তারিখ : ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

দুর্যোগ মোকাবিলার প্রস্তুতি রয়েছে-প্রধানমন্ত্রী

দুর্যোগ মোকাবিলার প্রস্তুতি রয়েছে-প্রধানমন্ত্রী
[ভালুকা ডট কম : ২৩ জুলাই]
দেশে এবারের বন্যা দীর্ঘ সময় স্থায়ী হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন,  দুর্যোগ মোকাবিলার যথেষ্ট প্রস্তুতি রয়েছে সরকারের। তিনি জানান, বন্যা দীর্ঘস্থায়ী হলেও ক্ষতিগ্রস্ত কেউ পুনর্বাসনের বাইরে থাকবে না। অসহায় মানুষদের জীবন-জীবিকা নিশ্চিত করতে সরকার সুদূর প্রসারী পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছে বলেও জানান শেখ হাসিনা।

বৃহস্পতিবার (২৩ জুলাই) সকালে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে কক্সবাজারে জলবায়ু উদ্বাস্তুদের জন্য বিশেষ আশ্রয়ণ প্রকল্প উদ্বোধন করে এসব  কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। কক্সবাজার সদর উপজেলার খুরুশকুল ইউনিয়নে নির্মিত হয়েছে জলবায়ু উদ্বাস্তুদের জন্য বিশ্বের সবচেয়ে বড় এই বিশেষ আশ্রয়ণ প্রকল্প।

অনুষ্ঠানে সরকার প্রধান বলেন, ভূ-প্রাকৃতিক কারণেই প্রতিবছর বন্যা, ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাসের মতো দুর্যোগ পোহাতে হয় উপকূলের বাসিন্দাদের৷ ভিটেমাটি হারিয়ে বাস্তুহারা হয় ভুক্তভোগীরা৷ । জলোচ্ছ্বাসের হাত থেকে রক্ষা পেতে অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী উপকূলবাসীকে বেশি করে গাছ লাগানোর পাশাপাশি প্রাণঘাতী ভাইরাস করোনা মোকাবেলায় দেশবাসীকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বানও পুণর্ব্যক্ত করেন। এই আশ্রয়ণ প্রকল্প উদ্বোধনের ফলে কক্সবাজার সদরের খুরুশকুল ইউনিয়নের বাঁকখালী নদীর তীর ঘেঁষা বৃহৎ এ প্রকল্পে নির্মিত ২০টি পাঁচ তলা বিশিষ্ট ভবনে ৬শ’টি পরিবার নতুন ফ্ল্যাট পেল। প্রতিটি পাঁচতলা ভবনে থাকছে ৪৫৬ বর্গফুট আয়তনের ৩২টি করে ফ্ল্যাট। পর্যায়ক্রমে ৪ হাজার ৪০৯টি পরিবার এখানে ফ্ল্যাট পাবে।

প্রকল্প পরিচালক মো. মাহবুব হোসেন এক ব্রিফিংয়ে বলেন,প্রতিটি পরিবার এখানে ১০০১ টাকার বিনিময়ে একটি প্রায় ৪৫৬ বর্গ ফুটের আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত ফ্লাট পাবে। যেখানে প্রতিবন্ধীদের জন্য পৃথক র‌্যাম্প, সোলার প্যানেল, বিশুদ্ধ পানির সুবিধা, বিদ্যুৎ, স্যানিটেশন, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, ড্রেনেজ ব্যবস্থা এবং গ্যাস সিলিন্ডার সম্বলিত চুলার ব্যবস্থা থাকবে।

তিনি বলেন,এই প্রকল্পে ২৫৩ দশমিক ৫৯ একর জমির ওপর নির্মাণাধীন ১৩৯টি ৫ তলা বিশিষ্ট ভবনে ৪ হাজার ৪০৯টি পরিবার পুণর্বাসিত হবে। যার ব্যয় ধরা হয়েছে ১৮শ’ কোটি ৩৯ লাখ টাকা। প্রকল্প এলাকায় ২০ কিলোমিটার অভ্যন্তরীণ রাস্তা, ৩৬ কিলোমিটার ড্রেনেজ ব্যবস্থা, বর্জ্য পরিশোধন ও নিষ্কাশন ব্যবস্থাপনা, তীর রক্ষা বাঁধ, ছোট সেতু, ১৪টি খেলার মাঠ, মসজিদ, মন্দির, প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়, পুলিশ ও ফায়ার স্টেশন, তিনটি পুকুর, নদীতে দু’টি জেটি এবং দুটি বিদ্যুতের সাবস্টেশন থাকবে।’ প্রকল্পে আবাসন, পর্যটন ব্যবস্থা, শুটকি পল্লী বা ‘শুটকি মহল’ এবং সবুজ বনায়নসহ চার ধরনের সুবিধা থাকবে বলেও তিনি জানান।

প্রকল্প পরিচালক বলেন, এটাই দেশের সবচেয়ে বড় আশ্রয়ণ প্রকল্প এবং জলবায়ু উদ্বাস্তুদের জন্য দেশের প্রথম আশ্রয়ণ প্রকল্প। জলবায়ু উদ্বাস্তু পরিবারগুলোর জন্য এখানে যে পুনর্বাসন, এটাকে আমরা বিশ্বের বৃহত্তম জলবায়ু পুনর্বাসন প্রকল্প বলতে পারি,এ ধরনের প্রকল্প পৃথিবীতে বিরল।

তিনি আরো বলেন, ১৯৯১ সালের প্রলয়ংকারী ঘূর্ণিঝড় ও জ্বলোচ্ছাসে কক্সবাজারের উপকূলীয় এলাকায় ক্ষতিগ্রস্থ এবং পরবর্তীতে কুতুবদিয়া পাড়া, নাজিরাটেক এবং সমিতি পাড়া এলাকায় বসতি স্থাপনকারী জনগণ যারা কক্সবাজার বিমানবন্দর সম্প্রসারণ ও আধুনিকায়নের জন্য ভূমি অধিগ্রহণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল তাঁদের পুনর্বাসনের জন্যই মূলত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এ উদ্যোগ।

প্রকল্পের নির্মাণ কাজের দায়িত্বে থাকা সেনাবাহিনীর দশম পদাতিক ডিভিশনের জিওসি এবং এরিয়া কমান্ডার মো. মাঈন উল্লাহ চৌধুরী পৃথকভাবে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে বলেন,এটি অত্যন্ত নয়নাভিরাম একটি জায়গা। এ জায়গাটিকে সুরক্ষিত করার জন্য মাটিকে অনেক উঁচু করা হয়েছে। প্রতিটি ভবনের নিচের তলায় কোনো ফ্ল্যাট রাখা হয়নি। ফলে ঘূর্ণিঝড় হলে জলোচ্ছ্বাসের পানি ঢোকারও আশঙ্কা নেই।#



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

অন্যান্য বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৭ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই