তারিখ : ২৮ মার্চ ২০২৪, বৃহস্পতিবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

চাঁদা না পেয়ে বাড়ী মার্কেট গুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ

চাঁদা না পেয়ে বাড়ী মার্কেট গুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ বন কর্মকতার বিরুদ্ধে
[ভালুকা ডট কম : ২৭ জুন]
গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার মৌচাক দক্ষিণ সদর চালা এলাকায় শনিবার সকালে দাবীকৃত চাঁদা না পেয়ে বাড়ী মার্কেট গুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে মৌচাক বন বীটের দুই কর্মকর্তার রিরুদ্ধে।

এলাকাবাসী, ভুক্তভোগিরা জানান, সদরচালা গ্রামের (টাওয়ার মার্কেট) দেলোয়ার হোসেন ডালুর ছেলে শাখাওয়াত হোসেন রোবেন্স নিজেদের রেকর্ড ও কয়েক ফিট জমিতে একটি বাড়ী ও মাকের্ট গড়ে তুলেন। গত রোজার ঈদের আগে কয়েক ফুট বনের জমি সড়কের পাশে পড়ায় মৌচাক বন বীটের কর্মচারী আওলাদ হোসেন ও আশরাফ হোসেন নামের দুইজনকে দুই লাখ টাকা ঘুষ দিয়ে অনুমতি নেয়  রোবেন্স। কিন্তু ঈদের আগেই বাড়ী ও মার্কেটের কাজ শেষ হলেও ঈদের পড়ে বীট কর্মকর্তা মানিক মিয়াকে শান্ত করার জন্য আরো কয়েক লাখ টাকা চাঁদা দাবী করেন কর্মচারী আশরাফ আলী। কিন্তু রোবেন্স টাকা দিতে পারবে না বলে জানালে ওই দুই কর্মচারী ক্ষিপ্ত হয়ে বীট কর্মকর্তা মানিক মিয়াকে দিয়ে শনিবার সকালে বাড়ী ও মার্কেট গুড়িয়ে দেওয়া হয়।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, ক্ষতিগ্রস্থ রোবেন্সের ভাঙ্গা বাড়ীর উত্তর পাশে বনের জমিতে গড়ে উঠা টিনশেড ও বিল্ডিং  অক্ষত রয়েছে। পাশেই কয়েক মাস আগে গড়ে তোলা সরকারী দলের নেতাদের অফিসও অক্ষত রয়েছে।

এলাকাবাসীর অভিযোগ,মৌচাক ও চন্দ্রা বীটে করোনার ভাইরাসের সুযোগে বনের জমিতে প্রায় তিন শতাধিক ঘরবাড়ী নতুন নিমার্ণ ও মেরামত করেছে বলে অভিযোগ রয়েছে। ওই সব ঘরবাড়ী তৈরি ও মেরামতের সুযোগে বীট কর্মকর্তারা হাতিয়ে নিয়েছে লাখ লাখ টাকা। তবে এ ব্যাপারে এলাকার কেউ কথা বা প্রতিবাদ করলে বন মামলা দেওয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ উঠেছে দুই বীটের বিট কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। মৌচাক উত্তরপাড়ার লতিফ এর টেকে হাইড্রোঅক্সাইড নামক পোশাক তৈরির কারখানার জেনারেল ম্যানেজার  আব্দুর রহিম বনের কর্মচারী আশরাফ আলীকে পঞ্চাশ হাজার টাকা দিয়ে বনের প্রায় ১০ ফুট জমি দখল করে একটি বহুতল ভবন নির্মাণ করেছে। এব্যাপারে ওই বাড়ীর দখলের বনের জমি উদ্ধারের জন্য তাগিদ দিলেও বন কর্মকর্তারা সারা দিচ্ছেন না বলেও এলাকাবাসী অভিযোগ করেন।

ক্ষতিগ্রস্থ শাখাওয়াত হোসেন রোবেন্স জানান, বনের লোকজনকে ঈদের আগে ২ লাখ টাকা দিয়ে কয়েক ফুট মার্কেটের বারান্দার কাজ করি। কিন্তু ঈদের পরে আরো একলাখ টাকা চাঁদা দাবী করে। এতে তাদের দাবীকৃত টাকা না দেওয়ায় আমাদের পুরনো বাড়ী ও মার্কেট ভেঙ্গে দিয়ে প্রায় ১০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি সাধণ করেছে।

এলাকাবাসী গিয়াস উদ্দিন জানান, এই বাড়ীটি ৪০ বছর আগের। বিনা নোটিশেই বাড়ীটি ভেঙ্গে দেওয়াতে এলাকায় ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।অভিযুক্ত আওলাদ ও আশরাফ আলী জানান, এ ব্যাপারে আমরা কিছুই জানি না। তবে নতুন অফিসার আসায় বনের জমিতে যারা নতুন ঘরবাড়ী তুলেছে, সেগুলো ভেঙ্গে দেওয়া হচ্ছে।বীট কর্মকর্তা মানিক মিয়া জানান, আমার বীটের অধীনে সকল নতুনভাবে গড়ে উঠা ঘরবাড়ী গুড়িয়ে দেওয়া হবে। কাউকে বনের জমি দখলের সুযোগ দেওয়া হবে না।#



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

ভালুকার বাইরে বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৬ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই