তারিখ : ২৯ মার্চ ২০২৪, শুক্রবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

করোনায় পত্নীতলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক কর্মীর মৃত্যু

করোনায় পত্নীতলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক কর্মীর মৃত্যু, এদিকে এলাকায় ক্রমেই বাড়ছে করোনার প্রাদুর্ভাব
[ভালুকা ডট কম : ১৩ জুলাই]
করোনা শনাক্তের ৪দিনের মাথায় মৃত্যু বরন করলো পত্নীতলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জনৈক আব্দুস সাত্তার (৫৭) নামে এক কর্মী। সোমবার দুপুর আনুঃ পৌনে ৩টায় তার মৃত্যু হয়।আব্দুস সাত্তার উপজেলার গোড়হাড়িয়া গ্রামের মহীর উদ্দীনের ছেলে। তিনি নজিপুর পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের বাসস্ট্যান্ড এলাকায় বসবাস করতেন। মৃত্যুকালে সে স্ত্রী, ১ ছেলে ও ১ মেয়ে সহ বহু গুনাগ্রাহী রেখে গেছেন।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ খালিদ সাইফুল্লাহ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, আব্দুস সাত্তার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এমটিইপিআই পদে কর্মরত ছিলেন। আব্দুস সাত্তারের করোনাভাইসের নানা উপসর্গ থাকায় গত ৪জুলাই নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। গত ৯ জুলাই নমুনা পরীক্ষায় তিনি করোনা পজিটিভ হিসেবে শনাক্ত হন। এ অবস্থায় তাকে বাড়িতে হোমকোয়ান্টেনে রাখা হয়েছিল। সোমবার দুপুরে হঠাৎ করেই আব্দুস সাত্তারের শারীরীক অবস্থার অবনতি হলে দুপুর আনুঃ পৌনে ৩টায় তার মৃত্যু হয়।

এদিকে নওগাঁ জেলার অতিগুরুত্বপূর্ন উপজেলা পত্নীতলা। প্রায় আড়াই লক্ষ মানুষের বসবাস এই উপজেলায়। বর্তমানে জনবহুল এই উপজেলায় ক্রমেই বাড়ছে নভেল করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব। উপজেলায় এ পর্যন্ত মোট করোনা সনাক্ত হয়েছে ৩৬জন। আসন্ন কোরবানী ঈদকে সামনে রেখে গরুর হাট সহ বাজারে মানুষের চলাচল বাড়বে এবং নভেল করোনা ভাইরাসের প্রভাব আরো ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিস সুত্রে জানাগেছে, গত এপ্রিল থেকে আরম্ভ করে এ পর্যন্ত ৬১৯ জনের নমুনা সংগ্রহ করে পাঠানো হয়। যার মধ্যে ২মে প্রথম পত্নীতলা থানার ২জন কর্মকর্তার করোনা সনাক্ত হয়। গত শুক্রবার সর্বোচ্চ ১০জন সহ এ পর্যন্ত উপজেলায় মোট ৩৬জনের করোনা সনাক্ত হয়। এর মধ্যে ২৩জন সুস্থ হয়েছেন। এপর্যন্ত হোম কোয়রেন্টাইনে রয়েছেন ১৩৩জন। তবে এখন পর্যন্ত ৫৪ জনের রিপোর্ট পাওয়া যায়নি।

এর আগে গত ৪জুলাই শনিবার পত্নীতলার জামগ্রাম গ্রামের পল্লী চিকিৎসক আবুল কালাম আজাদ (৩৮) রাজশাহী মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। জানাগেছে সে অসুস্থ অবস্থায় রাজশাহী মেডিকেলে ভর্তি হলে সেখানে তার করোনা সনাক্ত হয়। পরবর্তীতে আবুল কালাম আজাদের মৃত দেহ গ্রামের বাড়িতে আনলে স্বাস্থ্যবিধি মেনে উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও ইসলামী ফাউন্ডেশনের সহযোগীতায় পারিবারিক কবরস্থানে তার দাফন সম্পন্ন করা হয়।

এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ লিটন সরকার জানান, স্বাস্থ্যবিধি মেনে উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও ইসলামী ফাউন্ডেশনের সহযোগীতায় মৃত আব্দুস সাত্তারের দাফন সম্পন্ন করা হবে।#



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

জীবন যাত্রা বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৬ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই