তারিখ : ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহারে কুকুর আতঙ্কে দর্শনার্থীরা

নওগাঁর পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহারে কুকুর আতঙ্কে দর্শনার্থীরা
[ভালুকা ডট কম : ০৮ ডিসেম্বর]
নওগাঁর পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহারে দর্শনার্থীদের আতঙ্ক এখন কুকুর। সেখানে বেড়াতে আসা দর্শনার্থীদের কুকুরগুলোর কারণে সব সময় আতঙ্কের মধ্যে থাকতে হচ্ছে। কুকুর নিয়ন্ত্রনে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহনের দাবী দর্শনার্থীদের।

বিশ্বের ঐতিহ্যের তালিকাভুক্ত পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার বা সোমপুর বিহার। এটি বদলগাছী উপজেলা সদর থেকে উত্তরে প্রায় ১২ কিলোমিটার দুরে অবস্থিত। রাস্তা সংস্কার হওয়ায় ভোগান্তী কমেছে দর্শনার্থীদের। ফলে প্রতিদিন বাড়ছে পর্যটকদের সংখ্যা। দুরদুরান্ত থেকে সহজেই আসতে পারছেন। দু’একজন বন্ধু ও বান্ধবী ছাড়া বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে বেশির ভাগই বাস ও মাইক্রোবাস যোগে আসেন। যারা দু’একজন আসেন তারা পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহারের গেটের পাশের হোটেলে বা পাহাড়পুর বাজারে খাবার খেয়ে থাকেন। কিন্তু যারা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে বাস ও মাইক্রোবাস নিয়ে আসেন তারা বেশির ভাগই পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহারের ভিতরের চত্বরে নিজেরা রান্না করে থাকেন।

রান্না করে খাবারের সময় এসব দর্শনার্থীদের মধ্যে কুকুরের আতঙ্ক থাকে। সে সময় কুকুরগুলো চারপাশে ঘুরাঘুরি করে। কখন যে তারা হামলা করবে তা বলা সম্ভব না। কেউ বা ভিতরে কোথাও বসে নাস্তা করার সময় হা করে তাকিয়ে থাকে। কুকুরের কামড়ের ভয়ে হাত থেকে খাবার ফেলে দেয়ারও ঘটনা ঘটেছে। সেখানে প্রায় ৪০-৫০ টি কুকুর রয়েছে। এসব কুকুরের কারণে দর্শনার্থীদের আতঙ্কের মধ্যে থাকতে হয়।

পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহারের বাউন্ডারি প্রাচীর একটু নীচু। অপরদিকে স্থানীয়রা গবাদিপশুর ঘাস সংগ্রহের জন্য গ্রীল ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে। যার কারণে প্রাচীর টপকে ও ভাঙা গ্রীলের ভেতর দিয়ে কুকুর প্রবেশ করতে পারে। তাই দর্শনার্থীদের স্বচ্ছন্দ ভাবে বৌদ্ধবিহারে ঘুরাঘুরি ও খাবারের সময় আতঙ্ক কাটাতে কুকুর নিয়ন্ত্রনে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহনের দাবী জানানো হয়েছে।

স্ব-পরিবারে বগুড়া থেকে মাইক্রোবাস যোগে বেড়াতে আসেন রফিকুল। তিনি পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার চত্বরে পরিবারের ৮ সদস্য মিলে খাবার খাচ্ছিলেন। তিনি বলেন, বাসা থেকে খাবার রান্না করে নিয়ে এসেছি। আমরা খাবার শুরু করার সময় ১৫-২০টি কুকুর এসে হাজির। তাড়ানোর পর আবার তারা আসছে। ভয় নিয়ে তো খাবার খাবার খাওয়া সম্ভব না। একজন কুকুর তাড়ানোর কাজ করছে। এতে বাকীরা নিরাপদে খেতে পারছি।

পাহাড়পুর জাদুঘরের কাস্টোডিয়ান আবু সাইদ ইনাম তানভিরুল বলেন, হাইকোর্টের রীটের কারণে কুকুর আমরা মারতে পারিনা। তারপরও পর্যটকদের সুবিধার জন্য আমাদের নিরাপত্তা কর্মীরা কুকুর তাড়িয়ে দেন। তবে গত বছর থেকে এবছর কুকুরের সংখ্যা কম।

তিনি আরো বলেন, আমাদের বাউন্ডারি প্রাচীর নিচু হওয়ায় ও পর্যটকরা গেট দিয়ে প্রবেশের সময় কুকুর ভেতরে ঢুকে পড়ে। এছাড়া স্থানীয় কিছু মানুষ আছে যারা গ্রীল ভেঙে ভেতরে ঘাস কাটার জন্য প্রবেশ করে। গত একবছরে চারবার গ্রীল মেরামত করা হয়েছে।#



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

জীবন যাত্রা বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৭ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই