তারিখ : ২৮ মার্চ ২০২৪, বৃহস্পতিবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

নীরব জোন ঘোষণাতেও কমেনি শব্দদুষণ

নীরব জোন ঘোষণাতেও কমেনি শব্দদুষণ
[ভালুকা ডট কম : ১৭ জানুয়ারী]
মানুষ সাধারণত ২০ থেকে ২০ হাজার হার্জের কম বা বেশি শব্দ শুনতে পায় না। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অনুমোদিত শব্দের স্বাভাবিক মানমাত্রা ২০ ডেসিবল (ডিবি) পর্যন্ত। মধ্যম পর্যায়ে ২১-৪০ আর হালকা শব্দ ৪১ থেকে ৭০ ডিবি। তীব্রতর শব্দ ৭১ থেকে ৯০ আর অসহনীয় ৯১ থেকে ১২০ ডেসিবল। রাজধানী ঢাকার অধিকাংশ ব্যস্ত এলাকায় শব্দদূষণের ক্ষেত্রে অসহনীয় অবস্থা বিদ্যমান।

শব্দদূষণ (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা ২০০৬ অনুযায়ী, নীরব এলাকায় দিনের বেলা শব্দের সর্বোচ্চ সীমা ৫০ ডিবি। সে হিসেবে সদ্য ঘোষিত নীরব এলাকা সচিবালয়ের চারপাশে দিনের বেলা ৫০ ডেসিবলের মধ্যে থাকার কথা ছিলো। কিন্তু বেসরকারি সংস্থা বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) ও স্ট্যামফোর্ড ইউনিভার্সিটির বায়ুমন্ডলীয় দুষণ অধ্যয়ন কেন্দ্রের (ক্যাপস) জরিপে দেখা গেছে, দিনের বেলায় শব্দের মাত্রা কখনই ৫০ ডেসিবলের নিচে ছিল না।

সচিবালয় এলাকাকে নীরব ঘোষণার আগে ও পরে (১৪ ডিসেম্বর থেকে ২২ ডিসেম্বর, ২০১৯) মোট ৯ দিন জরিপ চালান গবেষকরা। স্বয়ংক্রিয় সাউন্ড লেভেল মিটারের সাহায্যে সচিবালয়ের চারপাশে ১২টি স্থানের প্রতিটিতে সারাদিন ৩০০ সংখ্যক উপাত্ত সংগ্রহ ও পর্যালোচনা করে এ তথ্য জানায় তারা। ১০ জানুয়ারী এ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জরিপকৃত ১২টি স্থানের প্রত্যেকটিতেই দিনের বেলা শতভাগ সময় নীরব এলাকার মানমাত্রার চেয়ে বেশি মাত্রার শব্দ ছিল। সামগ্রিকভাবে ১২টি স্থানে গড়ে ৯১.৯৯ ভাগ সময় ৭০ ডেসিবলের বেশি শব্দের মাত্রা ছিল। সবচেয়ে বেশি শব্দ দুষণ হয়েছে পল্টন মোড় ও জিরো পয়েন্ট মোড়ে।

এ প্রসঙ্গে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রী মোহাম্মদ শাহাবউদ্দিন বলেন, আইনগতভাবে সচিবালয়ের চারপাশে শব্দ দুষণ বিশেষত হর্ন বাজানো নিষিদ্ধ। কিন্তু তার যথাযথ বাস্তবায়ন নেই। মানুষের মাঝে সচেতনতা বাড়াতে হবে। বিদেশে গেলে মানুষ আইন মানে, কিন্তু দেশে তার প্রতিফলন নেই। এজন্য আইনগতভাবে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দেয়া হয়েছে। হাইড্রোলিক হর্ন খুলে ফেলাসহ আইন ভঙ্গ করে হর্ন বাজালে শাস্তির আওতায় আনা হচ্ছে। নীরব এলাকা কার্যকরে নিয়মিত অভিযান চলবে বলেও জানান মন্ত্রী।

সচিবালয় ছাড়াও ঢাকা শহরের ৭০টি এলাকায় শব্দ দূষণ জরিপ কার্যক্রম পরিচালনা করে এ গবেষক দল। এতে দেখা যায় যে, নীরব, আবাসিক ও মিশ্র এলাকার ক্ষেত্রে শব্দের মাত্রা শতভাগ সময় আদর্শ মানের উপরে ছিল। বাণিজ্যিক এলাকায় শব্দের মাত্রা আদর্শ মানের চেয়ে ৯৭.৫৮ ভাগ সময় বেশী মাত্রায় ছিল। আর শিল্প এলাকায় শব্দের মাত্রা আদর্শ মানের চেয়ে ৭১.৭৫ ভাগ সময় বেশী মাত্রায় ছিল।

শব্দ দুষণ নিয়ন্ত্রণে ১১দফা সুপারিশ তুলে ধরেন গবেষকরা। এর মধ্যে, নীরব এলাকা ঘোষণার পূর্বে বিজ্ঞান ভিত্তিক গবেষণা ও সচেতনামূলক কর্মসূচি গ্রহণ, বিধিমালা অনুযায়ী চিহ্নিত জোনসমূহে সাইনপোস্ট স্থাপন এবং নিয়মিত ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা; হাইড্রোলিক হর্ন আমদানি বন্ধ, অহেতুক হর্ণ বাজানোর জন্য শাস্তি বৃদ্ধি, কমিউনিটিভিত্তিক কমিটি করে শব্দ দূষণ সংক্রান্ত আইন ভঙ্গের বিষয়ে তদারকি দায়িত্ব প্রদান ও সচেতনতা বৃদ্ধি অন্যতম।#



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

অন্যান্য বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৬ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই