তারিখ : ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

গৌরীপুরে গোদামে ধান বিক্রিতে কৃষকদের আগ্রহ কমছে

গৌরীপুরে সরকারী গোদামে ধান বিক্রিতে কৃষকদের আগ্রহ কমছে
[ভালুকা ডট কম : ০২ জুন]
ময়মনসিংহের গৌরীপুর বাজারে ধানের বাজার দর সরকারী দরের সাথে প্রায় সমান হয়ে যাওয়ায় পাশাপাশি ময়েশ্চারের (শুকনো) কোন নির্ধারিত বিধি নিষেধ না থাকায় কৃষকরা গোদামে ধান বিক্রি না করে বাজারেই বিক্রি করে দিচ্ছেন। ফলে এ মৌসুমে সরকারী ধান ক্রয়ের লক্ষ্য মাত্রা ব্যহত হওয়ার সমুহ সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।

ধান মহাল ঘুরে দেখা গেছে’ বোরো  ধানের ভরা মৌসুমেও  বাজারে ধানের মূল্য অন্যান্য বছরের তুলনায় রেকর্ড পরিমান বৃদ্ধি পেয়েছে। এ ছাড়া এ উপজেলায় বোর ধানের বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখে এখন স্বস্তির হাসি বিরাজ করছে।সোমবার,মঙ্গলবার (০১ও ০২ জুন) গৌরীপুর বাজারে বিআর-২৮ প্রতি মন ধান ৮শ ৭০ টাকা থেকে ৯ শ ২০ টাকা ক্রয় করছে ব্যবসায়ীরা। এ ছাড়া বিআর-২৯ ধান ৮শ থেকে-৮শ ৫০ টাকা মন ও মোটা জাতের ধান ৭শ ৫০ থেকে ৮ শ টাকা মন দরে বিক্রি করছে কৃষকরা।

অন্যদিকে ফসলের ক্ষেত থেকে সদ্য কাটা পানি ভেজা ধান ৭ শ টাকা মন দরে বাজারে বিক্রি হতে দেখা গেছে। এ কারনে শুধু শুধু শুকানোর দুর্ভোগে না গিয়ে বড়-ছোট ও প্রান্তিক কৃষকরা সরকারি খাদ্য গোদামে ধান বিক্রি করার মত আগ্রহ দেখাচ্ছে না। এ ক্ষেত্রে সরকারি বোর সংগ্রহ অভিযানের সফলতা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। সরকারী গুদামে ১৪% শুকনো ধান বিক্রি করলে ১,০৪০ টাকা মন। কিন্তু বাজারে  শুকানোর নির্ধারিত %শতকরা হিসাব না থাকায় সেই একই ধান বিক্রি হচ্ছে ৯শ ২০ টাকা মন। উল্লেখ্য গতবছর এই সময়ে প্রকারভেদে কৃষকদেরকে প্রতিমন ধান ৪শ ৫০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৬শ ৫০ টাকায় বিক্রি করতে হয়েছে।

এ ব্যপারে ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলা মিল মালিক সমিতির সভাপতি ও ধান ব্যবসায়ী ইকবাল হোসেন জুয়েল এর সাথে কথা বললে’ তিনি বলেছেন আমি একজন ব্যবসায়ী হিসেবে বলছি না’ আমি একজন কৃষক বান্ধব হিসেবে বলছি এ মৌসুমে ধান বিক্রিতে কৃষক বেশী দর পাওয়ায় আমি অত্যন্ত খুশী। কারন বিগত মৌসুম গুলোতে কৃষকরা ধান বিক্রি করে ফসলের খরচ উঠাতে গিয়ে হিমশিম খেতে হয়েছে। অনেকেই উৎপাদন ব্যয়ও উঠাতে পারেনি। ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে হাজারো প্রান্তিক ও ক্ষুদ্র কৃষক। কিন্তু এ মৌসুমে কৃষকরা বাজারে অধিক  দরে ধান বিক্রি করে পুষিয়ে নিচ্ছে আগের ক্ষতি’। বাজারে ধান বিক্রি করে হাসি মুখে ঘরে ফিরছে তারা।

এ ব্যপারে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক বিপ্লব কুমার সরকার জানিয়েছেন’ কৃষকরা বাজারে ধান বিক্রি করলেও সরকারী ধান সংগ্রহের লক্ষ্য মাত্রা অবশ্যই অর্জিত হবে। তিনি বলেন এখন পর্যন্ত অনেক কৃষক গুদামে ধান দেয়ার ব্যপারে আমাদের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছেন।#



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

কৃষি/শিল্প বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৭ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই