তারিখ : ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

রায়গঞ্জে ধানের ভাল দাম পেয়ে কৃষক খুশি

রায়গঞ্জে ধানের ভাল দাম পেয়ে কৃষক খুশি
[ভালুকা ডট কম : ১৫ মে]
রায়গঞ্জে দীর্ঘদিন পর ধানের ভাল দাম পাচ্ছেন কৃষক। এবার ফলনও হয়েছে ভাল। করোনা পরিস্থিতিতে নানা প্রমাদ গুনছিলেন তারা। সেক্ষেত্রে ভাল ফলন, ভাল দাম তাদের জন্য মহাখুশির বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। ইতোমধ্যেই প্রায় ৭০ শতাংশ ধান সংগ্রহ সম্পন্ন হয়েছে বলে স্থানীয় কৃষি অফিস সূত্রে জানাগেছে।

উপজেলা কৃষি অফিসার শহীদুল  ইসলাম জানান- এবার ১৯ হাজার ৪৬৫ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাূদ হয়েছে। সংগ্রহ হয়েছে ১৩ হাজার ৬২৫ হেক্টর জমির ধান।  ধান কাটা ও মাড়াই খরচ এবার বিঘাপ্রতি এক থেকে দেড় হাজার টাকা কম হয়েছে।  কারণ হিসাবে বলেন- এবার কাজ না থাকায় রিকসা-ভ্যান শ্রমিক ও কৃষকেরাও নিজে ধান কেটেছে। এছাড়াও কম্বাইনহারভেষ্টার দিয়েও বেশিরভাগ জমির ধান কাটা হয়েছে। ধান কাটা ও মাড়াইয়ের কাজ ঐ যন্ত্রের দ্বারা করার কারণে বিঘা প্রতি ধান পুরো প্রক্রিয়াজাত করতে খরচ হয়েছে মাত্র দুই থেকে আড়াই হাজার টাকা। যা প্রতি বছর হয়েছে তিন থেকে চার হাজার টাকা। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি ইত্তেফাককে বলেন- এবার ধানের ফলন বেশ ভাল হয়েছে। উপজেলায় এবার মোট উৎপাদন প্রায় ১ লাখ ১০ হাজার মেঃ টন হতে পারে। যা গত বছরের তুলনায় প্রায় ২০ হাজার মেঃ টন বেশি।  

উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজার ঘুরে দেখা গেছে- মিনিকেট ও কাটারিভোগ ধান প্রতিমণ বিক্রি হচ্ছে ৯৫০ -৯৮০ টাকা, মোটা ধান হাই ব্রিড হিরা বিক্রি হচ্ছে ৮৪০-৮৭০ টাকা। যা গত বছরের তুলনায় মণপ্রতি দুই থেকে সাড়ে তিনশ’ টাকা বেশি।

চান্দাইকোনা গ্রামের জোতদার কৃষক রোকনুজ্জামান, সিমলা গ্রামের প্রান্তিক কৃষক আব্দুস সাত্তার, কোমরপুর গ্রামের বর্গা চাষি আব্দুস সামাদ  জানান- করোনার কারণে তাদের ভয় ছিল ধানকাটা ও বাজার দর নিয়ে।  কিন্তু কোন সমস্যা হয়নি। এবার কম খরচে বেশি লাভ হয়েছে তাদের।  চাষাবাদে খরচ হয়েছে বিঘাপ্রতি ৫ থেকে ৭ হাজার টাকা।  হিসাবে মণপ্রতি এবার সকল খরচবাদে লাভ হয়েছে দেড় থেকে দু’শ টাকা বলে তারা জানান।

চান্দাইকোনার মেসার্স সততা চাউল কলের মালিক গোলাম মোস্তফা ধানের দাম বিষয়ে বলেন- এবার বড় জোতদাররা ধান কম বিক্রি করছে। চাহিদা অনুসারে বাজারে ধানের আমদানি কম। মিলারা তাদের প্রডাকসন ক্যাপসিটি অনুযায়ী ধান কিনতে গিয়ে বাজারে চাপ পড়ছে। আর কৃষকরা সেই সুযোগ নিয়ে কম দামে ধান বিক্রি করছে না। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন- মিলারদের প্রতিনিধির সাথে কথা না বলেই এবার সরকার ৩৬ টাকা কেজি চালের দাম নির্ধারণ করেছে। অথচ ধানের দাম বেশি হওয়ায় চালের উৎপাদন খরচ হচ্ছে প্রায় ৪০ টাকা কেজি। আমরা কীভাবে সরকারি গুদামে চাল সরবরাহ করবো তা ভেবে পাচ্ছি না।

অপরদিকে স্থানীয় বিজ্ঞমহলের ধারণা করোনা পরিস্থিতি দীর্ঘায়িত হলে সারাবিশ্বেই খাদ্য সংকট হওয়ার সমূহ আশংকা রয়েছে। একারণে বড় ব্যবসায়ীরা বেশি করে খাদ্যশস্য মজুত করার কারণে এবার ধানের দাম এতটা বেশি।#



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

কৃষি/শিল্প বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৭ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই