে কাটিয়ে এলাম। এ ধরনের লম্বা ছুটিতে গার্মেন্টস কোম্পানিতে পাওয়া যায় না সুযোগটা কাজে লাগিয়েছি।

ভরডোবা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ (পরিদর্শক) উজায়ের আল মাহমুদ আদনান জানান, শ্রমিকরা ছুটি কাটিয়ে কর্মস্থলে ফিরছেন। গণপরিবহণ না থাকায় তাদেরকে বিড়ম্বনায় পরতে হচ্ছে। আমার চেষ্টা করছি সড়কের শৃংখলা বজায়ে রাখতে। #



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

ভালুকা বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৬ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই