তারিখ : ২৮ মার্চ ২০২৪, বৃহস্পতিবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

ভালুকায় ঠিকাদার ও সওজের গাফিলতিতে জলবদ্ধতা

ভালুকা-গফরগাঁও সড়কে ঠিকাদার ও সওজের গাফিলতিতে রাস্তায় জলবদ্ধতা চরম জন দুর্ভোগ
[ভালুকা ডট কম : ০৭ জুলাই]
ভালুকা-গফরগাঁও সড়কের সংস্কার কাজে ঠিকাদার এবং সড়ক ও জনপথ বিভাগের কর্মকর্তাদের গাফিলতিতে বাসস্ট্যান্ডে এলাকার শিমুলতলীতে সামান্য বৃষ্টিতে রাস্তার ওপর উড়ু পানি হয়ে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়ে যায়। এতে রাস্তায় চলাচলকারী জনসাধারণ চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। জলাবদ্ধ অল্প একটু রাস্তার জন্য ঘন্টার পর ঘন্টা যানজট লেগেই থাকে।

ভালুকা-গফরগাঁও সড়কটি একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা,এ রাস্তা দিয়ে পৌরবাসী ছাড়াও ভালুকার পূর্ব অংশ,গফরগাঁও, হোসেনপূর ও কিশোরগঞ্জের বিভিন্ন উপজেলার মানুষ প্রতিদিনই সহস্ত্রাধিক  যানবাহনে চলাচল করে থাকেন। এ ছাড়াও এ সড়কে রয়েছে উপজেলা প্রশাসন,পৌরসভার বিভিন্ন দপ্তর ও ফায়ার সার্ভিস অফিস। প্রায় প্রতিদিন বিভিন্ন দুর্ঘটনার খবরে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা গাড়ি নিয়ে ওই রাস্তায় যানজটে আটকে থাকেন।

রাস্তাটির সংস্কার কাজ করছেন রোডস্ এন্ড হাইওয়ে ডেভোলাপমেন্ট(আর,এইচ,ডি)এর ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এম/এস ইসমাঈল হোসাইন জেবি। ওই সড়কের উত্তর পাশে দিয়ে ভালুকা পৌরসভার আরসিসির একটি বিশাল আকারের লম্বা ড্রেন রয়েছে। সওজ বিভাগ রাস্তার পানি নিস্কাশনের পথ বন্ধ করে দিয়ে রাস্তার উত্তর পাশ অর্ধেক অংশে ঢালাই দিয়ে রাস্তার কাজ শুরু করায় সামান্য বৃষ্টিতে রাস্তায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়ে রাস্তার পাশের দোকান পাটে ওঠে পড়ছে। ফলে জনসাধণের চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। এ সময় রাস্তা দিয়ে সিএনজি,ব্যাটারি চালিত রিক্সা ও ইজি বাইকের চালকরা গাড়ির ওয়ারিং পুরো যাওয়া ও ব্যাটারি ডুবে যাওয়ার ভয়ে রাস্তায় নামে না। রাস্তার পাশ দিয়ে পৌরসভার যে ফুটপাতটি রয়েছে সেটি নির্মাণের বছরখানেকের মাথায় বেশ কয়েক জায়গায় ভেঙ্গে গিয়েছে। অবশিষ্ট ফুটপাতের রাস্তায় দোকান বসিয়ে দখল করে নিয়েছে। পৌরসভার পক্ষ থেকে ফুটপাতের রাস্তা নির্মাণ করার সময় কোথাও উঁচু কোথাও নিচু আবার কোথাও সিঁড়ি বানিয়ে রাস্তা নির্মাণ করেছে। জন দুর্ভোগ নিয়ে পৌরসভার কোনো মাথা ব্যথা নেই। যদি ঢালাইয়ের কাজটি রাস্তার দক্ষিণ পাশে দিয়ে শুরু করা হতো, তাহলে এ জলবদ্ধতার সৃষ্টি হতো না। উত্তর পাশের ড্রেন দিয়ে বৃষ্টির পানি অতি সহজেই নিস্কাশন হয়ে যেতো।

রাস্তার ঢালাই (রিজিক্ট প্যাবমেন্ট)কাজ করার পর কমপক্ষে একমাস  সময় লাগে রাস্তাটি যান চলাচলের উপযোগী হতে। যদি এখনই রাস্তার বৃষ্টির পানি নিস্কাশনের ব্যবস্থা না করা হয়,তাহলে পুরো বর্ষা মওসুম এ রাস্তা দিয়ে যাতায়তকারী জনসাধারণের দীর্ঘ দুর্ভোগ পোহাতে হবে। এত সব বিড়ম্বনার মাঝে পশু হাসপাতালের সামনে গাড়ি দাড় করিয়ে শ্রমিক ইউনিয়ন ও পৌরসভার চাঁদা আদায় করায় যানজট বাড়ছে। চাঁদা নিয়ে এ সময় অধিকাংশ ড্রাইভারদের সাথে স্থানীয় চাঁদাবাজদের কথা কাটাকাটি হচ্ছে। এ সময় গাড়ে সামনে ও পেছনে দীর্ঘ যানজট লেগে যায়।

ঈদের সপ্তাহ খানেক পূর্বে ভালুকা বাসস্ট্যান্ড থেকে ৫০০মিটার রাস্তার ঢালাইয়ের কাজ শুরু হয়। ঢালাই রাস্তার কাজ শুরু করার সময় ২০০মিটারের পুরনো কার্পেটিং না তোলেই ঢালাই দেয়া হয় এতে রাস্তা ঢালাইয়ের তিন দিনের মাথায় দুই জায়গায় ফেটে যায়। এ রাস্তার কাজের মান নিয়ে পূর্বে থেকেই নানা অভিযোগ রয়েছে। কাজের মান খারাপ হওয়ায় বেশ কয়েক বার স্থানীয় লোকজন তাদের কাজে বাধা দেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পৌর কর্মচারী জানান, আমরা রাস্তার উত্তর পাশ দিয়ে পানি নিস্কাশনের ড্রেন করে  দিয়েছি। সওজ’র লোকজন একটু ভেবে চিন্তা করে রাস্তার কাজটি শুরু করলে রাস্তায় এমন জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হতো না।

প্রকৌশলি রাকিবুল হাসান রোজেল জানান, রাস্তাটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ,উন্নয়নের নামে অপরিকল্পিত ভাবে রাস্তার সংস্কার কাজ শুরু করায় এ রাস্তায় যাতায়ত কারী মানুষকে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে।ঠিকাদারের ম্যানেজার পারভেজ আহম্মেদ জানান, এ জায়গায়টায় সত্যিই জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে। আমি এ পর্যন্ত ২দিন শ্রমিক দিয়ে রাস্তার পানি সেচে দিয়েছি।

রাস্তার দক্ষিণ পাশ দিয়ে কাজ শুরু করলে এমন জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হতো না বলে স্বীকার করে সওজের ময়মনসিংহের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মীর আব্দুল মান্নান জানান, দক্ষিণ পাশ দিয়ে রাস্তার কাজ শুরু করলে জলাদ্ধতা থাকবে না। আরো সপ্তাহ খানেক মানুষকে কষ্ট করতে হবে।#



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

ভালুকা বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৬ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই