তারিখ : ২৯ মার্চ ২০২৪, শুক্রবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

ভালুকায় স্ত্রীর দায়ের কোপে বিচারের অনিশ্চিতায় স্বামী

ভালুকায় স্ত্রীর দায়ের কোপে বিচারের অনিশ্চিতায় আহত স্বামী     
[ভালুকা ডট কম : ২৬ জুন]
ভালুকায় স্ত্রীর দায়ের কোপে স্বামী নজরুল ইসলাম (৪০) গুরুতর আহত হয়েও পল্লী চিকিৎসকের অবহেলায় চিকিৎসার জখমী সনদ না পাওয়ার আশংকায় মামলা করেও সুফল পাচ্ছেনা ওই স্বামী। সূত্রে জানাযায়, উপজেলার ঝাঁটিয়া গ্রামের নজরুল স্ত্রীর দায়ের কোপে গুরুতর আহত হয়ে উথুরা বাজারে সৈয়দ ডায়াগনষ্টিক এন্ড টেলিমেডিসিন সেন্টারে নিয়ে গেলে ওই প্রতিষ্ঠানের পল্লী চিকিৎসক ডা: সৈয়দ মো: আব্দুল হামিদ ক্ষতস্থানে বেশ কয়েকটি সেলাই দিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেন।

মঙ্গলবার আহত নজরুল চিকিৎসার জন্য ভালুকা উপজেলা সরকারী হাসপাতালে আসলে কর্তব্যরত ডাক্তার ওই রুগীর সেলাই থাকায় কোন প্রকার চিকিৎসা সনদ দিতে না পারায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে। ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালেও সেলাই থাকায় কোন প্রকার চিকিৎসার জখমী সনদ দেওয়া সম্ভব নয় জানালে নজরুল ইসলাম বাড়ী চলে আসে।

এলাকাবাসী জানান, ডা: সৈয়দ মো: আব্দুল হামিদ যেহেতু পল্লী চিকিৎসক রুগীর জখমী সনদ দিতে পারবে না ওই রুগীর চিকিৎসা দেওয়া তার ঠিক হয়নি। এখন জখমী সনদের জন্য মামলা করেও সুফল না পাওয়ার আশংঙ্খা রয়েছে।

আহত নজরুল ইসলাম জানান, আমাকে এলাকাবাসী হামিদ ডাক্তারের কাছে নিয়ে গেলে সে সেলাই করে দেয়। সেলাই করার কারণে ভালুকা সরকারী হাসপাতাল ও ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আমাকে ভর্তি করেনি। এই অসুস্থ্য শরীর নিয়ে সারাদিন ২টা হাসপাতাল ঘুরে বাড়ি চলে এসেছি।

পল্লী চিকিৎসক ডা: সৈয়দ মো: আব্দুল হামিদ জানান, আমার কাছে রুগী নিয়ে আসলে রক্তপড়া বন্ধ করার জন্য আমি সেলাই করে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য সরকারী হাসপাতালে পাঠিয়ে দেই।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ভালুকা মডেল থানার এস আই রুহুল আমিন জানান, এ ঘটনায় একটি মামলা রুজু হওয়ার পর নারী আসামীকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরন করা হয়েছে। এখন মামলা চুড়ান্ত রিপোর্ট আদালতে প্রেরণ করার জন্য জখমী সনদ প্রয়োজন। পল্লী ডাক্তারের চিকিৎসা দেওয়ার জখমী সনদ পাওয়া নিয়ে আশংঙ্খা রয়েছে।

ভালুকা উপজেলা পঃপঃ কর্মকর্তা ডাঃ সুহেলী শারমীন জানান, এই রুগির জখমী/ক্ষতস্থান কিভাবে নির্ণয় করবো সেলাই থাকার জন্য আমাদের জখমী সনদ দেওয়া সম্ভব নয়। ৬ ঘন্টার মধ্যে রুগি আসলে ওই সেলাই কেটে ক্ষতস্থান নির্ণয় করে পুনরায় চিকিৎসা দেওয়া যেত। বিলম্বে রুগি হাসপাতালে আসলে তাই ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করি।

প্রসঙ্গ, গত ২৩ জুন মঙ্গলবার রাতে উপজেলার উথুরা ইউনিয়নের জাটিয়া গ্রামের নজরুল ইসলামকে তার স্ত্রী কমলী খাতুন কুপিয়ে আহত করে। বুধবার নজরুল ইসলামের বোন বাদী হয়ে ভালুকা মডেল থানায় একটি মামলা রুজু করেন।#



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

ভালুকা বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৬ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই