তারিখ : ১৭ এপ্রিল ২০২৪, বুধবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

দেশে ১০ দিনে ৩০ হাজার মানুষ করোনায় আক্রান্ত

দেশে ১০ দিনে ৩০ হাজার মানুষ করোনায় আক্রান্ত
[ভালুকা ডট কম : ১৪ জুন]
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ দ্রুতই বেড়ে চলছে দেশে। গত ১০ দিনের হিসাবে দেখা গেছে, এই সময়ে অতি ছোঁয়াচে প্রাণঘাতী ভাইরাসটিতে সংক্রমিত হয়েছেন প্রায় ৩০ হাজার মানুষ!

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী, আজ (১৪ জুন) সকাল আটটা পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮৭ হাজার ৫২০ জন। গত ৪ জুন দেশে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৫৭ হাজার ৫৬৩ জন। ১০ দিনের ব্যবধানে নতুন আক্রান্ত হয়েছেন ২৯ হাজার ৯৫৭ জন। এই সময়ে প্রতিদিন গড়ে প্রায় তিনহাজার জন করে  আক্রান্ত হচ্ছেন।এই সময়ে আশঙ্কাজনক হারে বেড়েছে মৃত্যুর সংখ্যাও। রোববার আরও ৩২ মৃত্যু নিয়ে মোট মৃত্যু দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ১৭১ জনে।

উল্লেখ্য, গত বছরের শেষ দিকে চীন থেকে ছড়িয়ে পড়ে করোনাভাইরাস। অল্প সময়েই তা বিশ্বজুড়ে মহামারি আকার ধারণ করে। বাংলাদেশে গত ৮ মার্চ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত প্রথম রোগীর খোঁজ মেলে; এর দশ দিনের মাথায় ঘটে প্রথম মৃত্যু।স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সবশেষ তথ্যানুযায়ী, দেশে করোনার নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ২১.৬৫ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ২১.৪০ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১.৩৪ শতাংশ।

এদিকে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞগণ আশঙ্কা করছেন, দেশে সংক্রমণের যে উর্ধ্বগতি চলছে এবং যেভাবে জনগণের মধ্যে এখনো যথেষ্ট সচেতনতার অভাব দেখা যাচ্ছে তাতে আমাদের জন্য একটা ভয়ানক পরিণতি এগিয়ে আসছে। তাই এখনই অধিক সংক্রমিত এলাকাকে রেড জোন হিসেবে চিহ্নিত করে সম্পূর্ণ লক্ডাউন কার্যকর করা দরকার। এরকমটিই  পরামর্শ দিয়েছেন রোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক বেনজির আহমেদ।

এ প্রসঙ্গে চিকিৎসা বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক নজরুল ইসলাম বলেছেন, ঢাকা মহানগরীসহ পার্শ্ববর্তী নারায়ণগঞ্জ-গাজীপুর-সাভার এসব এলাকায় সংক্রমণের বিস্তার বেশি হবার কারণে এখানে শক্তভাবে লকডাউন বাস্তবায়ন করা না গেলে পরিস্থিতি সামাল দেয় সম্ভব হবে না।

এদিকে, হাসপাতালে প্রয়োজনের তুলনায় শয্যার সংকট আর অক্সিজেনের তীব্র সংকট নিয়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা দেয়া কঠিন হয়ে পড়েছে। এ অবস্থায় রোগীদের বাসায় রেখেই চিকিৎসা দিতে হচ্ছে। অক্সিজেন সিলিন্ডারে নিয়ে টানাটানি চলছে: চলছে নকল অক্সিজেনের ব্যবসা।

অন্যদিকে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।সেই পরিস্থিতি মোকাবিলায় এখন থেকেই প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি না নিলে সামনে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ রূপ নেবে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেন স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক এএনএম মিনহাজুর রহমান।

বেসরকারি হাসপাতালগুলোয় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের ভর্তি করার বিষয়ে সরকার প্রজ্ঞাপন জারি করলেও এখনও বেসরকারি হাসপাতালে কোভিড-১৯-এ আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা পাওয়া যাচ্ছে না। এমনকি ‘করোনামুক্ত’ সার্টিফিকেট না থাকলে অন্যান্য জরুরি রোগীদেরও ভর্তি নেয়া হচ্ছে না।

উল্লেখ্য, দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের হিসাবে ঢাকার পরের অবস্থানেই রয়েছে চট্টগ্রাম মহানগরী। চট্টগ্রামে এ পর্যন্ত প্রায় ৫,০০০ জনের মধ্যে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। মারা গেছেন শতাধিক।#



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

জাতীয় বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৭ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই