তারিখ : ১৫ অক্টোবর ২০২৪, মঙ্গলবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

আমার এলোমেলো ভাবনা পঞ্চম পর্ব-হাজী সানি

আমার এলোমেলো ভাবনা পঞ্চম পর্ব-হাজী সানি
[ভালুকা ডট কম : ০৮ এপ্রিল]
ভালোবাসাটা কেন জানি আজ মনে হয় বর্ণহীন হয়তো নয় হয়তো রক্তহীন তাও হয়তো নয় হয়তো আবেগহীন যার জন্য হয়তো এখন আর নীল কষ্ট গুলি সেইভাবে আচার খায় না মনের মধ্যে। প্রশ্নগুলি মাথাচাড়া দিয়ে ওঠার আগেই যেন নিষ্ঠুরতার প্রখর খরতাপে নিষ্পেষিত হয়ে যায় তাই হয়তো ভাসমান জীবনে বর্ণহীনতার গল্প কাহিনী স্পষ্ট হয়ে ওঠে না। ভাষাহীন কষ্টগুলি স্বচ্ছ জলের মতো কান্না হয়ে যখন দৃষ্টিতে আসে তার উত্তাপ শুধু সেই চোখ উপলব্ধি করে যার মধ্যে দিয়ে সে বাহিত হয়, কান্নার বর্ণ স্বচ্ছ হলেও তারমধ্যে জ্বালাময়ী দক্ষতা বর্ণবিহীন।

জীবনটা সত্যি বড়ই অদ্ভুত এক রঙ্গমঞ্চ আর এই রঙ্গমঞ্চের এক বিশেষ কিরদার মানুষ যার রং বদলায় প্রতিটি ধাপে ধাপে । যারা ভালো ভাবে নিজ কিরদার করতে পারে তারাই টিকে থাকে আর যারা কিরদার করতে পারেনা তারা পথ হারিয়ে ফেলে রঙ্গমঞ্চে। এই রঙ্গমঞ্চের যোদ্ধে টিকে থাকার জন্য চাই ভাগ্য,যাদের ভাগ্যের চাকা মজবুদ তারা খুব দ্রুত সামনে এগুতে পারে আর যার ভাগ্যের চাকা নড়বরে তার সামনে আগানোর শুধু চেষ্টায় করে ।  এই রঙ্গমঞ্চে যখন খুব ছোট ছিলাম, চারপাশের জগতটা কতইনা রঙীন ছিল,দেখতাম কত রঙীন স্বপ্ন আর এখন স্বপ্নগুলো সব ফ্যাকাশে হয়ে গেছে রঙ্গমঞ্চে সুনিপূণ কিরদার করতে করতে মিথ্যে চরিত্রের মেক-আপ নেওয়া মুখটার ভেতরের আসল মুখটা উন্মুখ হতে প্রায় অস্থির হয়ে ওঠে কিন্তু মানা কিরদার থেকে বাহিরে আসা।

**ক্যালেন্ডারের পাতা উল্টাতে গিয়ে চোখে পড়লো শেষ হলো আরও একটি খ্রিস্টিয় বছর ২০১৮ইং । ২০১৯ ইং এর যাত্রা শুভ হোক, বয়ে আনুক শুভ কিছু ,যা পাওয়া গেল না ২০১৮ ইং বছরে, সেইসব অপ্রাপ্তি পূরণ হোক ২০১৯ইং, কিছু না পাওয়া সব সময়ই থাকবে তারপরও প্রাপ্তির প্রত্যাশায় বেঁচে থাকবে মানুষ। প্রত্যাশাগুলো নতুন বছরে যেন প্রাপ্তির পথ খুঁজে পায় এই কামনায় করছি ।যথারীতি ২০১৮ সালটিও বিদায় নিচ্ছে। জগতের চিরন্তন নিয়মে বছরটি আমাদের জীবন থেকে বিদায় নিচ্ছে,তবে ইতিহাসে বসবাস করবে, নতুন বছরকেও একইভাবে গ্রহণ বা বরণ করে নিতে হবে, এক সময় নতুন বছরও বিদায় নিবে কিন্তু প্রতিটি বিদায় হচ্ছে বিচ্ছেদ। আর প্রত্যেক বিচ্ছেদের মাঝেই নিহিত থাকে নীল কষ্ট,।তিন অক্ষরের ছোট্ট একটি শব্দ-বিদায়। মাত্র তিন অক্ষর। কিন্তু শব্দটির আপাদমস্তক বিষাদে ভরা। শব্দটা কানে আসতেই মনটা কেন যেন বিষণ্ণ হয়ে ওঠে হৃদয়ের অন্ধকার প্রকোষ্ঠে চাপা কষ্টের যন্ত্রনা মেহেদী পাতার মতো রক্তে রঞ্জিত, ক্ষত-বিক্ষত দেহবাস গগন বিদারি চিৎকারে উদ্ধিগ্ন হয়ে ওঠে চারপাশ এই।বিদায় জীবনে শুধু একবারই নয়, এক জীবনে মানুষকে সম্মুখীন হতে হয় একাধিক বিদায়ের।

পুরো বছরের চোখের জমানো অশ্রুতে ভাসিয়ে অপ্রাপ্তি নামের কাম কন্যার দেহভস্ম গঙ্গায় বিসর্জন দিয়েও বাস্তবতা আর কল্পনার মাঝেথাকে অদৃশ্য দেয়ালচুন-পলেস্তারা খসে পড়ে গেলেও ভাঙ্গা হল না দেয়াল !আশা দেয়ালের ওপাশে রয়েছে হয়ত অপ্রাপ্তি নামের কাম কন্যা,তাই তাকে একবার জড়িয়ে ধরার ইচ্ছেতেই হয়ত ভাঙ্গা হল না দেয়াল । সমুদ্রের পারে কেটে গেছে সোনার বলের মতো সুর্য ছিল পুবের আকাশেসেই পটভূমিকায় ঢের ফেনশীর্ষ ঢেউ, উড়ন্ত ফেনার মতো অগণন পাখি। পুরনো বছর দেশ ঢের কেটে গেল রোদের ভিতরে ঘাসে শুয়ে; পুকুরের জল থেকে কিশোরের মতো তৃপ্ত হাতে ঠান্ডা পানিফল, জল ছিড়ে নিতে গিয়ে; চোখের পলকে তবু এই যাত্রা সকলের জন্য শুভ হোক, বয়ে আনুক শুভ কিছু। যা পাওয়া গেল না বিগত বছরে, সেইসব অপ্রাপ্তি নামের কাম কন্যার দিদার হোক আমাদের সকলের। ব্যক্তিগত কিছু পাওয়া আর না পাওয়া সব সময়ই থাকে। তারপরও প্রাপ্তির প্রত্যাশায় বেঁচে থাকে মানুষ। আমাদের সকলের ব্যক্তিগত প্রত্যাশাগুলো নতুন বছরে যেন প্রাপ্তির পথ খুঁজে পায়-- এই নিয়ে শুরু হক ২০১৯ সালের যাত্রা।

প্রতিদিনের মত আজো সূর্য উঠবে কিছু পরেই। শীতের কুয়াশা সরিয়ে উঁকি দিবে উজ্জ্বল রোদ। কিন্তু অন্য যে কোন দিনের চাইতে আজকের ভোরের আলো যেন বেশি মায়া মাখানো হবে। যেন অনেক স্বপ্নের কথা বলবে সে। সামনের দিনগুলোতে অনিশ্চয়তা কেটে গিয়ে শুভময়তা ছড়িয়ে দিবে,আশাজাগানিয়া কিরণ যেমন সময় আর স্রোত কারো জন্য অপেক্ষা করেনা-এই সত্যকে বিমূর্ত করবে নতুন বছরের প্রথম সূর্যোদয়। বর্ষবরণের আবাহন রেখে কুয়াশামোড়া পাণ্ডুর সূর্য জীর্ণ ঝরা পল্লবের মত সরল রৈখিক গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডারের পাতা থেকে কাল খসে পড়েছে । অভিবাদন নতুন সৌরবর্ষকে। বিশ্বের বয়স আরও এক বছর বাড়লো নববর্ষের বার্তা ছড়িয়ে।নানা ঘাত-প্রতিঘাতের মধ্য দিয়ে একটি বছর পার হয়ে এসেছি। বিদায়ী বছরের সাফল্য-ব্যর্থতার মূল্যায়নের চেয়ে নতুন বছরকে ঘিরে আমরা বেশি আশাবাদী হতে চাই। গত বছরটি ছিল একান্তই কাছের মানুষের মতো নিত্যসঙ্গী হয়ে। আলো-আঁধারির সন্ধিক্ষণের কোনো এক অনির্ণীত সন্ধ্যায় বেদনায় লীন হয়ে যাওয়া মুহূর্তগুলোকে সে দেখেছে। আমার হঠাৎ আসা তুমুল হতাশারা তার দেহেও দাগ কেটেছে গভীরভাবে। বিন্দু বিন্দু করে তৈরি করা বিজয়ের মূর্ছনা যাকে আমার মতোই আন্দোলিত করেছে তাই একজন প্রবাসী হিসেবে নতুন বছরে আমার প্রথম ও প্রধান প্রত্যাশা হলো-কর্ম স্থিতিশীলতা।

আর মাত্র কয়েক মিনিট পরেই উকি দিবে ২০১৯ সালের প্রথম সূর্যের উদয় আর পরিবেশে মৃদু সূর্যালোক ছড়িয়ে শুরু হবে দিন। সবাইকে নতুন বছরের শুভেচ্ছা। বিশ্বের কোটি কোটি মানুষের মত আমিও আমার অগণিত প্রিয় জনদের জানাই 'হ্যাপি নিউ ইয়ার'। নতুন বছরটি আনন্দে, শান্তিতে ভরে উঠুক-এই প্রত্যাশা।সামনের দিনগুলোতে অনিশ্চয়তা কেটে গিয়ে শুভময়তা ছড়িয়ে যাবে আশাজাগানিয়া কিরণ যেন সে দ্যুতিই ছড়িয়ে দিচ্ছে প্রত্যেকের প্রাণে, মনে।“আছে দুঃখ. আছে মৃত্যু, বিরহদহন লাগে।তবুও শান্তি, তবু আনন্দ, তবু অনন্ত জাগে‍”। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গানের এ কথার মতই দুঃখ, কষ্ট সবকিছু কাটিয়ে নতুন জীবনের দিকে যাত্রার প্রেরণা নেবে মানুষ মন থেকে সকল গ্লানি, অনিশ্চয়তা, হিংসা, লোভ ও পাপ দূর করে। (১.১.২০১৯ইং ১২:০৫am)Facebook Timeline Post- January 1 •  at 1:0am • 2019 ·

**সব ভালোবাসা কি শুধু ফেসবুক ভিত্তিক, ফেসবুক স্ট্যাটাস আর বাস্তবতা অনেক দূরের বন্ধু ,যাই হোক একটু সময় নিয়ে ফেসবুকে ঢুকতেই আজ চোখে পড়ল শুধু মায়ের প্রতি অকৃত্রিম শ্রদ্ধা ভালোবাসা বিশ্ব মা দিবস বিশ্ব মা দিবস কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই পরিস্থিতি সত্যিই কি বিশ্ব মা দিবস? বৃদ্ধাশ্রম গুলির কথা মনে হলে কি আদৌ মনে হয় মা দিবস বলে কিছু আছে।

ফেসবুকে এত বেশি স্ট্যাটাস আজ বিশ্ব মা দিবস নিয়ে দেখলাম যা পড়তে পড়তে সময়ই চলে গেল সবাই মাকে নিয়ে অনেক কিছু লিখেছে আমিও চিন্তা করলাম কিছু লিখতে হয় তবে আমার তো মা নেই তাই কি নিয়ে লিখব তাই চিন্তা করতে করতে একটু সময় চলে গেল। এরই মধ্যে চোখে পড়ল আমার প্রাণের ভালুকায় বিশ্ব মা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সাত সন্তানের জননীকে পুরস্কৃত করা হলো সফল শ্রেষ্ঠ মাতা হিসাবে! আমাকে ব্যক্তিগত ভাবে এই বিষয়টা একটু চিন্তিত করল কারন যতটুকু জানি সরকার ঘোষিত সুখী পরিবারের সঙ্গা একটু ভিন্ন যেমন সুখী পরিবারে দুটি সন্তানই যথেষ্ট ,আমার নিজের ব্যক্তিগত ভাবে ওই সাত সন্তানের জননী মার প্রতি অগাধ শ্রদ্ধা ও সম্মান রয়েছে কিন্তুু যখন প্রশ্ন উঠে সমাজের সচেতনতা বিষয় নিয়ে তখন দুটি কথা বলতে ইচ্ছে করছে ,সমস্ত ভালুকাতে এমন একটি পরিবার পেলেন না যেখানে এক সন্তান অথবা দুই সন্তান যাকে সরকার ঘোষিত সুখী পরিবার বলা হচ্ছে সেই পরিবার থেকে একজন আদর্শ মা কি প্রশাসন খুঁজে পেলেন না যাতে করে অন্যকেও উৎসাহিত করা যেতে পারত? আসলে ভালুকার প্রশাসন সাত সন্তানের জননীকে সফল শ্রেষ্ঠ মাতা হিসাবে পুরস্কৃত করে অতিরিক্ত সন্তান জন্মদানকে উৎসাহিত করছে নাকি জন্মনিয়ন্ত্রণ কে উৎসাহিত করল? প্রশ্ন হল যদি সাত সন্তানের জননীকে সফল শ্রেষ্ঠ মাতা হিসাবে পুরস্কৃত করা হয় তবে সরকেরের জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে ব্যাপক প্রচারণা চালানোর সিদ্ধান্ত জন্মনিয়ন্ত্রণ উপকরণ বিতরণ বাড়ি বাড়ি গিয়ে জন্মনিয়ন্ত্রণের বিষয়ে প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে লাভ কি ?

আজ এমন বেশ কয়জন সন্তানের ফেসবুক স্ট্যাটাস দেখলাম যাদেরকে কে ব্যক্তিগতভাবে জানি সেই সব মহান সন্তানদের ফেসবুক স্ট্যাটাস এবং ব্যক্তি জীবনে কোন মিল খুজে পেলাম না। ৬০ ঊর্ধ্ব পিতা এখনো প্রবাসে কর্মজীবন চালাচ্ছেন স্ত্রীর ভরণ পোষণ করার জন্য অথচ ৪ সন্তান দেশের মাটিতেই প্রতিষ্ঠিত সচ্ছল জীবনযাপন করছেন স্ত্রী-সন্তান নিয়ে। সেই সন্তানদের ফেসবুক স্ট্যাটাসও দেখলাম মা তোমাকে অনেক ভালোবাসি। কি হবে তবে এই বিশ্ব মা দিবস পালন করে বড়-বড়-লম্বা-লম্বা ফেসবুক স্ট্যাটাস দিয়ে! সবচেয়ে বড় কথা মা কে বাবা কে ভালবাসতে না বিশ্ব মা দিবসের প্রয়োজন না বিশ্ব বাবা দিবসের প্রয়োজন মোটকথা ভালোবাসার জন্য কোন দিবসের প্রয়োজন পড়ে না শুধু একটি মনের প্রয়োজন।#Facebook Timeline Post- May 12, 2019 ·

**আমি গর্বিত সেই জাতির (উচ্চশিক্ষিত নামধারী) সন্তান যে জাতির শিক্ষক এতটাই পর্ণো ছবিতে আসক্ত থাকে যে প্রশ্নপত্রে প্রশ্ন করে পর্ণো তারকা সানি লিওনি মিয়া খলিফাদের নাম সম্পর্কে, জানতে চেষ্টা করে বা জানার চেষ্টা করে, এসব বিষয়ে প্রতিবাদ করার মত আমার সময় হয় না কারন এসব ছোট্ট বিষয় এটা নিছক একটা ভুল মাত্র আমার কাছে মনে হয়। অথচ ভালুকা ডট কম অনলাইন পত্রিকাতে "রণক্ষেত্র" কে টাইপিং ভুলে "নরক্ষেত্র" হয়ে যাওয়ায় এর প্রতিবাদ যদি আমি না করি তাহলে কি করে বুঝা যাবে আমি উচ্চ শিক্ষিত সন্তান।

আমি সেই জাতির বিবেক যে জাতির মন্ত্রীর কোটি টাকার দুর্নীতিকে আমি সাধারণ ব্যাপার বলে চালিয়ে দিতে মোটেও লজ্জা বোধ করিনা অথচ সেই মন্ত্রীর ড্রাইভার যখন গাড়ির তেল চুরির ৫০ টাকা দিয়ে সন্তানের জন্য খেলনা কিনে নিয়ে যায় তখন তার এই বিরাট চুরির জন্য তার সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড পর্যন্ত দাবি করতেও আমি লজ্জা বোধ করি না কারন আমি শিক্ষিত।

আমি সেই জাতির প্রতিনিধিত্ব করি যে জাতির মুদ্রিত পবিত্র কোরআনের মত ধর্মগ্রন্থেও বাক্যের পর বাক্য ভুল অথচ আমি এটাকে কোন বিষয়ই মনে করি না। কিন্তু হাজী সানির ফেসবুক স্ট্যাটাসের ঊর্ধ্ব কে উর্দু লেখায় যদি এর প্রতিবাদ না করি তাহলে চতুর্থ বিশ্বযুদ্ধ সৃষ্টি হতে পারে তাই এর প্রতিবাদ করতেই হবে আমাকে কারন আমি উচ্চশিক্ষিত নামধারী । অথচ এক নিরীহ কৃষক যার বাড়িতে বিদ্যুতের সংযোগ নেই সেই নিরীহ কৃষক বিদ্যুৎ বিল বকেয়া পরিশোধ না করায় জেল হাজতে থাকতে হয় কিন্তু আমি জাতির বিবেক শিক্ষিত ছেলে এই বিষয়ে কথা বললে আমার লজ্জা বোধ হয়। ধন্যবাদ লেখক উচ্চশিক্ষিত ছিলনা ছিল এক জন মানুষ মাত্র । #Facebook Timeline Post- April 24, 2019 ·

**ভালুকার প্রশাসনের কিছু উচ্চ পর্যায়ের ব্যক্তিবর্গের ফেসবুক স্ট্যাটাস সত্যিই অনেক মনমুগ্ধকর লাগে অনেক বেশি পড়তে অনুপ্রেরিত করে আমার মত সাধারন পাঠকদের গর্ব হয় যখন তাদের সততার ডামাডোল স্ট্যাটাসে ধাম ধাম বাজে।সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকির মধ্যে গাদাগাদি করে মানুষ নিয়ে পণ্যবাহী গাড়ি চলাচল করছে পাবলিক ট্রান্সপোর্ট হিসেবে তখন তাকে জরিমানা না করে উপায় কী?চায়ের দোকানে আড্ডা! জরিমানা না করে উপায় কী?ভালুকা বাসস্ট্যান্ড থেকে শুরু করে গফরগাঁও টানা অভিযান দুই হাঁটু ক্লান্ত।সত্যিই অনেক মনমুগ্ধকর লাগে ফেসবুক স্ট্যাটাস,সততাঅআর নিষ্ঠার উদাহারন মনেহয় জীবন চলার পথে।

উনাদের সততার গল্পে অনেক বেশি উৎসাহিত হয় মনটা যখন শুনি সরকারের সামাজিক নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখার লক্ষ্যে একজন রিকশাচালককে পিটিয়ে রিক্সাটিতে আগুন ধরিয়ে দেয় আরো বেশি গর্ব হয় যখন শুনি চায়ের দোকানে দুইজনকে কান ধরে উঠবস করানো হয়েছে সামাজিক নিরাপত্তার নামে এর চেয়েও বেশী গর্ব হয় যখন শুনি স্কুলপড়ুয়া ছেলেটা মায়ের জন্য ওষুধ আনতে ফার্মেসি যাওয়ার পথে লাল করে দেয় হয়েছে পিছনটা সেই গল্পে কিন্তু একটি বিষয় এখনো আমার বোধগম্য হচ্ছে না এত সততা ও নিষ্ঠা কোথায় চলে যায় যখন ভালুকা স্কয়ার গ্রুপের মত কম্পানির সামনে আমার দৃষ্টি যায় তখন কেন জানি মনের আবেগে বলতে মন চায় এইখানে কি প্রশাসনের সততা ক্ষমতা বাতাস হয়ে যায় বেলুনে ছিদ্রি করার পর হাওয়া যেমন ফু---ছ করে বের হয়ে যায় এখানেও কি প্রশাসনের ক্ষমতা সততা ফু------ছ হয়ে যায়?

যার নুন আনতে পান্তা ফুরায় সেই রিক্সা চালকের অপরাধ দুইজন নিয়ে সে আইন লংঘন করছে সেই অপরাধে তাকে জেল জরিমানা এবং কি তার জীবনের একমাত্র উপার্জন উৎস রিক্সাটি কেউ ভেঙ্গে ফেলা হচ্ছে কিন্তু পরক্ষনেই যখন আমার দৃষ্টি যখন পরে কোন পাজারো বা বিএমডব্লিউ এর দিকে যেখানে চার-পাঁচজন গাদাগাদি করে বসে উচ্চ সরে মিউজিক শুনছে আর চলছে তাদের জন্য কি করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সামাজিক নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখার নির্দেশনা নেই সেখানে কেন অপারক প্রশাসন?

প্রশ্ন জাগে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সামাজিক নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখার লক্ষে একজন উপার্জনক্ষম ব্যক্তির শেষ সম্বল চায়ের দোকান ভাঙচুর করে দেওয়া হয় নিরাপত্তার অজুহাতে কিন্তু পরক্ষনেই যখন স্কয়ার এর মত গ্রুপের দিকে আমার দৃষ্টি যায় তখন কেন জানি বিবেক বোবা হয়ে যায় প্রশাসনের সততা দেখে! চায়ের দোকানে দুইজন বসলে নিরাপত্তা বিঘ্নিত হয়,জরিমানা না করে উপায় থাকেনা প্রশাসনের সামনে কিন্তু সেই প্রশাসনের সামনে হাজার হাজার একত্রিত হলে নিরাপত্তার প্রশ্ন উঠেনা জরিমানা করার জন্য মন ব্যকুল হয়না এমনটি কেন?ফেসবুক স্ট্যাটাস হয়না কেন ?
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সামাজিক নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখা কি শুধু রিকশাচালক এর জন্য ? বিএমডব্লিউ চালকের নয় ?শুধু কি চায়ের দোকানের জন্য? স্কয়ার গ্রুপের মত বড় মাপের ব্যবসার জন্য নয়?

কারো চেতনায় আঙ্গুল দিতে নয় নিজের বিবেকের তাড়নায় কিছু বলতে মন চায় কখনো কখনো কারণ যখন দেখি প্রশাসনের উচু চেয়ারগুলো নিজেদের তোষামোদি শুনতে শুধু ভালোবাসে তখন সমাজের অবহেলিতরা নিষ্পেষিত হয়, তখন সমাজের একজন হয় কিছু বলতে বিবেক তারা করে কারণ শিক্ষিত সমাজ যখন তোষামোদি ভালোবাসে তখন সমাজে সকল পর্যায়ে শুধু অনিষ্ট বিরাজ করে এর বেশি কিছু নয়।#Facebook Timeline Post- April 4 at 6:40 AM ·



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

কলাম বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৯৩৯১ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই