তারিখ : ২৯ মার্চ ২০২৪, শুক্রবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

নওগাঁয় চলছে বোরো ধান কাটার উৎসব, খুশি কৃষক

নওগাঁয় চলছে বোরো ধান কাটার উৎসব,ফলন আর দামে খুশি কৃষক
[ভালুকা ডট কম : ১৩ মে]
নওগাঁর রাণীনগরে চলছে ইরি-বোরো ধান কাটার উৎসব। চলতি মৌসুমে রেকর্ড পরিমাণ বাম্পার ফলন পেয়ে খুশি কৃষকরা। অপরদিকে দামও ভাল পাওয়াই বিগত সময়ের লোকসান কাটিয়ে ওঠার আশা করছেন কৃষকরা।

কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি ইরি-বোরো মৌসুমে উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে ১৮হাজার ৮শত ৫০হেক্টর জমিতে অধিক ফলনশীল জাতের ব্রি ধান-২৮, ৮১ ও ৮৮ ধান চাষ করা হয়। ব্রি ধান-৮৮ জাতের ধান বিঘা প্রতি সর্বোচ্চ ফলন হয়েছে ৩২মণ। এছাড়াও অন্যান্য জাতের ধানের বিঘা প্রতি গড় ফলন হয়েছে ২৮-৩০মণ যা বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর এমন ধানের ফলন কৃষকরা কখনই পায়নি।  এছাড়াও বর্তমান বাজারে জিরা ধানের মণ ৯২০-৯৫০টাকা ও ব্রি ধান-২৮ ৮৫০-৯০০ টাকা মণ বিক্রি হচ্ছে যা বিগত সময়ের তুলনায় অনেক বেশি।

খট্টেশ্বর গ্রামের কৃষক আলেপ উদ্দীন, গোনা গ্রামের কৃষক শামীম হোসেন, খাগড়া গ্রামের কৃষক এনামুল হকসহ অনেকেই বলেন অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর বোরো ধানের ফলন খুবই ভাল হয়েছে। এছাড়াও ধানের দাম এখন পর্যন্ত ভালো রয়েছে। ধানের বর্তমান বাজার অব্যাহত থাকলে কৃষকরা বিগত সময়ের লোকসান পূরণ করতে পারবে বলে আমরা আশাবাদি।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ শহীদুল ইসলাম বলেন আবহাওয়া অনুক’লে থাকায় ও শ্রমিক সংকট না থাকায় এখন পর্যন্ত উপজেলার ৮৫শতাংশ ধান কৃষকরা ঘরে তুলেছেন। আগামী সাতদিনের মধ্যে পুরো উপজেলার বোরো ধান কাটা শেষ হয়ে যাবে বলে আশা করছি। এছাড়াও কম্বাইন হার্ভেস্টার মেশিনে ধান কাটা ও মাড়াই করার কারণে কৃষকরা অল্প সময়ে বেশি জমির ধান ঘরে তুলতে পেরেছেন। স্বাধীন বাংলাদেশে এই প্রথম ধান চাষ করে কৃষকরা রেকর্ড পরিশান অধিক ফলন পেয়েছেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল মামুন বলেন উপজেলায় ধান কাটা ও মাড়াইয়ের কোন সমস্যা যেন না হয় সেই লক্ষ্যে আমরা প্রথম থেকেই যোগাযোগ করে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে শ্রমিক নিয়ে এসেছি। নিয়ম মেনে সেই সব শ্রমিকদের থাকা, খাওয়াসহ সকল ব্যবস্থা করে আবার তাদেরকে নিজ নিজ এলাকায় পাঠিয়ে দিচ্ছি। তাই কৃষকদের এই সংকটময় সময়েও ধান কাটার কোন শ্রমিক সংকট হয়নি।

নওগাঁ-৬ (আত্রাই-রাণীনগর) আসনের সংসদ সদস্য ইসরাফিল আলম বলেন জেলার রাণীনগর ও আত্রাই উপজেলায় প্রতিবছর প্রায় ২লাখ মেট্টিকটন ধান ও চাল উদ্বৃদ্ধ উৎপাদন হয়। আল্লাহর রহমতে এবার আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় ও পর্যাপ্ত শ্রমিক পাওয়াই সারা দেশেই বোরো ধানের স্মরনকালের বাম্পার ফলন হয়েছে। এতে করে কৃষকরা তাদের বিগত সময়ের ক্ষতি অনেকটাই কাটিয়ে উঠতে পারবেন। আমি আশা করছি দেশে চালের কোন সংকট হবে না।#



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

কৃষি/শিল্প বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৬ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই