তারিখ : ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

আপনার একটু সহযোগিতায় বেঁচে যেতে পারে মেয়েটি

আপনার একটু সহযোগিতায় বেঁচে যেতে পারে সুন্দর ছোট্ট মেয়েটি
[ভালুকা ডট কম : ২৯ জুলাই]
পতুল পতুল মেয়েটি’র আজ আনন্দ নেই। সকলকে মাতিয়ে রাখা প্রাণ চঞ্চল ছোট্ট মেয়েটি নিশ্চুপ হয়ে গেছে। শরীরে বাসা বেঁধেছে মরন ব্যাধি ক্যান্সার। হাসি-খুশিতে মেতে থাকা মেয়েটি প্রতিক্ষনে মৃত্যুর দিকে ধাবিত হচ্ছে। তার চোখে মুখে এখন বেঁচে থাকার আকুতি। ফ্যাকাশে হয়ে গেছে তার শরীরের রঙ। সেই মেয়েটির নাম সাদিয়া ইসলাম রিয়া। তার পেট কেটে বের করা হয়েছে ৩ কেজি ৭৫ গ্রাম ওজনের একটি টিউমার। সে ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার নুরুল আমিন খান উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণির ছাত্রী।

তার বাবা মোঃ রফিকুল ইসলাম,পেশায় একজন সিএনজি চালক। মা সানোয়ারা মবিন, গৃহিনী। বাস করেন পৌর শহরের নতুনবাজার এলাকায় ভাড়া বাসায়। নেই তার মাথা গোঁজার নিজস্ব এতটুকু ঠাঁই। সেই ভাড়া বাসায় দুই মেয়ে আর এক ছেলেকে নিয়ে বসবাস করে আসছিলেন তিনি। কভিড-১৯ দুর্যোগের আগে ডাল-ভাতে চলছিলো সুখের সংসার। হঠাৎ মেয়েটির পেটে প্রচন্ড ব্যাথা। সেই ব্যাথার যন্ত্রণায় শুধু বাবা-মা নয়, প্রতিবেশীরাও কেঁদেছেন। স্থানীয়ভাবে চিকিৎসায় ভালো না হওয়ায়, ছুটে যান ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সেখানেও কাঙ্খিত উন্নতি না হওয়ায় পাঠানো হয় ঢাকা মহাখালী ক্যান্সার হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসাধীন সময়ে তার অপারেশন হয় । বের করা হয় ৩ কেজি ৭৫ গ্রাম ওজনের একটি টিউমার। টিউমার অপারেশনের পর সারা শরীরে ছড়িয়ে যায় ক্যান্সারের জীবানু।

ডাক্তার বলেছে, সঠিক চিকিৎসা হলে সে ভালো হয়ে উঠবে। শুধু প্রয়োজন ১৫টি কেমো থ্যারাপি। বাবার পক্ষে পতুল পতুল মেয়েটিকে বাঁচানোর নেই আর্থিক সামর্থ্য। মায়াবী চেহারা, কোমল হৃদয়ে আকাশে পানে তাকিয়ে আছে রিয়া। বাবার সামর্থ্য নেই এই কথাটি তার জানা নেই।  তার চিকিৎসার সহযোগিতার জন্য ইতোমধ্যে প্রতিবেশী ও আত্মীয়-স্বজনরাও এগিয়ে এসেছেন। শেষ হয়েছে ৫টি কেমো থ্যারাপী। আর ১০টি কেমোথ্যারাপীর জন্য প্রয়োজন মাত্র ৩ লাখ টাকা আর দৈনন্দিন ওষুধের জন্য ১ লাখ টাকা। মাত্র ৪ লাখ টাকা হলেও বেঁচে যাবে ছোট্ট রিয়া।

ছোট্ট রিয়া’র হাসিমুখ দেখতে আপনিও সহযোগিতার হাত বাড়াতে পারেন ! সেই সহযোগিতায় রিয়া আবারও হাসবে, খেলবে, ফিরবে প্রিয় বান্ধুবীদের খেলার দলে। প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে আসবে তার। সহযোগিতার জন্য বাবার বিকাশ নং ০১৯১৬-৮৬২৫৭৩। এ ছাড়াও সাহায্য পাঠাতে রয়েছে সোনালী ব্যাংক লিমিটেড গৌরীপুর শাখায় সঞ্চয়ী হিসাব, যার নং ৩৩০৯২০১০১৮৬৮৭। কত টাকা কতভাবে খরচ করেন আপনারা। আপনাদের এতটুকু সাহায্যে এ সুন্দর পৃথীবিতে বেঁচে থাকবে পতুল পুতুল মেয়েটি।#



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

পাঠক মতামত বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৭ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই