তারিখ : ১৯ মার্চ ২০২৪, মঙ্গলবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

গৌরীপুরে শ্বশুড়বাড়ি থেকে বিতাড়িত গৃহবধু স্মৃতি

গৌরীপুরে শ্বশুড়বাড়ি থেকে বিতাড়িত গৃহবধু স্মৃতি আক্তার সন্তানসহ রাস্তায় রাস্তায় ঘুরছে
[ভালুকা ডট কম : ০৫ জুন]
ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার ভাংনামারী ইউনিয়নের খোদাবক্সপুর গ্রামের মোজাম্মেল হকের পরিবার যৌতুক আদায়ের জন্য শারিরীক ও মানসিক নির্যাতন করে সন্তানসহ গৃহবধূ স্মৃতি আক্তারকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বর্তমানে স্মৃতি আক্তার ৮ মাসের ছেলে সন্তান নিয়ে বিচারের আশায় প্রশাসনসহ মানুষের দ্বারে দ্বাওে ও রাস্তায় রাস্তায় ঘুরছে। এ ঘটনায় গৌরীপুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তদন্তের জন্য পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।  

অভিযোগসূত্রে জানা গেছে, প্রায় ৪ বছর পূর্বে উপজেলার ভাংনামারী ইউনিয়নের খোদাবক্সপুর গ্রামের তাইজ উদ্দিন এর মেয়ে স্মৃতি আক্তার (২০) এর সাথে পাশের বাড়ির মো: দামেশ আলীর ছেলে মোঃ মোজাম্মেল হক (২৫) এর প্রেমের টানে বাড়ি ছেড়ে ঢাকায় গিয়ে কাজী অফিসে ইসলামি শরিয়া মোতাবেক বিয়ে হয়। পরে তারা ঢাকায় স্বামী-স্ত্রী হিসেবে একটি ভাড়া বাসায় বসবাস করে আসছিলো। বিয়ের ২ বছর পর স্মৃতি আক্তারের কোল জুড়ে আসে ছেলে মোঃ সাইমুন (যার বয়স এখন ০৮ মাস) । ছেলে বাচ্চা জন্মের ৩/৪ মাস পর মোজাম্মেল হক বৌ-সন্তানসহ বাড়িতে নিয়ে আসে। কিছুদিন যেতে না যেতেই শ্বশুড় মো: দামেশ আলী, শ্বাশুড়ি মোছাঃ মনোয়ারা বেগম যৌতুকের টাকা আদায়ের বাহানায় নানাবিধ শারিরীক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করে গৃহবধু স্মৃতি আক্তারকে সন্তানসহ বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়।

স্মৃতি আক্তার জানায়, শ্বশুড় বাড়ির লোকজন আমাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করে এবং তাদের পরোচনায় আমার স্বামী বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে গেছে। নির্যাতন সইতে না পেরে এক পর্যায়ে আমি কোন উপায়ন্তর না দেখে বাবার বাড়িতে চলে আসি।স্মৃতি বলেন, দরিদ্র বাবা ও সৎ মায়ের সংসারে ছেলেকে নিয়ে কতোদিন এভাবে থাকা যাবে ? শেষ পর্যন্ত হয়তো আত্মহত্যা করা ছাড়া আমার আর কোন উপায় নাই। এ ব্যপারে ছেলের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তার মোবাইল বন্ধ পাওয়া গেছে।

পরে ছেলের চাচা নুরুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, আমি ময়মনসিংহে অবস্থান করছি। গত এক বছর যাবত বাড়ি না থাকায় এ বিষয়ে কিছু বলতে পারবো না। তবে তিনি ভাতিজার বিয়ের বিষয়টি স্বীকার করে বলেছেন মেয়েটি (গৃহবধু স্মৃতি আক্তার) ছোট থেকেই মা-হারা। এ বিষয়ে আমার ভাই  বলেছে ডিএনএ টেস্ট করে যদি প্রমাণিত হয় মেয়ের এ সন্তান আমার ছেলের ঔরসজাত তাহলে তাকে মেনে নিবেন।

এ সম্পর্কে গৌরীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ বোরহান উদ্দিন খান থানায় এ ব্যপারে একটি অভিযোগ দায়েরের কথা নিশ্চিত করেছেন। অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বলেছেন যেহেতু মেয়েটির একটি বাচ্চা আছে তাই আমরা চেষ্টা করছি বিষয়টি আপাতত পারিবারিকভাবে মিমাংসার করা যায় কিনা। যদি তা না হয় তাহলে ঘটনার তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ব্যপারে উল্লেখিত ইউনিয়নের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মফিজুর নুর খোকা ঘটনাটি দুঃখজনক বলে স্বীকার করে বলেছেন বিষয়টি সামাজিকভাবে নিঃস্পত্তি করার চেষ্টা করা হচ্ছে।#



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

নারী ও শিশু বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৬ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই