তারিখ : ২৪ এপ্রিল ২০২৪, বুধবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

ভালুকায় সরকারি ভবন নির্মাণে নিন্মমানের সামগ্রি ব্যবহার

ভালুকায় জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী কার্যালয়ের ভবন নির্মাণে নিন্মমানের সামগ্রি ব্যবহারের অভিযোগ
[ভালুকা ডট কম : ০৯ জুলাই]
ভালুকা উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী অধিদপ্তরের সহকারী প্রকৌশলী কার্যালয়ের নতুন ভবন নির্মাণে নিন্মমানের সামগ্রি ব্যবহারের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ক্ষুদ স্থানীয় কর্মকর্তাদের সামনেই নিন্মমানের কাজ করছেন এ  কর্মকর্তাদের কোনো মাথা ব্যথা নেই।

জানাযায়,স্বাধীনতার পূর্বে ভালুকা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী বিভাগের কার্যালয় ভবনটি নির্মাণ করা হয়। বর্তমানে ভবনটি ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে যাওয়ায় পাশেই জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী অধিদপ্তরের অধিনে একটি নতুন ভবনের নির্মাণের দরপত্র আহবান করা হয়। আদেল এন্টারপ্রাইজ নামে একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ভবনটির নির্মাণ কাজ পান। গত ১৫মে ভবনটি নির্মাণ কাজ শুরু করা হয়। শুরু থেকেই ভবনের নির্মাণ কাজে নিন্মমানের সমগ্রি ব্যবহার করা হচ্ছে বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করেন। ব্যবহারের জন্য বর্তমানে কার্যালয়ের ভিতরে কয়েক গাড়ি নিন্মমানে ইট রাখা হয়েছে। নিন্মমানে ইট দেখে স্থানীয়রা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। এ ছাড়াও অতি নিন্মমানে ইট চোখে না পড়ার জন্য উপরে বালি ফেলে ইট আড়াল করে রাখা হয়েছে। ধোঁকা দেয়ার জন্য কিছু ভালো সুরকি নির্মাণাধীন ভবনের সামনে ফেলে রেখে নিন্মমানের সুরকি,বালি ও পাথর বালি ব্যবহার করা হয়।

অভিযোগ রয়েছে,আদেল এন্টারপ্রাইজ নামে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান সারাদেশের অনেক জায়গায় জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী বিভাগের কাজ করছেন। মুল ঠিকাদার সরেজমিনে না এসে চুক্তি ভিত্তিক লোক দিয়ে তারা নির্মাণ কাজ করছেন। এমনটি হয়েছে ভালুকার ক্ষেত্রেও।তাই ভালুকা অফিসের উপ-সহকারী প্রকৌশলী আব্দুর রহমান বলেন,অদ্যাবধি আমরা ঠিকাদারকে দেখেনি। শুরু থেকেই ঠিকাদারের প্রতিনিদি কাজ করছেন। তার সাথেই আমার কাজের ব্যাপারে কথা বলি।

ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের মালিক আব্দুল রহিম ওরফে মানিকের মোবাইল(০১৯১৭৩৮৫০৫৩)নাম্বারে ক্ষুদে বর্তা ও বারবার কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি। ঠিকাদারের প্রতিনিধি জাহিদ জানান,ওই ঠিকাদার সারা দেশেই কাজ করেছেন। তিনি এখানে একদিনও আসেননি। আমাকে প্রতি বর্গফুটে কাজের চুক্তি দিয়েছেন,সেই হিসাবে কাজ করছি এবং বিল নিচ্ছি। আমি ভালো মালামাল দিয়েই কাজ করছি।

স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুল ওয়াদুদ মিয়া জানান,একটি সরকারী প্রতিষ্ঠানের অফিসের কর্মকর্তাদের সামনে কিভাবে নিন্মমানের সামগ্রি দিয়ে কাজ করছে তা ভাবতেও আশ্চর্য লাগে। রাস্তার পাশেই নিন্মমানের ইট রেখে দিয়েছে যা দেখে মানুষ সমালোচনা করছেন।

উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী হারাধন দে জানান, কাজটি তদারকির দায়িত্ব অত্র অফিসের,আমরা নকশা অনুযায়ী কাজ বুঝে নিচ্ছি। এখানে ভালো মানের সুরকি,বালি,ইট,রডসহ বিভিন্ন সামগ্রি ব্যবহার হচ্ছে।

জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী অধিদপ্তরের জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী সামিউল হক জানান, আমার জানা মতো ভালো মালামাল দিয়েই কাজ করা হচ্ছে। কাজটি দেখবাল করার দায়িত্ব স্থানীয় অফিসের। আমি বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখছি। #



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

ভালুকা বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৭ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই